......
তুমিতো জানোনি সখা কি এমন হয়!
মানুষেই মমতা থাকে, আমারই ডাকনামে যখন তাকে তুমি ডাকো
মনে হয় নদী ডাকে, মনে হয় আগুনে পুড়ছে সে নিশ্চয়!
এখনো যে হৃদয় নিষিদ্ধ গোলাপে পায় ফুলের গন্ধ সে হৃদয়ের দোর বন্ধ রাখা ভালো।
মানুষের কাছে আসতে নেই। যত ভুল সব কাছাকাছি হওয়ার স্বাদে। যত বেশি আমাকে জানো তুমি ততই হৃদয় জড়িয়ে যায় দারুন বিবাদে!
এসব কিছুই আলো কিংবা অন্ধকারেই ভালো মানায় পুরুষ তোমার হাতে! আসমস্ত আমি দ্বিধায় আমার মন। সর্বাঙ্গ জুড়িয়া থাকে দগ্ধ বিষের সহন!
আমি কে! আমাকে ঘিরিয়া থাকো সুচেতনায়; অমন বিষের বেদীতে পা রেখে আমি নীল!
আমি আছি অথবা ঠিক নেই আমাকে রাখেনি সুমন ও তার কবিতায়!
আমি আর তাকে বলতে পারিনা; হৃদয়ে হৃদয়ে কতবার ডাকি গল্পের তানপুরা দেরাজে উঠিয়ে কতবার বলি আয় একসাথে হাত আঙ্গুলগুলি একসাথে সুর বুকের বেদনা নিঃশূন্যে বাজাই!
অতঃপর কেউ নেই। আমাকে লেখেনি চিঠি। কবিতাও। ঘন অন্ধকারে এক জোড়া শালিক। এমন কি হয়? পাখিদের ও পথ হারায়? পাখিরাও বাড়ি খুঁজে পায়না!
বুকের মধ্য জ্বলে যাচ্ছে চলে যাচ্ছে জুন। আরেকটা মধ্যবত্সরে পাহাড়ি নাবিক। চোখের সম্মুখে পথ শেষ হয়ে গেলে অপেক্ষা করতে থাকি তোমার!
কোথায় আমার তুমি শব্দ তোষণ!
নিয়মের দেয়ালে এসে প্রতিধ্বনির মত আমি তোমাকে পাই! তোমাকে হারাই। ভাবি তোমাকে হারালে; এত সহজে মানুষ হায়ায়?
পুড়িয়া গিয়াছি আবেগে।
আমাকে পাবার পথ নেই আর আমাকে হারাবার পথ খোলা আছে অনেকই!
নিঃশূন্য তুলোট বীজ যেখানে উড়িয়া গিয়াছি নদীর ওপার, ভিজিয়া গিয়াছি মেঘে!
তুমি কোন পথে যাও কোন পথে সেই ছড়িয়ে পড়েছে আষাঢ়!
সীমানার শেষ নেই বলেই কি যাযাবর হয় মানুষ আর পাখিরা হারিয়ে যায়?