.......
............
...............
১.
একটা ঠোঁটের দৈর্ঘ্য সাতটি চুমু!
পঙ্খীরাজ তার গলাটা বাড়িয়ে দেয়,আয়নার সামনে এসে জাপটে ধরে। আর তারপর শূণ্যে তুলে সোহাগ। ঠোঁটের রিডে একেকটি আঙ্গুল। দৈর্ঘ্য পরিমাপক হিসেবে চুমুর তুলনা নেই। শক্তি চট্টোপাধ্যায় কে গুঁড়ো করে গেলাসের জলে মিশিয়ে রাখে বাদক। মাতাল না হলে কি আর সুর আসে! তাই আবেগের সপ্তম আকাশে উঠে ঠোঁট বলে,এভাবে নয় এভাবে ঠিক হয়না!
..............
২.
এখানে বসে আছে এক সুবিশাল ঢেউ! একটা হাতের তালু আর কতটুকু থামাতে পারে তার। তালু পেতে দিলে সোনার মাছেরা দল বেধে আসে। আটকাতে পারে তার কেউ!
...............
৩.
পাঁচটা আঙ্গুলের ভেতর হাত ঢুকে বসে থাকে। পাঁচ পাপড়ির ফুলের মত।
তারপর সব লেখা আশীর্বাদের মত ছুঁয়ে গেলে অবশ লাগে। এত ভার কবি তোমার কি করে নেই!
আমরা চলে এলে সে প্রাসাদ জননির্জন হবে। একটা কবিতাও আর দেয়ালে টাঙানো থাকবেনা। একটাও নবীন বট আর উড়তে থাকা কচি প্রজাপতি! জানে নাকি কেউ শব্দের ঝরনা খুলে দিলে কি করে কবির সাথে আমার প্রেম হয়ে যায়! কি করে শেকড়ের মত একা হয়ে যায় লেখারা!
..............
৪.
একদিন শুনলাম আমার লেখা থেকে কবিতারা চলে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হলে অমন দু একটা পাখি রয়েই যায় ঘরের বাইরে। আর মাঝরাতে সকাল হয়েছে বলে মোরগ! মাথা খারাপ কোকিল চৈত্রের দাবদাহকে বসন্তের কাম ভেবে ভুল করে! এমন তো হয়ই। আমিও তাই ভেবে আমার প্রেমিক কে বলি কবিতাদের নখপালিশ কিনে দিতে। আর টকটকা লিপস্টিক। সাজুগুজু কবিতার চোখ অন্ধ হলে তাও যদি সে সন্ধ্যা না দেখে! তাও যদি মাথার ওপর হলুদ টিপটা জ্বলজ্বল করে!
কি ভয়ংকর! কবিতারা চলে গেলে আমি কাকে নিয়ে চাঁদ দেখব! কি করে আমার প্রেমিক কে বলব কবিতা একটা নীল হ্যারিকেন!
...............
অ:ট:
লাইনগুলো লেখার সময় খুব বেশী স্বাধীনতা নিয়েছি। তাই প্রশংসা আর প্লাসের চেয়ে সমালোচনা বেশি আকাংখিত।
প্রিয় পাঠক লাইন গুলো তে আপনি কি দেখতে পান (মতামত) জানতে ইচ্ছে করছে। এটা হয়ত শুধুই একটা খেলা!