১.
ইচ্ছে করে এক সাথে হাঁটি
ইচ্ছে করে মুঠোয় পুরি হাত;
এমন নিখাদ আমার ইচ্ছেটাকে
বন্দি করি গোপনে দিনরাত!
২.
একটা নদীকে তুমি ঘুরে ঘুরে চুমু খাও।
তুমি বলেছো সৌরজগতের মত ।
সে চুমু খায়।
এ তার ঠোঁটে পৃথিবীর স্বাদ।
সে প্রজাপতি ওড়নায় বসে।
পৃথিবীর রং কাঁচা ঝরনার মত।
যখন ওখানে মেরু।
হাড়ের অলিন্দে সোনার শীত।
দীর্ঘায়ু হও-
দীর্ঘায়ু হও অনিন্দ্য অভিজিৎ!
৩.
ঘরের ভেতর কি করে এত জোনাকি এল।
জগজিৎ সুর হয়ে গেল! ছড়িয়ে গেল সুরভি সবুজ!
নীল জলসার আসর।
চোখের বাইরে সে নিত্য বসবাসরত রোশনী।
মান্না দে ছড়িয়ে পড়ে হৃদয়ের ভেতর।
ধীরে ধীরে রাত বাড়লে মধ্যযুগ ফিরে আসে।
কোথা থেকে প্রেম আসে? ভালবাসার মত আনন্দেরা....
কোথা থেকে সুর আসে। গান হয়ে যায় দিনমান!
ঠান্ডা দুহাত শীতের প্রথম কাটা কাগজের টুকরা।
বেদনাকীর্ণ আনন্দেরা দূরে।
ভেসে ভেসে আসো তুমি।
তখন ই গানটাকে শুনি-
মিস্টি একটা গন্ধ রয়েছে ঘরটা জুড়ে!
৪.
পৃথিবীর নাভীমূল থেকে শুরু করে সে এগুতে থাকে। তার পূর্ব পশ্চিম জ্ঞান লোপ পেতে থাকে পূর্বাপর। পাহাড় সমুদ্র মরুপথ সব একাকার হয়ে যায় আশ্লেষে।এক দীর্ঘ কবিতা পাঠের পর সে আবৃতিকার অন্ধকি জনতার একজন। হারানোর ভয় ! যখন সে শহরে ঢুকে পড়ে একটা গল্প শুরু হয়ে যায়। শহরের সব নাগরিক সে। তার হেঁটো পকেটে আমার ঠোঁট। আমরা সারাদিন রোদ্দুর মাখি। না হলে বিকেল থেকে নরম লোম তুলে তুলে গায়ে জড়িয়ে নিই। শীত আর বরফেরা ঝুরঝুরে বিস্কুটের গুঁড়ো হয়।মুঠো বায়োস্কোপ তখন আমাদের সন্ধ্যার চা।রাত গভীর হয় আমরা অপেক্ষায় থাকি! পৃথিবীর নাভীমূল থেকে যাত্রা শুরুর...।
৫.
আমি তোমাকে মুখ তুলে তাকাতে বলেছিলাম। আমার চোখে চোখ রাখতে বলেছিলাম।
তুমি শান্তিচুক্তির ইচ্ছে প্রকাশ করলে। তুমি ভুলে গেলে ভালবাসতে গেলে এমন অশান্তি রোজ রোজ হয়।
হৃদয় পুড়ে যায়। বুকের ভেতর একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিন্ড নিয়ে বসে থাকি। তুমি চোখ তুলে তাকাবে।
চোখে চোখ রাখবে। তুমি আগুন ধারন করেছো জানলে আমার না জাগা রাতেরা ঘুমুবে!
আসো আমরা অশান্তিতে কাটাই রাতদিন!
৬.
তোমার এক কাগুজে প্রিয়তমা ছিল। ধরে রাখনি কেন? শীতে কেমন কুঁকড়ে গেছে! ওম দাও!
৭.
কথা নেই কোনো কথা নেই। নিয়ম মানেনি সে! নিদারুন অনিয়মী! সময় মানেনি অসময়ে দরজার কাছে এসে কড়াটাকে আমি ভেবে সজোরে ঘন্টি বাজিয়ে যায়!
৮.
হাতের সঙ্গে হাতের দেখা
আঙ্গুলে তার জড়াক তখন আনন্দদল
কলম কালি দৃশ্য গন্ধ হাতের রেখা
পুড়িয়ে তুলুক,জ্বলুক টলুক সুখঅনল!
আমি তখন রক্ত গন্ধ গানে
ছুটে চলি আপন ও মুখ পানে!
নির্জন হোক আলোর শিখা
প্রসন্ন মাঠ অবাধ মেঘের জল
অন্ধ সুখের অন্য মাধবীকা
নীল নীলিমার অবাধ্য মেঘদল!
আমি তখন প্রেমে হেমে আনন্দে বারবার
তোমার হাতে ফিরিয়ে দি বাঁচার অধিকার!
৯.
দেখো কি অদ্ভুত! তোমাকে দূরের দেশে কে রেখে এসেছে বলোতো? তোমার ঠোঁটে আমার পাখির ঠোঁট! মধ্যেখানে অনন্ত দূর! হিম হয়ে নামা ডিসেম্বর! মধ্যখানে বিরহ জোট!
১০.
তখন সে ভীষন ছোট! যাবে বলে স্মৃতি চাইলো। আমি আমার ঠোঁটটাকে হলুদ র্যাপিনে যত্ন দিয়ে মোড়ালাম।
দু একদিনের রোদ ঘষে দিলাম যজাতি। বিকেলটা তরুনী হল। বাসন্তি শাড়ি ভুল প্যাঁচে তাকে ঘিরে থাকলো যেদিন,আমি পায়ে পায়ে তার হাতে তুলে দিলাম ছোট্ট বাক্সটি। ওখানে র্যাপিনে মোড়ানো আমার ঠোঁট। সে স্মৃতি চেয়েছিল।পকেটে পুরে নিয়ে সে পাহাড়ের দিকে গেল বড় হতে। তাকে স্মৃতি দিলাম। স্মৃতিটা ফুল। ফুটে ফুটে বড় হয়। স্মৃতিটা যৌবন এলে স্বরূপে ফিরবে। আমার ঠোঁট সে যৌবনে বিলিয়ে দেয়। এক অপরিচিতা নারীর ঠোঁটে...!
১১.
এ প্রেম যেখানে দীর্ঘ --
মহাদেশ ছাড়িয়ে গেছে হাতের বিস্তৃতি।
মহামায়া হয়ে এখানে সেখানে ছড়িয়ে দিয়েছে স্মৃতি!
সে এক দুপুর কোথাও কখনো রাত...
কতটুকু তার ভালবাসা ছিল স্বপ্রশ্নে বারসাত ।
এ প্রেম যেখানে দীর্ঘ হয়েছে পেছনে পড়েছে
সময়;পরাজিত এক শালিকের মত বেঁচে-
সেখানে সত্য স্বাধীনতা পেতে
ভালবাসা হল আদল প্রহরী,ভালবাসা দীননাথ!
১২.
আকাশটাকে আয়না দেখে, সমুদ্রটা মেঘ হয়ে গেল;
রাতের ভেতর রাত হয়ে গেল আতাত করে প্রেম
স্পর্শটা স্বর্গ হল মেঘমেদ্দূরে দিন!
তুমি তুমি --
বুকের ভেতর আসমুদ্র মাত্র তুমি তিন!
কি হতে পারে কি আর হবে হাত দুটো তাই সরোবরে
অসাড় চুমু চুম্বনে তার ঘুম।
আকাশটাকে আয়না ভেবে সমুদ্রটার ঋণ!
১৩.
তোমাকে জোনাকি বলি!
তোমাকে আলো!
তোমাকে বলি আর কত পরে তোমার দেখা পাবো!
সূর্য টাকে বুকের ভেতর আনি।
আলোটাকে লাগে ভীষন অভিমানী!
ও মুখে আবার কখন চুমু খাবো!
কিছু কথা: শায়মা আপু আমার অনেক প্রিয় একজন মানুষ। একদিন উনার প্রশংসা করতে গিয়ে দেখলাম উনি সুন্দর। কত দিক দিয়ে। বলছি তো বলছিই। বলতে বলতে থামলাম। ভাবলাম সৌন্দর্য্যই কি মানুষের সেরা গুন! আপু তুমিই সেরা।সত্যিই সেরা। কোনো বিতর্ক ছাড়াই। আমাদের কখখোনো ছেড়ে যেওনা প্লিজ। এই পোষ্ট আর সামান্য লেখাগুলো তোমার জন্য! গ্রহন করো।