কথার আগের কথা _
দুই বছর কাটালাম বর্তমান কর্মক্ষেত্রে। অর্জিত হয়েছে কতনা অভিজ্ঞতা। নিজেও পারি দিয়েছি এক উত্তপ্ত রোড। কখনো সুখের সাগরে ভেসেছি আবার কক্ষনো দুখের নদীতে হাবু ডুবু খেয়েছি। কক্ষনো অতি উৎসাহি হয়ে হাটার পথও দৌড়িয়েছি, ঠিক বিপরিতও হয়েছে। আলেয়াকে আলো ভেবে কতবারইতো ধোকা খেলাম, ফিরেও এসছি। হতাশার অন্ধকার ঢেকে দিতে চেয়েও হেরেছে মনোবলের কাছে। অতি আপন ভেবে রিদয়ের সবটুকু আবেক দিয়ে কাছে যেয়ে দেখেছি, যায়গাটা আসলে চিরদিনের মত হারিয়ে যাওয়া গহবর। স্বার্থপর মানুষগুলো দেখে থমকে দাড়িয়েছি বারবার। মানুষ রুপি রক্ত চোষাদের দেখে মানুষ সন্মন্ধে নতুন করে ভাবনাও এসেছে। আসহায়দের উপর বরবর পৈচাশিকতা দেখে কতবার মনে মনে বলেছি শ্রষ্টা কি দেখছেন না এসব ?। ধরিবাজ আর জোচ্চোরদের নেতামি দেখে নিজের চুল নিজেই টেনেছি অব্যক্ত রাগে। মিথ্যার জয় জয়াকারে নিজেকে চিনেছি নতুন করে। মানুষের উপর মানুষের স্রষ্টার ক্ষমতা প্রয়োগের কাছে নিজেকে আসহায় মনে হওয়াতো নিত্য দিনের ঘটনা। খুধার্থ বনি আদমের শিয়রের কছে বসে চিকেন মাটন বিফ চিবুতে চিবুতে নরপশুদের আফসোস করে বলতে শুনেছি, মানুষ কি করে যে এতো খায়, একটু বিলিয়ে দিলে কি হয়। স্বপ্ন ভাসিয়ে দিয়ে, স্বপ্ন বাজ তরুনকে হতাশ হতে দেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকেছি নিজেরই অজান্তে । নির্ভেজাল ভালোবেসে যাওয়া প্রেমিককে ধোকা খেয়ে নরক যন্ত্রনায় কাতরাতে দেখে ভেঙ্গে চুরে সব তস নছ করে দিতে নিজের চেয়াল শক্ত হয়ে ওঠা লক্ষ করেছি নিজেই । ঘরে বউ রেখে ওসমানি উদ্যান, ধানমন্ডি লেকসহ আরো কত যায়গায় পরকিয়ায় মজে থাকতেওতো কম দেখিনি ! বৃদ্ধ বয়সে মা বাবা কে প্রবিন নিবাসে রেখে আসার কথা গর্ব নিয়ে ঘোষনা দিতেও শুনতে হয়েছে অনিচ্ছা সত্তে। একই সাথে ৫ জন প্রেমিকের মন জোগানোর কথা গল্পে পরলেও বাস্তবেই দেখারও দুর্ভাগ্য হয়েছে। দুধের শিশুকে রেখে নিজেদের অপ্রয়োজনীয় কাজে ছুটতে দেখে বলতে পারিনি কিছুই। আবার নিজেকে বাবা মাযের একসিডেন্ট চাইল্ড বলতেও শুনেছি অসহায ভাবে। মানুষকে যন্ত্রনা দিয়ে সুখ পেতেও দেখলাম এরই মাঝে। আর এই সব গুলোরই বিপরিত চিত্রও দেখেছি এই চোখে। জীবনের এই দেখা বিষয়গুলো নিজের ভিতর থেকে একটু একটু করে তুলে ধরতে চাই , কিছুই না হলেও নিজের বুকটাতো হালকা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৪৯