আট ঘন্টার গাড়ি জার্নি তার পরে দিনাজপুর। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে পথ যেন শেষই হয়না।তার উপর খুব একটা ভালো গড়ি নেই এই রুটে,এসি গাড়িতো নেই-ই। ফিরবো শনিবার ,তাই আগে থেকেই গাড়ির টিকিট কনফার্ম করাই ছিল। তবুও কিছুটা আরাম দায়ক হবে ভেবে ট্রেনে টিকেট কাটতে গেলাম।
বিদ্যুৎ নেই ,সুতরং টিকেট বন্ধ! তাই সেলস অফিসারও নেই। এরই মধ্যে অনেক লোকই জমা হয়েছে টিকেটের জন্য। ঘন্টা পার করে তিনি এবং তিনি আসলেন। কম্পিউটার স্কিনে ভেসে উঠলো চেয়ার সিট,বার্থ খালি নেই।
বিদ্যুৎ জাবার কিছুক্ষন আগে যারা টিকেট নিতে এসেও বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অপেক্ষা করছে এবার তাদের চিৎকার, এটা কি বলেন,বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার আগেতো দেখলাম টিকেট আছে।
এবার সেলস থেকে উত্তর,ভাতিজা টিকেট দিচ্ছি, অতিরিক্ত ২০ টাকা দেও।
কিছুক্ষন কথা কাটাকাটি তার পরে সবার মত আমরাও নিলাম যথারিতি সালামি দিয়ে,কারন উপায় নেই গোলাম হোসেন , ট্রেন কাউন্টারে আসার সময়ই বাসের বুকিং বাতিল করেছিলাম ট্রেনের টিকেট আছে এটা কনফার্ম হয়ে।
টিকেট নিয়ে কয়েক জন প্রশ্ন করলেন কাউন্টারে বসা ভদ্রলোককে? কোর সমস্যা নেইতো?,উত্তরে ,সমস্য আবার কি কাউর্ন্টারের কম্পিউটারের টিকেট।সমস্য হলে আমিতো আছিই।আমার নাম আশ্রফ ,সহকারী বুকিং অফিসার।
দিনটা ছিলো ১১ জুলাই০৯, রাত ৯.১০ এর ট্রেন।
যথারিতি ৯ টায় ষ্টেশনে আসলাম, সময় পার হয়ে গিয়েছে অনেক্ষন ট্রেন কোথায়?
তথ্য কেন্দ্র থেকে মাইকে ঘোষনা, ১ ঘন্টা পরে আসবেন সে। তাই আবার অপেক্ষা।
১০.১৫ আসলেন, ঘোষনা আবার কেউ উঠবেননা। আরো এক ঘন্টা পরে,এতক্ষন ধোয়া
হবে ট্রেন।১১ টায় আবার ঘোষনা... আমরা অত্যন্ত দংখের সাথে জানাচ্ছি যে, ঙ বগিতে যারা আছেন বগিটি ডেমেজ তাই এই বগির যাত্রিরা টাকা ফেরত নেয়ার জন্য কাউন্টারে যোগাযোগ করেন।
ইন্না ........রাজেউন।