গত ১১ জুন বিশেষ প্রয়োজনে গিয়েছিলাম বরিশাল।লঞ্চের যাতায়াতের মজাই আলাদা,তাই লঞ্চেই ভ্রমন, সকাল বেলা লঞ্চ থেকে বরিশাল ঘাটে নামতেই ছোট খাটো জটলা। কৌতুহল নিয়ে এগিয়ে গেলাম ব্যাপার কি জানার জন্য।যেয়ে দেখলাম শ্রমজীবি কিছু লোক ঢাকা থেকে অনেক দিন পরে বাড়ি ফিরেছে ,তাই বাড়ির লোকদের জন্য ৬/৭ কেজি আম এবং আনারস নিয়ে এসেছে ব্যাগের মধ্যে ভরে ,তাই ব্যাগটি বড় মনে হচ্ছে। ঘাটে ইজারাদারের লোক পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে ঘাটের টাকা। যাত্রিরা তাদের বুঝিয়ে বলায়ও কাজ না হওয়ায় ব্যাগ খুলেও দেখালো অনেকে। কিণ্তু কাজ হলোনা ,আইন সৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সামনেই জোর করে আদায় করছে টাকা।তবে স্হানীয়দের কাছে ভেরার সাহস দেখাচ্ছেনা। এখানেই শেষ নয়,ঢাকার লঞ্চ থেকে নেমে অনেকেই ইঠছে লোকাল লঞ্চে বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার জন্যে,একই প্লাট ফর্মেই ঢাকা এবং এই সব লঞ্চ ঘাট হলেও লোকাল লঞ্চে উঠতে দ্বিতীয়বারও তাদের কাছ থেকে আদায় করা হছে ঘাট টিকেট এবং মালের জন্য ঘাটের চাঁদা।
বরিশাল থেকে১৪ জুন ঢাকা ফিরে আবার এরকমই তিক্ত অভিঞ্জতার মুখো মুখি হলাম ঢাকা সদর ঘাটে ।দেখলাম কি নিষ্ঠুর এবং অযৌক্তিক ভাবে জোর করে নিত্য ব্যাবহার্য ছোট্ট মালামালের জন্য আদায় করা হচ্ছে চাঁন্দা। লোক জনে বলা বলি করছিলো তত্তাবধায়ক সরকারের দুই বছর নাকি ছিলোনা এই চাঁন্দাবাজি ।
এ সব দেখে স্বাধিন দেশে বসবাস করছি নাকি পরাধীন দেশে নিজের কাছে কাছেই প্রশ্ন করলাম।স্বাধীনতো অবশ্যই , কিণ্তু এই কি স্বাধীনতা ?উত্তর কি দেব ভেবে পাচ্ছিনা তাই আপনাদের মুখো মুখিই হলাম।'' প্লিজ দিবেন কি কেউ উত্তর''