অনেক দিন পর আবার মেলে ধরলাম
৭ই জানুয়ারির সেইসব আলোকচিত্র-
যাতে আছে- বন্ধুত্বের খোলসে আবৃত্ত মায়াবিনী
প্রতিবেশির হিংস্র-কুৎসিত-বাস্তব রূপ।
আর আছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের আক্রমনাত্নক উস্কানি
যারা বন্ধুত্বের জয়রব মুখে নিয়ে
সীমান্তে অসহায় নিরীহ মানুষের উপর
ঝাপিয়ে পড়ে হত্যায়, ধ্বংসলীলায়।
এখনও মনে পড়ে--
লালপেড়ে শাড়ি আর মেহেদি রাঙ্গা হাতে
নতুন সংসারের অনাবিল স্বপ্ন দেখতে না দেখতেই
বন্ধুর ফুটন্ত হায়েনা সুলভ বাস্তব চিত্র।
পৃথিবীর সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেদিন
প্রকাশ্যে- সব মানবিকতার উর্দ্ধে উঠে
নিজেদের শক্তির প্রদর্শনির জন্য
একের পর এক- চলল গুলি- হত্যা-
শুধু হত্যায় সেদিন হায়েনাদের রক্ত পিপাসা
নিবারিত হয় নি। আর তাইতো-
মৃত লাশকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে
ফেলানীর বাসর রাতের স্বপ্নের মতোই
বাংলাদেশকে চুপসে দিয়ে তাদের উদর ভরেছিল।
সেদিনের ঝুলে থাকা ফেলানীর উড়ন্ত চুল
যেন শোকের কালো পতাকা
সব সীমান্ত শহীদদের আত্নার একাত্নতায়
বাংলাদেশকে শোকাহত ও স্তম্ভিত করে রেখেছিল।
আমি আবার দেখছি বন্ধু নামী হায়েনাকে
আজো আমি লুকিয়ে রেখেছি সে সব আলোকচিত্র
যাতে পরবর্তি প্রজন্ম সাবধান হয়
চিনে নেয় সীমান্ত কন্যা ফেলানীর খুনিদের।
আমি এখনো দেখি সীমান্ত মানিকদের-যারা শহীদ
ইচ্ছা হয় তাদের ফিরিয়ে আনি মায়েদের কোলে
কিন্তু তা তো হবার নয়--
তারা সবাই আজ স্রষ্টা প্রদত্ত স্বর্গবাসী।
ফেলানী, আমি তোমদের ফটোগুলি দেখি
প্রর্থণা করি বিশ্ব মানবতার নামে- বন্ধ হোক হত্যা
শাস্তি হোক যুদ্ধবাজ খুনিদের- বিশ্বের সর্বত্র
মুক্তি পাক সব ফেলানীর আত্না---
আর এ কবিতাই হোক শহীদদের কবরের স্মৃতিফলক...।।