প্রতি পূর্ণিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই
গৃহত্যাগী হবার মত জোছনা কি উঠেছে ?
বালিকা ভুলানো জোছনা নয়।
যে জোছনায় বালিকারা ছাদের
রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে-
ও মাগো, কি সুন্দর চাঁদ।
নবদম্পতির জোছনাও নয়।
যে জোছনা দেখে স্বামী গাঢ়
স্বরে স্ত্রীকে বলবেন-
দেখ দেখ নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর।
কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জোছনা নয়।
যে জোছনা বাসি স্মৃতিপূর্ন ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।
কবির জোছনা নয়।
যে জোছনা দেখে কবি বলবেন-
কি আশ্চর্য রূপার থালার মত চাঁদ।
আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জোছনার জন্য বসে আছি।
যে জোছনা দেখামাত্র গৃহের সমস্ত
দরজা খুলে যাবে-
ঘরের ভেতরে ঢুকে পরবে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব-
পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।
চারদিক থেকে বিবিধ কণ্ঠ ডাকবে- আয় আয় আয়।
-------------------------- হুমায়ূন আহমেদ
আজকের চাঁদ নাকি অনেক বড় হবে, অনেক ইচ্ছা করছে জঙ্গলে গিয়ে হিমুর মত চাঁদ দেখতে।