বাজেট কথাটি শুনলে দরিদ্র মানুষগুলোর অন্তরে এক ভয়ের সৃষ্টি হয়, মনের মাঝে দানা বাঁধে বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তা। বাজেটের পর বেড়ে যাবে দ্রব্যমূল্য। দরিদ্রের দুমুঠো খাবারে ভাগ বসাতে আসে জাতীয় বাজেট। বাজেট এমনি বাস্তবতা নিয়ে আসে বাংলার সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর জন্য।
মধ্যবিত্ত মানুষেরা স্বভাবতই হাত চেপে খরচ করে, বাজেটের কথা শুনলে মধ্যবিত্তের চাপানো হাত আরো চেপে যায়।
বিপাকে পড়ে সেইসব পিতামাতা যারা নিজেদের অভাব বুঝতে দেন না সন্তানদের। বাজেট মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক লজ্জা ঢাকার আব্রুকে টেনে নগ্ন করে ফেলে। মধ্যবিত্তকে টেনে নামিয়ে আনে নিম্নবিত্তের স্তরে।
তথাকথিত গন বাজেট তবে কাদের জন্য?????
হ্যাঁ! এই বাজেট তাদের জন্য যারা দরিদ্র আর মধ্যবিত্ত জনসাধারনকে শোষণ করেছেন। এই শোষণ বেআইনি অর্থনৈতিক শোষণ। আর শোষণকৃত অর্থ বেআইনি হওয়ার কারনে তা "কালা" হয়ে গেছে। তবে সুখবর হচ্ছে আওয়ামীলীগ আর বিএনপি উভয় দলই তাদের সামঝতার ভিত্তিতে "কালা টেকা ধলা করার" বিশেষ মেশিন স্থাপন করেছেন। এই মেশিনে পূর্ববর্তী সকল মেশিন থেকে অধিক কার্যকর, কেননা এই মেশিন দেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠীকে নিরবিচ্ছিন সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।
এই মেশিনে ধলা হবে শেয়ার বাজার থেকে লুট করা টেকা।
ধলা হবে রাজনীতিবিদের অবৈধ টেকা।
ধলা হবে দেওলিয়া ব্যবসায়ীদের সল্পসময়ে কামানো হাজার কোটি টেকা।
ধলা হবে আমলাদের ঘুষের টেকা।
ধলা হবে সরকারী অফিসের বড় সাবের পিওনের ছয় তলা বাড়ি।
আরো অনেক কিছুই লিখা যায়, কিন্তু লিখে কি হবে? এই কথাগুলো লিখতে অনেক কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে ভাবি ১৯৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত বৃথা গেছে। আমি সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারি বঙ্গবন্ধু এমন বাংলার স্বপ্ন দেখে নাই।তার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলার স্বপ্ন। মেজর জিয়া উৎপাদনমুখী বাংলার স্বপ্ন দেখেছিল। তারা নিজেদের স্বপ্ন নিজেরা পূরণ করতে পারে নাই। আবার স্বপ্ন পূরণের জন্য যোগ্য উত্তরসূরি রেখে যেতে পারে নাই।
আমারা বাঙ্গালীরা শিক্ষিত না। তাই নিজেদের অধিকার নিয়ে আমারা সচেতন নই।আসুন, মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তার জন্য একটি গণজাগরণ তৈরি করি। অন্যথায় ৭১ এর এক সাগর রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।