- জবিতে চলছে চরম মাত্রার সার্কাস।
★ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার মাত্র ৪ দিনের মাথায় এ খবর শিক্ষামন্ত্রীর কানে যায়, মন্ত্রী এ ব্যপারে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। এ প্রেক্ষিতে সেদিনই দোষী শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এবং তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়।
★ প্রথম তদন্ত কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ করে, ছাত্রী দুজনকে হয়রানি করে। এই কমিটি বাদ দিয়ে তখন আরেকটা উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়।
★ আর এই উচ্চতর তদন্ত কমিটি নিজেই ঐ দোষী শিক্ষককে ক্ষমা করার জন্য সুপারিশ করেছিলো। কত্ত বড় আস্পর্ধা!
★ নির্যাতিত ঐ দুই ছাত্রী বলেন; খোদ তদন্ত কমিটি তাদের মানসিকভাবে যথেষ্ট নির্যাতন করেছে, কোথায় কোথায় হাত দিয়েছে তা দেখাতে বলেছে, কিভাবে কি করেছে তা বলতে হয়েছে, অপ্রীতিকর কথাও বলেছে। ছাত্রীরা কমিটির এই কর্মকান্ড ভিসিকে অবহিত করেন।
★ ভিসি স্যার ঐ তদন্ত কমিটির এমন আচরণে ঐ কমিটি বাতিলের আশ্বাস দেন।
★ কিন্তু এই ভিসি-ই পরে এই তদন্ত কমিটি দিয়েই দোষী শিক্ষকের বিচার করেন, শাস্তি; আদর করে তিরস্কার করা।
যে ভিসি বললেন তদন্ত কমিটি বাতিল করবেন, মানে ঐ কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ তা প্রামাণিত, সেই কমিটি দিয়েই কিভাবে বিচার হয়?
★ আর তাছাড়া ঐ শিক্ষকের সব দোষ যেহেতু প্রমাণ হয়েই গেছে, তিনি দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছেন এটা খুবই স্পষ্ট সবার কাছেই। সেখানে কিভাবে যৌন নির্যাতনের শাস্তি শুধুমাত্র "একটুখানি আদর করে বকে দেয়া" হয়?
যেখানে এর আগে এই জবিতেই ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষককে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে।
হাউ সেলুকাস!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪