জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শ্রদ্ধাভাজন নাসির আহমেদ স্যারকে (অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ) চাকরীচ্যুত করা হয়েছে। অভিযোগ- প্রকাশনা জালিয়াতি।
ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির জার্নালে প্রকাশের জন্য একটি আর্টিকেল নাসির স্যারের নামে জমা পরে, যে আর্টিকেলটি চাইনিজ একজন অধ্যাপক অনেক আগেই প্রকাশ করেছিলেন। এবং স্যারের মারফতে এও জানি যে, ঐ আর্টিকেলটি স্যারের এক অতি আস্থাভাজন ছাত্র স্যারের নামে জমা করে। স্যার পরে লেখাটি উইথড্রো ও করে নেন।
যে লেখাটির জন্য নাসির আহমদ স্যারকে চাকরীচ্যুত করা হলো এমন কোনো লিখার কোনো অস্তিত্বই নেই।
ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক জনাব আকরামুজ্জামান ঐ ভার্সিটির জার্নালে প্রকাশের জন্য ঐ আর্টিকেল টি জমা দিয়েছিলেন, যাতে নাসির স্যারের নাম সংযুক্ত ছিলো। উক্ত লেখায় স্যারের নাম সংযুক্ত থাকায় স্যার লেখাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন এবং কতৃপক্ষ তার আবেদন গ্রহণ করে লেখাটি প্রত্যাহৃত হয়েছে মর্মে চিঠিও প্রদান করে। লেখাটি প্রকাশই হয়নি।
তাহলে কি দাঁড়ালো? যে লেখার জন্য তাকে চাকরীচ্যুত করা হলো সেই লেখার কোন অস্তিত্বই নেই, লেখাটি প্রকাশই হয়নি।
এটা স্পষ্টত ষড়যন্ত্র।
তাছাড়া, ২০১৭ সালে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা ড. হোসনে আরা জলি প্রকাশনা জালিয়াতি করে ধরা পড়েন, কিন্তু তার কিছুই হয়নি। উনি অপরাধ করেও কোন শাস্তি পেলেন না, আর নাসির স্যার অপরাধ না করেও এতবড় শাস্তি! মেনে নেয়া যায় না।
নাসির স্যারের জন্য খুব খারাপ লাগছে। ছাত্রদের পিতার মত আগলে রাখা মানুষটি এভাবে বিদায় নেবেন, মানা যায়না।
কোটা আন্দোলনে স্যার প্রথম থেকেই ছাত্রদের পাশে ছিলেন। ফেসবুক ও রাজপথে সরব ছিলেন। ছাত্রদের যেকোন আন্দোলনেই তাকে পাওয়া যেত সবার আগে।
হল আন্দোলনের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে, শিক্ষকদের মধ্যে একমাত্র উনিই রাজপথে থেকেছেন, ছাত্রদের সাথে। ছাত্রদের জন্য গুলি খেয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন। ছাত্রদের যেকোন সমস্যায় সবার আগে উনাকে পাওয়া গেছে। ছাত্রদের প্রয়োজনে উনার মত কেউ এগিয়ে আসেনি, আসেনা।
আর আজ উনি আমাদের এই জবির শিক্ষক নন। খারাপ লাগছে, খুব খারাপ লাগছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩