আজ সকালবেলা বাইরে বের হয়েছি, পরীক্ষা; পড়ার কিছু নেই। বন্ধুদের থেকে শীট কালেক্ট করতে হবে। হাটছি, এদিকে ব্রেকফাস্ট হয়নি। তো, লক্ষ্মীবাজারের একটা টং দোকানে চায়ের সাথে পাউরুটি আর কলা খেলাম। খাওয়া শেষে কলার খোসা আর পাউরুটির প্যাকেট ফেলার জন্য আশেপাশে ডাস্টবিন খুঁজলাম, পেলাম না।
ফেললে রাস্তাতেই ফেলতে হয়, কিন্তু মন সায় দিলোনা। ময়লা হাতে নিয়ে হাটছি, আর খুঁজছি কোথায় ডাস্টবিন পাওয়া যায়। অনেকদূর হাটলাম, নাহ; পুরো এলাকায় ডাস্টবিন চোখে পড়লো না। অগত্যা রাস্তার সাইডেই তা ফেলতে হলো।
এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকায় রাস্তার পাশে পাশে অনেক ডাস্টবিন লাগিয়েছিলেন। কিন্তু বেশি দিন সেগুলো টেকেনি। শুরুর দিকে দেখা গেছে ডাস্টবিন ফাঁকা, আশপাশে ময়লার ভাগাড়। আস্তে আস্তে সেই ডাস্টবিনগুলোও হারিয়ে গেছে। এখন গোটা শহরই খোলা ডাস্টবিন।
এইতো পয়লা বৈশাখের আগের দিন, ৩০ হাজার নাগরিক নিয়ে সাঈদ খোকন প্রতীকী পরিচ্ছন্নতার সমাবেশ করে রেকর্ড করলেন, কিন্তু তা শুধু প্রতীকী-ই, বাস্তবতা পাবেনা এই শহরের মানুষের কাছে। গোটা এই শহরটাই ডাস্টবিন হয়ে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১০