somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিভ্রম

১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"অদ্ভুত এক সমস্যার মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করছি আমি!"

আমার রুমের সোফার উপর ধপাস করে বসেই কথাটা বলল নাকিব। আমি বিছানায় বসে বই পড়ছিলাম আর চিপস খাচ্ছিলাম। বই থেকে মুখ না তুলেই বললাম,

"কি সমস্যা? "

রেগে গেলো ও। অল্পতেই রেগে যাওয়া স্বভাব কিনা!

বলল, "আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারছিস না তুই?"

"উহু!" প্যাকেট থেকে আরেক টা চিপস নিয়ে মুখে পুরলাম।

"আমি তোকে ইম্পরটেন্ট একটা কথা বলতে এসেছি; আর তুই ড্যাম কেয়ার ভাব নিয়ে বসে আছিস! ধুর! বলবো ই না তোকে কিছু!"



গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলো নাকিব। যাওয়ার আগে আমার দরজাটা ধরাম করে লাগিয়ে দিয়ে গেলো। কিন্তু আমার মধ্যে কোন ভাবান্তর নেই। কারণ আমি জানি একটু পরই ফিরে আসবে সে। তাই আমি নিজের মনে জাবর কাটতে কাটতে বইয়ের পাতা উল্টাতে থাকলাম।



"আচ্ছা, তুবুনি তুই এমন ক্যান? তোকে আমি ইমপরটেন্ট কথা বলতে আসছি। তুই কোন পাত্তাই দিচ্ছিস না! একটু মনোযোগ দিয়ে শোন না!"

ঠিক পাঁচ মিনিট পর এসে হড়হড় করে করে বলে গেল নাকিব। আমি বইটা বন্ধ করে ওর দিকে তাকালাম।

"বল এইবার।"



আমি ওর দিকে তাকাতেই যেনো বিরাট ভরসা পেলো ও। আর আমি শুনলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এই ভঙ্গি নিয়ে বলতে শুরু করল।



"কথার মধ্যে বাঁধা দিবি না। আমার কথা শেষ হলে মন্তব্য করিস।"

একটা মূহুর্ত চুপ করে আমার দিকে তাকালো ও। আমি যথেষ্ঠ গুরুত্ব নিয়ে ওর কথা শুনছি কিনা, বোঝার চেষ্টা করল হয়তো। তারপর সন্তুষ্ট চিত্তে আবার বলতে শুরু করলো,

"দোস্ত আমার মধ্যে থেকে ইমোশন মরে যাচ্ছে! কেউ মারা গেলে আমার মধ্যে কোন দুঃখবোধ কাজ করে না। এই ধর কিছুদিন আগে আমার দাদুমনি মারা গেলো, আমার একটুও কষ্ট হলো না। বরং মনে হল, মরে গিয়ে তো ভালোই হয়েছে! বেচারি এতদিন কত দুঃখ পেয়েছে ।এখন সব দুঃখ কষ্টের উর্ধ্বে চলে গেছেন! সবাই কত কাঁদল, অথচ আমার এক ফোঁটা পানি এলোনা চোখে । এমনকি শেষ দেখাও দেখিনি! ইচ্ছে করেনি!



প্রায়ই আমার আম্মুকে অসহ্য লাগে। সারাদিন প্যানপ্যান ই করতে থাকে। আমার সাথে, বাবার সাথে, নিশির সাথে। এটা -ওটা -সেটা নিয়ে। আমার খুব বিরক্ত লাগে। চিন্তা কর, আমার নিজের আম্মু! কি যে ভাবি আমি এইসব!



মাঝে মাঝে আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের অনেককেই খুব বিরক্ত লাগে। সায়েমের অতি পাকনামী আমার ভাল্লাগেনা। নিয়াজের পড়াশোনা নিয়ে অতি অহংকারী ভাবটা আমার খুব বিরক্ত লাগে! সায়মার সারাদিন রূপচর্চা নিয়ে এত মাতামাতি আমার কাছে খুব ন্যাকামী লাগে! সবচে মেজাজ খারাপ লাগে সাকিন কে! ওর মেয়ে ঘেষা স্বভাব টা দেখলে মাথায় আগুন ধরে যায়! বিশেষ করে যখন অযথাই তোর গায়ে স্পর্শ করে, তখন ইচ্ছে করে খুন করে ফেলি!

এইভাবে চোখ বড়বড় করে তাকাস না আমার দিকে। সত্যি বলছি। বন্ধু দের মধ্যে একমাত্র তোকেই আমার ভালো লাগে। তোর কিছুই আমার বিরক্ত লাগে না।



যাক গে, টপিক থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।সবসময় এইসব উদ্ভট চিন্তা আসে না আমার মাথায় । কিন্তু যখন আসে, তখন দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে যাই। নিজেকে হিংস্র পশুর মত লাগে। মানুষ মনে হয় না। নিজের উপরে কোন নিয়ন্ত্রণ ও থাকেনা। যার উপর মেজাজ খারাপ হয়, ইচ্ছে করে তার গলাটা চেপে ধরি! মনে হয় ধারালো ব্লেড দিয়ে রগ কেটে দেই!

পরে আবার এইসব ভেবে খুব কষ্ট পাই। কেনো আমি এত উল্টাপাল্টা কথা ভাবি? যখন স্বাভাবিক থাকি; তখন এইসব চিন্তা করে খুব অনুশোচনা হয়। কখন কি অঘটন ঘটিয়ে ফেলি; এই আশঙ্কায় অস্থির লাগে! মাঝে মাঝে মনে হয়; সুইসাইড করে ফেলি। তাহলে অন্তত আমার দ্বারা কারোর কোন ক্ষতি হবে না।



কি করব আমি বল তো?"



এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে গ্লাসে রাখা পানিটা ঢকঢক করে খেয়ে নেয় নাকিব। উত্তরের আশায় আমার দিকে তাকিয়ে থাকে ও।



কি উত্তর দিবো আমি! বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষের মন মানষিকতা এমন রোবটিকই। কিন্তু সমাজের অন্য সব মানুষ গুলো প্রতিনিয়তই দক্ষ অভিনেতার মত অভিনয় করে যাচ্ছে, যার জন্য কারোর এইসব হীনমন্যতা কখনো প্রকাশ পায় না। কিন্তু এই আলাভোলা সহজ সরল ছেলেটা এগুলো ভেবেই টেনশনে অস্থির হয়ে যাচ্ছে! কি সমাধান দিবো ওকে আমি?



সহজ সরল এই ছেলেটাকে আমার খুব ভালোলাগে। কী নির্দ্বিধায় নিজের একগাদা দোষের কথা আমাকে বলে দিল! যা লোকে নিজের মধ্যে কত সহজেই লুকিয়ে রাখে। কী নিস্পাপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে! আবার বলে কিনা এরজন্য সুইসাইড করতে ইচ্ছে হয় ওর! বলদ কোথাকার !



"কিরে? কিছু বলবি না? কি দেখছিস হা করে? আমি তোর কাছে সমাধান চাচ্ছি! "

অধৈর্য গলায় বললো নাকিব।

তবুও আমি চুপচাপ ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।আবারো রেগে গেলো ও।

বলল; "তুই কিছু বলবি না তো? ওকেই! ইটস অল রাইট! আই ক্যান ম্যানেজ!"

গটগট করে হেঁটে বেরিয়ে গেলো সে।



****

মোবাইলের ভাইব্রেশন এর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমার। বিরক্তিতে চোখমুখ কুচকে গেলো আমার্। একটা চোখ খোলা রেখে মোবাইল স্ক্রীনের দিকে তাকালাম। এবং স্ক্রীনে ভেসে ওঠা নাম টা দেখে নিমিষেই ঘুম পালিয়ে গেলো চোখ থেকে। ফোনটা কানে ঠেকিয়ে ওইপাশের কথা শুনতেই আঁতকে উঠলাম।

"ওকে আমি আসছি এক্ষুনি"

বলেই বিছানা থেকে নেমে; জুতোটা পায়ে গলিয়েই দৌড় দিলাম। নাকিব দের বাসাটা পাশের গলিতেই।



"সুইসাইড করেছে!"

প্রচন্ড অবিশ্বাস নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম নাকিবের চাচীকে। ওর আম্মু বাকহীন হয়ে বসেই আছেন।

"ওইরকমই তো মনে হচ্ছে । সাঁতার জানতো না ও। নদীর পাড়ে পাওয়া গেছে লাশটা। রাত দশটায় কাওকে কিছু না বলে তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে। বারোটার পর ও বাসায় না ফেরায় ওর মা কল করে ওকে পায়নি। ভোরে নদীর পারে জেলে মাছ ধরতে গিয়ে ওকে পেয়েছে।ওর প্যান্টের পকেটে সবকিছুই ঠিকমতোই ছিলো। শুধু মোবাইলটা পাওয়া যায়নি। হয়তো ভেসে গেছে ওটা।"



আর কিছু বললেন না তিনি। আমারো আর কিছু করার নেই এইখানে । নাকিবের আম্মুর রুমে গিয়ে তাঁর পাশে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইলাম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীরবতাই অনেক কথা বলে। বিকালে আবার আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এলাম ওদের বাসা থেকে।



****

বুকটা কেমন যেনো ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। সাধাসিধা ছেলেটাকে আমার খুব ভালো লাগতো। কেন সুইসাইড করতে যাবে ছেলেটা? চকিতে ওর সাথে আমার শেষ কথোপকথন গুলো মনে পড়ে গেলো! ও বলেছিল ওর সুইসাইড করতে ইচ্ছে হয়। আবার এও বলেছিল সে নাকি নিজের ব্যবস্থা নিজেই নিতে পারবে! কি ব্যবস্থা নিয়েছিল ও? জানতে হবে আমাকে! ভার্সিটির দিকে পা বাড়ালাম আমি। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে । কেনো যে ওর কথাগুলোয় গুরুত্ব দিলাম না! কান্না পাচ্ছে খুব।



ক্যাম্পাসে গিয়ে সরাসরি আমাদের আড্ডা দেওয়ার জায়গায় চলে গেলাম। জানি, সবগুলোকে এইখানেই পাব। ছিলো সবাই ওখানেই। মনমরা হয়ে বসে আছে। নাকিব কে সবাইই পছন্দ করত। পছন্দ করার মতোই ছেলে ছিলো ও। সায়মাকে দেখলাম, একটুও সাজেনি আজ। আমাকে ধরে ঝরঝর করে কেঁদে দিল।



"তুবা!"

পিছন থেকে সায়েমের গলা শুনতে পেলাম।

"তুইতো সম্ভবত সবকিছুই জানতি। আমাকে ও কিছুটা বলেছিল ও। ওর সুইসাইডটা দুঃখজনক!"

আফসোস এর সুরে বলল সায়েম।

"তোকে কি বলেছিল ও?আমি যে জানি সেটাই বা কিভাবে জানলি!"

তীক্ষ্ণ গলায় জিজ্ঞেস করলাম।

"নাকিবই বলেছিল আমাকে। দাড়া দোস্ত; আমার একটা কল এসেছে। আসছি।"

তাড়াহুড়ো করে চলে গেলো ও। যেনো পালালো । আমি অবাক হয়ে কিছুক্ষণ ওর গমনপথের দিকে তাকিয়ে থেকে বাকিদের সাথে এসে বসলাম । এমন সময় কোত্থেকে যেনো সাকিন এসে বসল আমার পাশে। আমি কিছুক্ষণ ওর বসার জায়গাটার দিকে চেয়ে রইলাম। এখানে সবসময় নাকিব বসতো।



"কি খবর তুবা?" বেশ খুশি খুশি গলায় জিজ্ঞেস করল সাকিন। আমি কিছুটা অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালাম । ওকে দেখে মনে হচ্ছে না, ওর বন্ধু মারা গেছে!

"এইতো চলছে।" শুকনো গলায় জবাব দিলাম।



একটা কথা মনে হতেই মোবাইলটা বের করলাম। ফেইসবুকে নাকিবের শেষ স্ট্যাটাসটা দেখা জরুরী। লগইন করতে গিয়ে দেখি মেগাবাইট নেই। মেজাজটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল । পাশে ফিরে দেখি সাকিন আমার দিকেই তাকিয়ে একদৃষ্টিতে। আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম; "দোস্ত তোর ফোন টা একটু দিবি? আমারটায় মেগাবাইট নাই"

"সিওর সিওর! " গদগদে গলায় জবাব দিয়ে ফোনটা বের করে দিলো ও। "ফেইসবুক ব্রাউজার দিয়ে ঢুকিস" বলল সে।

মুখ তুলে তার দিকে তাকালাম। "ওটা দিয়ে ঢুকতে হবে কেন?"

"না মানে, ওটায় কোন আইডি সেইভ নেই। সহজেই ঢুকতে পারবি।"

"ও, আচ্ছা।"

বলে মোবাইলের দিকে তাকালাম। কিন্তু ততোক্ষণে অভ্যাসমত অপেরা মিনিতে ক্লিক করে ফেলেছি। সরাসরি একটা হোমপেজ ওপেন হলো। গাধাটা লগ আউটও করেনি। সে তো আর ভাবেনি, আমি তার ফেইসবুকে ঢুকব। লগ আউট করতে যাবো, কী যেন মনে করে "মেসেজেস" এ ক্লিক করলাম । লিষ্টের প্রথম নামটাই সায়েমের্। সায়েম আর সাকিনের কনভার্সেশন দেখে আমি থমকে গেলাম! রাগটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে!



সাকিনের মোবাইলটা ফিরিয়ে দিলাম। ওটার আর কোন প্রয়োজন নেই। মূহুর্তেই আমার কর্তব্য নির্ধারণ করে ফেললাম। আমি জানি আমি কী করতে যাচ্ছি।



আমার ফোন থেকে তমাকে মেসেজ পাঠালাম,

"স্টোর রুম টার চাবি বের করে রাখ, আমি আসছি।"

সাকিনের দিকে ফিরে বললাম; "দোস্ত আমার সাথে একটু যাবি?"

লাফিয়ে উঠল সে;

"অবশ্যই অবশ্যই! চল, কই যাবি!"



জানতাম, রিএকশন টা এইরকম ই হবে। বাঁকা একটা হাসি দিয়ে রিকশায় চড়ে বসলাম।



বাসায় পৌঁছে দেখি, তমা কাজের ছেলেটাকে চাবি হাতে নিচে পাঠিয়ে দিয়েছে। স্টোর রুমটা বলতে গেলে আমার জিনিস পত্রে ঠাসা! আমার যত বই, সব এইটার মধ্যে। মরচে পড়া চাবিটা দিয়ে তালাটা খোলার ব্যর্থ চেষ্টা করছি। আসলে ভান করছি, যাতে সাকিনের সাহায্য চাইতে হয়।

'দোস্ত! খুলতে পারছি না। দেখ না একটু?"

ওর দিকে তাকিয়ে করুণ গলায় বললাম ।

"দেখি দে। কি এইটার মধ্যে? "

"একসময় খুব বই পড়তাম। সব এইটার মধ্যে ।একটা বই দরকার। তোকে এনেছি একসাথে খুঁজলে তাড়াতাড়ি খুঁজে পাবো। তাছাড়া সময়টাও বিরক্তি লাগবে না।" মৃদু হেসে বললাম । আমার দিকে তাকিয়ে চাবি ঘোরাচ্ছে সে। কুট করে তালা খোলার শব্দ হলো । সাকিন দরজা খুলে ভিতরে ঢুকছে। আমিও একটা ভাঙ্গা ফুলদানী হাতে নিয়ে ওর পিছুপিছু ঢুকলাম। এবং ওটা দিয়ে পিছন থেকেই ওর মাথায় দিয়ে সজোরে আঘাত করলাম! টলে পড়ে গেলো সে। দরজাটা আটকে নাইলনের শক্ত দড়ি দিয়ে কষে বাঁধলাম।



পাখি এখন বন্দী! কিন্তু এখন জ্ঞান ফিরাই ক্যামন করে?

উচুঁ হয়ে থাকা প্যান্টের পকেট দেখেই বুদ্ধি টা এসে গেলো মাথায়। পকেট চেক করতেই বেনসন লাইট এর প্যাকেট আর লাইটার পেয়ে গেলাম। সিগারেটটা ধরিয়ে দিলাম এক টান! খুবই অস্বাস্থ্যকর মনে হলো ওটার ধোঁয়াটা। নেভানোর জন্য কোন ছাইদানি খুঁজে পেলাম না। সত্যি কথা বলতে, খুঁজলামও না। ছাইদানি হিসেবে ব্যবহার করলাম, সাকিনের হাতের উল্টাপিঠ টাকে। গো গো শব্দ করে জ্ঞান ফিরল তার্। নিজেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় দেখে বোধহয় ভাল্লাগলো না ওর কাছে। তার উপর আমি তো সিগারেট টাকে নিভানোর জন্য তার শরীরের কয়েক জায়গায় ওটার জলন্ত অংশ ছোঁয়াচ্ছি। কোনটাই সুখকর হচ্ছে না সাকিনের জন্য। বললাম , "মুখ খুলে দিচ্ছি , যা জিজ্ঞেস করব ঠিক ঠিক উত্তর দিবি!"



টান দিয়ে টেপটা খুলে ফেললাম মুখ থেকে।

"নাকিব কে খুন করলি কেন?"

-

"চুপ করে থাকবি না। বল! কি করেছে ও?"

-

"তুই বলবি; নাকি সিগারেটের ছ্যাঁকা খাবি!"

-"আমি তোকে ভালোবাসি! আর নাকিব ভ্যাবলা টা সারাদিন তোর পিছুপিছু… … …"

"শাআলা ………"

ফ্লাওয়ার ভাসটা বাগিয়ে তেড়ে গেলাম সাকিনের দিকে ………



****

আমার চোখের সামনে দুইবার তুড়ি বাজালো নাকিব।

"কিরে? কিছু বলবি না? কি দেখছিস হা করে? আমি তোর কাছে সমাধান চাচ্ছি! "

অধৈর্য গলায় বললো নাকিব।

তবুও আমি চুপচাপ ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। রেগে গেলো ও। বলল, "তুই কিছু বলবি না তো? ওকেই! ইটস অল রাইট! আই ক্যান ম্যানেজ!"

গটগট করে হেঁটে বেরিয়ে গেলো সে।



তাড়াহুড়ো করে বিছানা থেকে নামলাম আমি। হাত ধরে থামালাম। তারপর জাপটে ধরলাম ওকে। বললাম;

"আমি তোকে ভালোবাসি! তোর সব অদ্ভুত সমস্যার সমাধান আমি করে দিবো। তুই শুধু আমাকে ছেড়ে যাস না প্লিজ!"



হতভম্ব নাকিবও দুহাতে জড়িয়ে ধরলো আমাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×