ডাক্তার না পতিতা?
ডাক্তারদের অনেকেই আদর করে কসাই ডাকত,এখনো ডাকে! কসাই কাটে দিনে দুপুরে,এরা কাটে চেম্বারে,হসপিটালে।”” নচিকেতার ‘ও ডাক্তার’ শিরনামের গানে তা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন “”
ফেসবুক দুনিয়ায় বিচরণকারী কিছু উঠতি ডাক্তারদের কাছে এমন ঘৃনা যুক্ত রম্যরসিকতা পছন্দ হলো না। তারা পালটা একটা একটা শ্লোগান দিয়ে দিল।
“”আপনি মানুষ,আমি ডাক্তার।
আপনি পশু,আমি কসাই””
বেরসিক ডাক্তার হয়ত ভুলেগেছে,পশুরও ডাক্তার আছে।
তবে কসাই না,ডাক্তারদের অনেক মিল খুঁজে পেলাম পতিতাদের সাথে। এবার রসিক ডাক্তার হয়ত শ্লোগান দিবেন না
“”আপনি খদ্দের, আমি পতিতা””
ভুলেও না!
এই ভদ্র সমাজ পতিতা কি চিনেনা,আধুনিক সমাজ কলগার্ল,কবিসাহিত্যিক নিশি কন্যা। সমাজ পতিরা তাদের সমাজের ‘উত্তেজক প্রমশক’ বলিয়া চিনে।
আসুন একটা গল্পের মাধ্যমেই আপনাদের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
বনানী-কাকুলি ওভার ব্রিজের পাশে অনেকগুলো আবাসিক হোটেল আছে। এরা যারেতারে ডাকে। বুড়ো ছেলে,ছোট সবাইরেই দালাল ডাকবে,মামা লাগব? প্রথম কয়েকদিন বুঝি নাই,পরে বুঝার পর নিজের কাছেই খারাপ লাগল,দেশের কত অধঃপতন, পুলিশের সামনেই এমন,যা হোক ভার্সিটি যাওয়ার রুট চেঞ্জ করেফেল্লাম। ভার্সিটিতে এক ফ্রেন্ড ছিলো,সে আবার তাদের নিয়মিত খদ্দের,একদিন সে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেছে ২/৩ জন ক্লোজ ফ্রেন্ডকে।
“”কেউ গেলেই ওদেরই লোকজন টানাটানি করে তোমাকে নিয়েযাবে,তার কাছে ভালো কিছু আছে অন্যদের থেকে, এগুলা বুঝাবে। এই লোকদের দালাল বলে। যা ই করো টাকা দিতে হবে,টাইমিং শেষ কাজও শেষ। টাইমিং যদি সারাদিন লাগে ত একবার টাকায় সারাদিনই। তার ভাষায় রাউন্ড,প্রতি রাউন্ডের জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে। টাকা দেয়ার পর তুমি কি করো দেখার বিষয় না,হাত ধরে বসে থাকো,গল্প করো বা সামান্য দেখা করেই চলে আসবে তোমাকে টাকা দিতেই হবে। এখানে যে মেয়েটা টাকা নিচ্ছে সে পতিতা আর যে টাকা দিচ্ছে সে খদ্দের,দালাল পতিতার থেকে কমিশন পায়””
ভদ্র সমাজ কিছুটা ধারণা পেয়েছেন, আশা করাযায়।
আল্লাহর রহমতে আমি খুব একটা অসুস্থ হই না। তাও ১৩/১৪ সালে হঠাৎ করেই জ্বর, বাসার কাছেই এক ডক্টর চেম্বারে গেলাম। ডাক্তার তখন হয়ত আসে নাই বা একটু বিজি ছিল কিন্তু আমার অপেক্ষা করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না,এই জ্বর নিয়ে।
এমন সময় এক লোক জিজ্ঞাস করল,স্যার আপনারা ডাক্তারের কাছে আসছেন?
বললাম হ্যা।
--এখানে ত দেখছি অনেক লম্বা লাইন,দেড়ি হবে,আমার পরিচিত একজন ভালো ডক্টর আছে,এক্স আর্মি ডক্টর। পাশের বিল্ডিং এ উনি বসেন।
এক্স আর্মি ডক্টর শুনে ভালই লাগল,ভালই হবে। চলেন যাই। যেয়ে দেখলাম বয়স্ক এক ভদ্রলোক, আমার জ্বর মেপে,চোখ,জিহ্বা দেখে কিছু ঔষধ দিলেন। জাষ্ট ৫/১০ মিনিট।
আমি চিন্তা করলাম,আমি ত ডাক্তারের কাছে খুব একটা আসি না,আমার ফেসে পিম্পল বা ব্রণ উঠছে,দাগও পরেযাচ্ছে যা বিরক্তিকর, জ্বরের সময় আরও বেশি উঠছে। ডাক্তাররে বললাম এর জন্য কিছু করেন। ডাক্তার জানালো আরেকদিন আইসেন,এখন না পরে। বুঝলাম তিনি এক টিকেটে দুইটা রোগ দেখবেন না। প্রতি রাউন্ডের জন্য আলাদা আলাদা টাকা,আমার টাইমিং শেষ।
বের হয়ে আসলাম,আমাদের যে লোক এইখানের কথা বলেছিল সে আসলে দালাল,রোগী সাপ্লাই দেয়াই তার কাজ,রোগীর জন্য কমিশন পায় ডাক্তার থেকে।বর্ণিত পতিতার টাইমিং,রাউন্ড,দালালের এবং ডাক্তার সাহেবের কর্মের খুব মিল পেলাম।
চাঁদপুর শহরের রিকশাচালকরাও ডাক্তারের কাছ থেকে কমিশন পায়। অন্য ছোট শহরেও একই অবস্থা। আব্বুর এক স্টুডেন্ট চাঁদপুর সদর হসপিটালে আছেন,উনি আবার আমাদের ফ্যামিলি ডক্টর। সেবার চাঁদপুর তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। নদীবন্দর থেকে রিকশা নিলাম,রিকশাচালক প্যাডেল চাপছে আর আমাদের জিজ্ঞাস করতেছে কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন? আমার পরিচিত ডাক্তার আছে,অনেক ভালো চিকিৎসা করে। পরে এক বড় ভাই বললো রোগী নিয়ে দিতে পারলে রিকশাচালকরাও কমিশন পায়।
ডাক্তার সাহেব আমাদের হসপিটাল থেকে তার বাসায় নিয়েগেলেন! বাসায় তার প্রাইভেট চেম্বার আছে। আজকাল অনেক ডাক্তার হসপিটাল থেকে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতে বেশি পছন্দ করে। বাড়তি কামাই হিসাবে।
আমাদের এক ভাড়াটিয়া, রাজউক কর্মকর্তা ছিলেন বছর ২/৩ আগে। হিন্দু ছিলেন,কিন্তু বোরখা পরা মেয়ে নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হলো,রাতে ফ্ল্যাটে যেয়ে ধরলাম,মেয়ের বর্ণনা শুনে বুঝলাম ইনি প্রাইভেটলি খুশি বাটেন,আবাসিক হোটেলে না। বাড়তি টাকা দিয়ে বাসায় নিয়ে এসেছেন। রাজউক সাহেবের কি হইছিলো তা আর বলছি না,এর পরে তাকে আর বাসায় ঢুকতে দেয়া হয় নাই। বাসা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
১৪/১৫ সালে নাওয়াখাওয়া নিয়া আমার চরম অবহেলায় সিক হয়েগেলাম। বাহিরে খাওয়া,ভাজাপোড়া খাওয়ার কারনে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলো। সারা বাসায় আমি একা,তার উপর অসুস্থ হই না,সামান্য অসুস্থতাও খুব পেয়ে বসে। সেদিন বিকালে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হইলো। আম্মু গ্রামে,তাকে জানালে সে অনেক টেনশন করবে। ভাইয়াকে জানালাম। সে তার ব্যবসায়ী কাজে মাগুরা আছেন,ফোনে ফোনে পরামর্শ দিচ্ছেন,তিনি বলেই দিলেন পেটে গ্যাসের কারনে এই সমস্যা।
পাশের ফার্মাসিতে গেলাম,সে আমাকে কিছু ঔষধ দিলো। এবং বুঝতে পারল না এটা অতিরিক্ত এসিডের কারনে না ক্ষারের কারনে। তাই ইনো দিল আর একটা পাউডার জাতীয় কিছু দিলো। একটা পানিতে গোলায়া খাওয়ার পর না কমলে ৩০/৪০ মিনিট পর অন্যটা পানিতে গুলায়া খেতে হবে।
এই ফার্মাসির হাতুড়াদের ঢাকার রাস্তার ভাসমান পতিতা বলতে পারেন। মাঝেমাঝে এদের কর্মকাণ্ড নিয়ে টিভিতে নিউজ হয়,পুলিশের অভিযান হয়। এরা নাকি বিভিন্ন রোগছড়ানোতে দায়ী। তার মানে মজার থেকে সাজা।
ভাসমান পতিতা তথা ফার্মাসির ঔষধ খেয়ে কিছই হলো না,আরও ব্যথা বাড়ল। এবং অসহ্য, তাই ব্যথার ইনজেকশন নিয়ে গেলাম আমার এলাকার এক প্রফেসরের কাছে। উনি এক প্রাইভেট মেডিকেলের প্রফেসর। তিনি আমাকে কত শত টেষ্ট দিলেন,ইউরিন,ব্লাড,আল্ট্রাস্নোগ্রাফী। তাও তার পরিচিত ডায়গনোসিস্ট সেন্টারে। বাধ্য হয়েগেলাম।তিনিও ব্যথানাশক ইনজেকশন দিয়ে দিলেন,বিকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তিনবারে ৮ টা ইনজেকশন ( ৩+৩+২) আমার শরীর পুরো অবশ, ব্যথা ত দুরের কথা টাচ করলেই বুঝা যায় না। তার পরদিন রিপোর্ট দিবে,তা নিয়ে সন্ধ্যার পর দেখা করতে বল্ল!
এর ভিতর ছোট ভাইকে বাসায় নিয়ে আসলাম। বড় ভাই টাকা পাঠাচ্ছে, ডাক্তার যা বলছে, টাকা দিচ্ছি,টেষ্ট করাচ্ছি। বড় ভাই ফোনে ছোটাকে ইচ্ছামত ধোলাই দিতেছে। ওরে কোন সরকারি প্রোফেসর ডক্টর দেখা।
সারাটাদিন কষ্ট করলাম,সন্ধ্যায় রিপোর্ট নিয়েগেলাম। ডাক্তার আল্ট্রাস্নো গ্রাফীর রিপোর্ট দেখে, মুখ গোমড়া করে বললেন
“অস্পষ্ট ইমেজ,গ্যাসের কারনে দেখা যাচ্ছেনা, কিডনিজনিত সমস্যা হতে পারে,একখনো কিছু বলতে পারছি না। আমি রেফার করে দিচ্ছি,অতিরিক্ত পেইন হলে আজ রাতটা ‘আয়শা মেমোরিয়ালে ICU তে থাকেন ”
মুরুব্বি টাইপের,মাথায় টুপি,ভদ্র,বিনয়ী প্রফেসরের কথায় ভয় ধরেগেল। কিডনি সমস্যা? চোখের সামনে তখন ছোটবেলায় দেখা সেই বাংলা সিনেমার দৃশ্য। নয়কের কিডনি নষ্ট,মরার ক্ষণ বুঝি চলে আসছে। ডাক্তার আজ শুধু রিপোর্ট দেখলেন, আর আগের ঔষধ চালিয়ে যেতে বললেন। আগামীকাল আবার আসতে বললেন। আরও টেষ্ট দিবে। ৫/৭ মিনিটে তাকে ফুল ফী ই দিতে হলো। এই ২/৩ দিনে আমার খরচ ১২ হাজার প্লাস!
এই ডাক্তার পোষ্টের শুরুতে বর্ণিত ফ্রেন্ড্রের পতিতার মত,যে কাষ্টমার ধরে রাখে। কখনই চায় না কাষ্টমার চলে যাক। এই ডাক্তারও চায়না রোগী সহজে ভালো হয়েযাক,ভালো হোক,আরও কিছু খরচাপাতি করে। তাতে তারই লাভ।
ভাইয়া এবার ফোনে আমাকে বুঝালো,এসব বাদ দিয়ে তুই কোন সরকারি হসপিটালে যা,এসব বাদ দে। একটু দূরে, কষ্ট হলেও। রাতটা কষ্ট করে কাটিয়ে দিলাম।
ফজরের আজান দেয়ার পরেই ছোট ভাইরে নিয়ে সরওয়ার্দী হসপিটালে চলেগেলাম। ইমার্জেন্সিতে ১০ টাকার টিকিট কেটে ভর্তি হলাম,ব্যাকে ২ টা ইনজেকশন দিল। ঔষধ লিখে দিল,ফার্মাসিতে থেকে নিয়ে আসল ছোট ভাই। একটু রেষ্ট নিলাম,ব্যথা কমতে থাকল। বাসায় আসতে আসতে ৮০% ব্যথা কমেগেল। এখানে আমার খরচ ৩৪০+ টাকা।
ইনজেকশন আমি খুব ভয় পেতাম,১০-১২ টা ইনজেকশন নিয়ে ভয়টা চলেগেছে অনেকটা।
এইত গেল আমার সাথে ঘটা ঘটনা। এক বড় ভাই জানালো তার রিলেটিভের অবস্থা খুব খারাপ,তাকে তিনি আজই সিঙ্গাপুর নিয়েযেতে চান,এয়ার এম্বুলেন্সে। রেফার হিসাবে ডাক্তারে সাইন লাগবে,যার আন্ডারে এখন তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। সে শুধু সাইন দিবে তাই তার সাথে টিকিট কেটে দেখা করালাগল,সে জানালো রোগী ভ্রমন করতে পারবে না। তিনি রেফার করবেন না। ২/১ মিনিটের ভিতর ভাই বের হয়ে আসলেন। কিন্তু দিতে হলো ফুল ফী।
পতিতার রুমেও আপনাকে ফুল পে করতে হবে। তা দেখা করেন আর তার সাথে ইনজয় করেন। টাকাপয়সা ফুল পে।
ডাক্তার পেশাটা একটা মহান পেশা, আল্লাহর পর কেউ যদি জীবন বাচাতে পারে সে হলো ডাক্তার। অনেক রোগী হসপিটালের বারান্দায় গেলেই ৫০% সুস্থ হয়েযায়। কারন সে বিশ্বাস করে,এমন একজনের কাছে এসেছি যার পরামর্শেই এই রোগ ভাল হয়েযাবে।
এই পেশায় সবাই আসতে পারেনা, অনেকষ্ট,পড়াশুনো, অনেক কিছু বিসর্জন দিয়ে আসতে হয়।
কিন্তু এই মহান পেশার অধিকাংশ লোক রোগীর গলায় ছুরি ধরে টাকা আদায় করে। তাদের সরল বিশ্বাস নিয়ে নিষ্ঠুর খেলায় মেতে উঠে,যার মুলে টাকা।
সবচে মজার ব্যাপার হলো আমার ভাগ্নে ডাক্তার, এনাম মেডিকেল থেকে বের হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে,
আমাকে যখন আক্কেল দাত উঠার ব্যাথার জন্য অনেকগুলো ঔষধ দিল এবং ডাক্তার ২/৩ দিন পরে কাউন্টারে টাকা জমা দেয়ার পরে তার সাথে মিট করতে বললো,দাত নাকি উঠায়া ফেলতে হবে। ডাক্তার চেম্বার থেকে বের হলেই দরজায় দাঁড়ানো ঔষধ কোম্পানির লোক প্রেসক্রিপশন দেখলো,তাদের কোম্পানির ঔষধ দিছে কি না!
ভাগ্নে বাসায় আসলে ওরে ঔষধ দেখালাম,ও বল্লো শুধু ব্যথারটা খা,আর বাকিগুলো দরকার নাই।মাউথ ওয়াশ দিয়ে সকালে কুলি করবে,ব্রাশ ত করা যাবেনা তাই। দাত উঠানোরও দরকার নাই।
ওরে তখন জিজ্ঞাস করছিলাম,মামা তুমিও এমন করবা? ও তখন ইন্টার্ন ছিল। ও যা বল্লো
""শুধু বের হতে দে ,এত টাকা দিয়ে কষ্ট করে পড়লাম,সব উঠাতে হবে না?"" এটা হয়ত সে ফান করে বলছে কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটতেছে। কষ্ট করে পড়ছে,তাই অতিরিক্ত ইচ্ছামত টাকা নিচ্ছে। তাহলে সেবাটা কই?
আমাদের আশেপাশের কিছু ডাক্তার আছে,বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, লোকটার নাম ভুলেগেছি। একদমই প্রচার বিমুখ এক লোক। চাইলে ৪/৫ হাজার টাকার ফি নিয়ে রোগী দেখতে পারেন,তাও রোগীর অভাব হবে না কিন্তু তিনি খুব অল্প নামে মাত্র ফী নিয়ে রোগী দেখেন। তার মত ডাক্তারের সংখ্যা খুবই কম। খুব কম।
ইত্যাদিতে দেখানো নিউজিল্যান্ড র ডাক্তারের কথা মনে আছে?
"ডাক্তার ভাই" নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি তার দেশ, আরামের জীবন ছেড়ে,তার সম্পদ বিক্রি করে এদেশের মানুষের জন্য মাটির ঘরে হসপিটাল নির্মান করেছিলেন। শুধু মানব সেবার জন্যই। আমৃত্যু তিনি এদেশে ছিলেন।
তাই বলে যে সবার এমন করতে হবে তা বলছি না। টাকা পয়সা সবারই দরকার আছে। তবে সেটা যেন অন্যকে জিম্মি করে না হয়। আর ডাক্তার এটা পেশা না, মানব সেবা বললেই ভালো মানায়। কারন সব রোগীরা তাদের কাছে যায় সেবার আশায়।
রোগী বা রোগীর স্বজনদের একজন ডাক্তারের সাথে যেমন পশুর মত আচরণ করা উচিৎ না, তেমনি ডাক্তারকেও নিজেকে পতিতা বানিয়ে রোগীকে খদ্দের সাজানো, কারো কাছেই কাম্য নয়।