হেডিং দেখেই চমকে যাবেন না! এটা পাত্রী চেয়ে কোন বিজ্ঞাপন না! বলছিলাম আমাদের সমাজের প্রায় সব ছেলেই আশা করে, সে একটা চরিত্রবান মেয়েকে বিয়ে করবে! যে মেয়েকে অন্য কোন ছেলে স্পর্শ করে নাই। আরও যদি খোলামেলা ভাবে বলি “যে মেয়ে কোন পুরুষের সাথে সেক্স করে নাই” তেমন মেয়ে। ভদ্র সমাজ এই মেয়ের নাম দিয়েছে “ভার্জিন” মেয়ে!
আমার ঢাকার এক দুর সম্পর্কের আন্টি ছেলেকে বিয়ে করাবেন,পাত্রী দেখার জন্য গ্রামে যাচ্ছেন। বর,আমার জানামতে ঢাকায়ই তার জন্ম। এখানেই সে বড় হয়েছে,পড়াশুনা এবং ঢাকায়ই সে চাকরি করছে! তাহলে গ্রামে কেন?? ঢাকায় কি সুন্দরী মেয়ের অভাব পরছে!!
আন্টির সুন্দর একটা জবাব “ঢাকা র মেয়েরা ত ভালো হয় না,পার্কে এখানে ওখানে ছেলেদের সাথে কি করে, কি পরে, আল্লাহ জানে! আমি চাই সুন্দর, সহজ,সরল এবং চরিত্রবান একটা মেয়ে!”
আন্টির একটা মেয়ে আছে,তারও ঢাকায় জন্ম,এখানেই বড় হয়েছে….উনি মনে হয় ভুলেগেছেন। ভুলে যাওয়ারই কথা। সে কখন কি করে তার খোজই তার কাছে নাই!
এবার আসি ভাইয়ের মানে পাত্রের কথায়, ভাই দেখতে শুনতে ভালই,স্ট্রিট রোমিও হিসাবে তার অনেক নামধাম আছে,তার বাইকে আজ এ মেয়ে ত কাল ঐ মেয়ে। ঢাকা শহরের সব মেয়ে মনে হয় তার বাইকে চড়েছে,এবার গ্রামের!!
আমাদের ফ্রেন্ডস সার্কেলে অনেকেই দেখবেন হাই-হুতাশ করে “চারপাশে যা দেখতেছি,পিউর মেয়ে মনে হয় কপালে নাই,সেকেন্ড হ্যান্ড বা কয় হ্যান্ড যে কপালে আছে আল্লাহ জানে”
অনেকে আবার সুন্দর সমাধানও বের করেছেন
“জন্মের পর থেকে মেয়েকে চোখে চোখে রাখতে হবে,অন্য ছেলেকে ধারে কাছেও আসতে দেয়া যাবে না,তাহলেই ভার্জিন মেয়ে বিয়ে করা সম্ভব” বাহ,সুন্দর আইডিয়া।
সবাই শুধু মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করে। আচ্ছা যে ছেলে এসব প্রশ্ন করে বা এসব নিয়ে ভাবে সে কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে
“আমি ভার্জিন”!
সব শুধু মেয়েদের উপর,তারা ধোয়া তুলসি পাতা। মেয়ে ভার্জিনিটি চ্যাক করার জন্য তারা অভিনব কত কায়দা বের করল,মেয়ে যদি তোমার ভার্জিনিটি চ্যাক করতে চায় কি জবাব দিবে?? কিভাবে প্রমান দিবে???
নিজে ঠিক থাকলে দুনিয়া ঠিক।
কোরআনে স্পষ্ট করে বলা আছে
“জীনাকারি নারী/পুরুষের সাথে শুধুই জীনাকারি নারী/পুরুষের বিয়ে হবে,কারন তারা অন্যদের জন্য হারাম”
এবার বুঝুন,আপনি ১০ টার সাথে লিটনের ফ্ল্যাটে গেলে আপনার বউও ১০ সাথে যাওয়া। আপনি ভার্জিন থাকলে বউও ভার্জিন পাবেন।
শুধু মেয়েদের/ছেলেদের ভার্জিনিটি নিয়ে চিন্তা না করে,নিজে কতটুকু পিউর সেটা নিয়ে চিন্তা করুন!
নিশ্চই আল্লাহ কারো প্রতি অবিচার করেন না!