কাউকে না কাউকে তো এগুলোর পরিকল্পনা করতে হচ্ছে- কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত করতে হচ্ছে, গুজব ছড়িয়ে উস্কানি দিতে হচ্ছে, ধর্ম গেল রব তুলতে হচ্ছে, লাঠি-বোমা-বন্দুক যোগান দিতে হচ্ছে; তারপরই না মাদ্রাসার কিশোর-তরুণ, শিবিরের কর্মী কিংবা সাধারণ ধর্ম প্রাণ মানুষকে পুলিশ কিংবা বিজিবি'র উপর হামলা করতে পাঠানো যেতে পারে, রেলাইন উপড়ে ফেলা, সড়ক অবরোধ, মন্দিরে হামলা, লুট পাট ইত্যাদিতে লিপ্ত করা সম্ভব হয়। এগুরো স্বত:স্ফুর্ত ভাবে ঘটছে এরকম ভাবার তো কোন কারণ নেই। তাহলে জামাত-শিবির-বিএনপি’র ঐ সব পরিকল্পনাকারীদের কেন সনাক্ত করা হচ্ছে না, গ্রেফতার করা হচ্ছে না? হামলার পরিকল্পনাকারীদের খুজে বের করে গ্রেফতার করা হলে তো দিনের পর দিন এভাবে হামলা চালাতে পারতো না জামাত-শিবির, আর এই হামলা ঠেকাতে গিয়ে পক্ষে বিপক্ষে প্রতিদিন এরকম প্রাণহানিও ঘটতো না যেটাকে জামাত-শিবির-বিএনপি চক্র গণহত্যা বলে চালাতে চাচ্ছে।
জামাত শিবির থানায় হামলার সময় সামনে রাখে মাদ্রাসার কিশোরদেরকে। এই কিশোরদেরকে ঠেকাবে কিভাবে পুলিশ? গুলি করলে গণহত্যা হবে আর গুলি না করলে নিজেরা মরবে। জামাত শিবির লাশ চায়, যে কোন মূল্যে লাশের সংখ্যা বাড়িয়ে সামরিক শক্তি ও দেশি বিদেশী হস্তক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে যে ঝুকির মধ্যে পড়েছে, সেই ঝুকি থেকে মুক্ত হতে চায়। এদের ফাদে পা দিলে, লাশের সংখ্যা বাড়লে এদেরই উদ্দেশ্য সফল হবে।
তাই এই ধারাবাহিক তান্ডবের মূল পরিকল্পনা কারী ‘তান্ডব-সংগঠক’দের কে খুজে বের করে গ্রেফতার করতে হবে যেন জামাত-শিবির আর লাশের রাজনীতি করতে না পারে।