স্ত্রী: আচ্ছা, আপনার পাজরের হাড় থেকে আমাকে বানানো হইসে!!!!!? কি অদ্ভুত লাগে ভাবতে!
স্বামী: জ্বি না গো! কাউকেই পাজরের হাড় থেকে বানানো হয়নি... হাওয়াকেও না।
স্ত্রী: তাহলে এটার ব্যাখ্যা কি?
স্বামী: তুমিই দেখ...
.... ইসহাক ইব’ন নসর (রহঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে আল্লাহ এবং আখিরাতের ওপর বিশ্বাস রাখে, সে যেন আপন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর তোমরা নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যহার করবে। কেননা, তাদেরকে সৃষ্টী করা হয়েছে পাঁজরের হাড় থেকে এবং সবচেয়ে বাঁকা হচ্ছে পাঁজরের ওপরের হাড়। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহলে ভেঙে যাবে। আর যদি তুমি তা যেভাবে আছে সে ভাবে রেখে দাও তাহলে বাঁকাই থাকবে। অতএব, তোমাদেরকে ওসীয়াত করা হল নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যহার করার। (সহিহ বুখারী)
স্ত্রী: এখানে তো বলা আছে, পাঁজরের হাড় থেকে
স্বামী: ঐ হাদিসটা বুখারী ৪৮০৭
... এই পাজরের হাড়ের ব্যাখ্যা তার আগের হাদীসে পাবা
.....৪৮০৬ আবদুল আযীয ইব’ন আবদুল্লাহ (রহঃ) হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নারীরা হচ্ছে পাঁজরের হাড়ের ন্যায়। যদি তোমরা তাকে একেবারে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে যাবে। সুতরাং, যদি তোমরা তাদের থেকে লাভবান হতে চাও, তাহলে ঐ বাঁকা অবস্থাতেই লাভবান হতে হবে। (বুখারী)
স্ত্রী: আচ্ছা বুঝলাম...
স্বামী: ঐ দুইটা হাদীসের ফোকাস কিন্তু স্ত্রীর সাথে সদব্যবহারের কিন্তু এই ফোকাস দূরে রেখে বোঝানো হয় নারীরাই বাঁকা স্বভাবের!!!
..... এইটা ঠিক না।
স্ত্রী: হুম্মম
স্বামী: পাজরের হাড় দিয়েও দুটা বিষয় বোঝানো যায়...
.... হাদীস দুটায় দেখ কোথাও বলেনাই তোমাদের (স্বামী বা আদমের) পাজরের হাড় থেকে... বলছে পাজরের হাড় থেকে...
স্ত্রী: রাইট
স্বামী: আর পাজরের হাড় দিয়েও সদব্যবহার বোঝানো যায়। কিভাবে জানো, পাজরের হাড় আমাদের হৃদয়ের নিকটবর্তী।সত্রীর স্থান স্বামীর হৃদয়ে, তার সাথে সদ্ব্যবহার করবে, তার ক্ষমতার অধিক চাপ সৃষ্টি করবে না,তার সাথে ইনসাফ করবে এটাই হাদিসটির মূল শিক্ষা।
স্ত্রী: মাশা আল্লাহ
স্বামী: দেখ অনেকে বলে হাড় থেকে সৃষ্টি বলা হওয়ায় নাকি নারীকে অবমাননা করা হয়েছে... অথচ যদি বলা হত পায়ের হাড় থেকে বা অন্য কোথাও তাহলেও অবমাননা হতো না কারণ আদমের বিষয় বলা হয়েছে, পচাঁ গলা কাদা মাটি!!!
স্ত্রী: অল্পজ্ঞানের ভয়ংকর বিদ্যা!
...... অল্পবিদ্যার ভয়ংকর জ্ঞান!
স্বামী: হুম...