আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) কে বলতে শুনেছি ঃ মহামহিম আল্লাহ দয়াকে শতভাগে বিভক্ত করেছেন। তিনি (এর) নিরানব্বই ভাগ নিজের কাছে রেখেছেন এবং মাত্র একভাগ পৃথিবীতে অবতীর্ণ করেছেন। এই একভাগের কারণে সৃষ্টিকুলের একে অপরের প্রতি দয়াপরবশ হয়, এমনকি ঘোড়া তার পায়ের খুর এই আশংকায় তার শাবকের উপর থেকে তুলে নেয় যাতে সে ব্যথা না পায়।
আবু বকর (রা) থেকে বর্ণিত, নবী (সঃ) বলেন ঃ যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না সে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়।
ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন ঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে আশ্রয় প্রার্থনা করে তাকে আশ্রয় দাও। যে ব্যক্তি আল্লাহর নামে কিছু প্রার্থনা করে তাকে দান কর। যে ব্যক্তি তোমাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে তোমরা তার প্রতিদান দাও। প্রতিদান দেবার মত কিছু না থাকলে তার জন্য দোয়া কর, যাতে সে অনুভব করতে পারে যে, তোমরা তার ভাল কাজের প্রতিদান দিয়েছ।
ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন ঃ তোমরা জ্ঞান দান করো, দ্বীনকে সহজসাধ্য করো, কঠিন করোনা এবং তোমাদের মধ্যকার কেউ ক্রদ্ধ হলে সে যেন নীরবতা অবলম্বন করে।
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত নবী (সঃ) বলেন, তোমরা বেশী হাসবে না। কেননা অধিক হাসি অন্তরের মৃত্যু ঘটায়।
আব্দুল্লাহ (রা) বলেন, আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের মধ্যে চরিত্র বন্টন করেছেন যেভাবে তোমাদের মধ্যে রিযিক বন্টন করেছেন। আল্লাহ যাকে ভালবাসেন এবং যাকে ভালবাসেন না তাদের সকলকেই সম্পদ দান করেছেন। কিন্তু তিনি ঈমান দান করেছেন কেবল যাদেরকে তিনি ভালবাসেন। অতএব যে ব্যক্তি সম্পদ ব্যয়ে কৃপণ, শত্র“র বিরুদ্ধে জিহাদে ভীত এবং ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণে দুর্বল, সে যেন বেশী পাঠ করে ঃ سبحان الله و الحمد لله ولا اله الا الله والله اكبر
আবু হুরায়রা (রা) বলেন, নবী (সঃ) বলেছেন ঃ তোমরা কি জান, কোন জিনিসের কারণে অধিকাংশ লোক জাহান্নামে যাবে ? সাহাবীগণ বলেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলেন ঃ দুইটি ছিদ্র ১) লজ্জাস্থান ও ২) মুখ। অপরদিকে কোন জিনিসের বদৌলতে অধিক লোক বেহেশতে যাবে ? আল্লাহর ভয় ও উত্তম স্বভাবের কারণে।