হাদীস শরীফে আছে, রসূল (স) বলেছেন, এলম দুই প্রকার, কলবী এলম ও জবানী এলম। এখানে কলবী এলম প্রকৃত এলম।
তাই আমাদের দুধরণের এলমই অর্জন করা ফরজ। কিন্তু আমরা কলবী এলম অর্জনের ক্ষেত্রে উদাসিন আবার অনেকে এ জ্ঞান সম্পর্কে খুবই কম জানি।
শরিয়াতকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : এলম বা জ্ঞান, আমল ও এখলাস বা বিশুদ্ধ নিয়্যত।
জবানী এলম- এলম ও আমল এর সাথে সম্পর্কিত আর কলবী এলম এখলাস বা বিশুদ্ধ নিয়্যত এর সাথে সম্পর্কিত।
ধরুন আপনি নামাজ পড়বেন তাহলে আপনার জন্য নামাজের সময় কিকি করতে হয়, কিভাবে নামাজ পড়তে হয় তা জানা অর্থাৎ উক্ত জ্ঞান জানা জরুরী পাশাপাশি নামাজ পড়া বা কার্যটি করাও জরুরী। এ দুটি কার্য অর্থাৎ নামাজ পড়ার জ্ঞান ও কার্য দুটি বাহ্যিক কার্য। কিন্ত নামাজে মনযোগী হওয়া বা নামাকে এখলাসের সাথে অর্থাৎ আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে একাগ্রচিত্তি নামাজ পড়ার জন্য এখলাস দরকার। একার্যের জন্য যে জ্ঞান অর্জন করতে হয় তা হলো কলবী এলম বা জ্ঞান।
হাদীস শরীফে আছে, রসূল (স) বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের বাম স্তনের দু'আঙ্গুল নীচে একটি মাংশ পিন্ড আছে যা সুস্থ থাকলে সমস্ত শরীর সুস্থ আর তা অসুস্থ হলে সমস্ত শরীর অসুস্থ, আর এর নাম হলো কলব।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, জিকিরের দ্বারা কলব পরিশুদ্ধ হয়।
কলব্ বা অন্তর বা অন্তকরন একই অর্থবোধক।
প্রত্যেক মানুষের সৃষ্টর সময় দুটি জিনিষ তার সাথে দিয়ে দেওয়া হয় একটি ফেরেস্তা ও আর একটি শয়তান। ফেরেস্তা তাকে ভাল পরামর্শ দেয় আর শয়তান তাকে খারপ পরামর্শ দেয়। জিকিরের দ্বারা কলব বা অন্তকরণ থেকে শয়তান বিতারিত হয় ফলে উক্ত মানুষের অন্তর থেকে যা পরামর্শ বা কার্য সম্পাদিত হয় তা সবসমই ভাল হয়।
আল্লাহর জিকিররের দ্বারা আমাদের অন্তর থেকে শয়তানকে তাড়ানো প্রত্যেকের জন্য খুবই জরুরী। অন্যথায় আমাদের নামাজ, রোজা, হজ্জ ইত্যাদি সকল কর্ম বিফলে যাবে।
আরও বিস্তারিত লিখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু ব্লগে বেশি লিখা সম্ভব নয়। কেহ যদি আরও কিছু জানতে চান তহলে প্রশ্ন করতে পারেন।
আর একটি কথা কেহ যদি কলবে আল্লাহর জিকির জারি করতে চান তহলে অবশ্যই একজন কামেল পীরের কাছে গিয়ে বায়াত হয়ে তার কাছ থেকে সবক নিতে হবে। আপনা কেহ চাইলে আমি আর কিছু বলতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩