somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রত্যেক নর নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ

২২ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাদীস শরীফে আছে, রসূল (স) বলেছেন, এলম দুই প্রকার, কলবী এলম ও জবানী এলম। এখানে কলবী এলম প্রকৃত এলম।
তাই আমাদের দুধরণের এলমই অর্জন করা ফরজ। কিন্তু আমরা কলবী এলম অর্জনের ক্ষেত্রে উদাসিন আবার অনেকে এ জ্ঞান সম্পর্কে খুবই কম জানি।

শরিয়াতকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : এলম বা জ্ঞান, আমল ও এখলাস বা বিশুদ্ধ নিয়্যত।

জবানী এলম- এলম ও আমল এর সাথে সম্পর্কিত আর কলবী এলম এখলাস বা বিশুদ্ধ নিয়্যত এর সাথে সম্পর্কিত।

ধরুন আপনি নামাজ পড়বেন তাহলে আপনার জন্য নামাজের সময় কিকি করতে হয়, কিভাবে নামাজ পড়তে হয় তা জানা অর্থাৎ উক্ত জ্ঞান জানা জরুরী পাশাপাশি নামাজ পড়া বা কার্যটি করাও জরুরী। এ দুটি কার্য অর্থাৎ নামাজ পড়ার জ্ঞান ও কার্য দুটি বাহ্যিক কার্য। কিন্ত নামাজে মনযোগী হওয়া বা নামাকে এখলাসের সাথে অর্থাৎ আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে একাগ্রচিত্তি নামাজ পড়ার জন্য এখলাস দরকার। একার্যের জন্য যে জ্ঞান অর্জন করতে হয় তা হলো কলবী এলম বা জ্ঞান।

হাদীস শরীফে আছে, রসূল (স) বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের বাম স্তনের দু'আঙ্গুল নীচে একটি মাংশ পিন্ড আছে যা সুস্থ থাকলে সমস্ত শরীর সুস্থ আর তা অসুস্থ হলে সমস্ত শরীর অসুস্থ, আর এর নাম হলো কলব।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, জিকিরের দ্বারা কলব পরিশুদ্ধ হয়।

কলব্ বা অন্তর বা অন্তকরন একই অর্থবোধক।

প্রত্যেক মানুষের সৃষ্টর সময় দুটি জিনিষ তার সাথে দিয়ে দেওয়া হয় একটি ফেরেস্তা ও আর একটি শয়তান। ফেরেস্তা তাকে ভাল পরামর্শ দেয় আর শয়তান তাকে খারপ পরামর্শ দেয়। জিকিরের দ্বারা কলব বা অন্তকরণ থেকে শয়তান বিতারিত হয় ফলে উক্ত মানুষের অন্তর থেকে যা পরামর্শ বা কার্য সম্পাদিত হয় তা সবসমই ভাল হয়।

আল্লাহর জিকিররের দ্বারা আমাদের অন্তর থেকে শয়তানকে তাড়ানো প্রত্যেকের জন্য খুবই জরুরী। অন্যথায় আমাদের নামাজ, রোজা, হজ্জ ইত্যাদি সকল কর্ম বিফলে যাবে।

আরও বিস্তারিত লিখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু ব্লগে বেশি লিখা সম্ভব নয়। কেহ যদি আরও কিছু জানতে চান তহলে প্রশ্ন করতে পারেন।

আর একটি কথা কেহ যদি কলবে আল্লাহর জিকির জারি করতে চান তহলে অবশ্যই একজন কামেল পীরের কাছে গিয়ে বায়াত হয়ে তার কাছ থেকে সবক নিতে হবে। আপনা কেহ চাইলে আমি আর কিছু বলতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×