আমাদের দেশে আর্মিরাই মনে হয় দেশের কর্নধার। সব সরকারই আর্মিগো তোষন কইর্যা চলে। সরকার পারলে পুরা দ্যাশটাই আর্মিগো দিয়া দেয়। শালার দ্যাশ!
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারী জনতার সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা শনিবার ভোর ৬টার দিকে রূপগঞ্জ-ইছাপুরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় ও সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গুলিবর্ষণ, কাঁদানে গ্যাস শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. জামাল (২৮) ও মো. মাসুমকে (১৫) এবং মাথায় আঘাত প্রাপ্ত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলী হোসেন (৩২) ও কনস্টেবল নাজিম আহমেদকে (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, জামালের হাটুর নিচে এবং মাসুমের তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কনস্টেবল নাজিম আহমেদের কপালের ডানদিকে আঘাত লেগেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জমি নিবন্ধন বন্ধ করে দেওয়া ও আর্মি হাউজিং প্রকল্পের নামে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে কায়েতপাড়া ও রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ২৪ টি মৌজার এলাকাবাসী শনিবার ভোর ৬ টা থেকেই কায়েতপাড়া এলাকায় রূপগঞ্জ-ইছাপুরা সড়কে এসে জড়ো হতে থাকে।
প্রায় ৭/৮ হাজার লোক রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। তারা টায়ারে আগুন ধরিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা ৭/৮টি গাড়ি ভাংচুর করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ইতিমধ্যে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ হাজার বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে পূর্বাচল উপশহর তৈরি করছে। রূপগঞ্জের পূর্বগ্রাম, মুশুরী, বাড়িয়াছনি, নাওড়া সেনা ক্যাম্প স্থাপন করে আর্মি হাউজিং প্রকল্পের কাছে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই ইউনিয়নে আবার ৬ হাজার বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে সেনাবাহিনীর আবাসন প্রকল্প তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জোর করে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে কৃষকদের। তাছাড়া ২৪ টি মৌজার জমি নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, মাঝিনা মৌজার ৭০ লাখ টাকার জমি আর্মি হাউজিং প্রকল্পে ১৬/১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভাইয়ের জমি ভাই, বোনের জমি ভাই, পিতার জমি পুত্র ক্রয় করতে পারছে না। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এখানকার কৃষক ও মৎস্যজীবীরা বেকার হয়ে পড়বে।
এর প্রতিবাদদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শনিবার সকালে রূপগঞ্জ কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি ফোরকান শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, "সকাল থেকেই ৭/৮ হাজার লোক বিক্ষোভ শুরু করে। রাস্তায় টায়ারে অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ও রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ২৪ টি মৌজায় জমি নিবন্ধন বন্ধ রাখা ও আর্মি হাউজিং প্রকল্পের নামে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে এলাকাবাসী গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে।
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪ডটকম