পুরস্কার বলতে সাধারণত আমরা মহৎ কাজের স্বীকৃতি কে বুঝি, মহৎ কাজের উৎসাহ কিংবা প্রণোদনা দিতে এর প্রচলন আমরা যুগে যুগে দেখে আসছি, জন্মের পর থেকেই আমরা চেতনে অবচেতনে এর ব্যবহার দেখে আসি- প্রথম বাবা বলে ডাকলে আমরা পুরস্কার হিসেবে চুমু পাই, একটা ছড়া মুখস্থ করে ফেললে চিপস্ কিংবা চকোলেট জোটে। বড় হওয়ার সাথে সাথে বাড়ে কর্মের পরিধি বাড়ে তার স্বীকৃতির পরিসর, পাল্টায় এর প্রকৃতি, পালটায় রীতিনীতি, অনেক সময় পাল্টে যায় এর নৈতিকতাও। বিস্তৃত পরিসরে যেমন কর্মের স্বীকৃতি জোটে তেমনি অনেক সময় সেটা বৃহৎ শক্তির বাধ্যতার পুরস্কার কিংবা বৃহৎ শক্তির অপরাজনীতির হাতিয়ার হয়ে যায়।হ্যাঁ যুগে যুগে কর্মের স্বীকৃতির পাশাপাশি শক্তিমানের নোংরা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেও পুরস্কার প্রদানের প্রথা চলে আসছে। আজ আমরা প্রথমে পুরস্কারের রাজনীতি সম্পর্কে জানবো, পরে জানবো ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের সাথে এর সম্ভাব্য সম্পৃক্ততার কথা।
যুগে যুগে পুরস্কার দেয়ার প্রক্রিয়াটি সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে, বশ্যতার কিংবা বাধ্যতার পুরস্কার স্বরূপ নানা গালভরা মনোলোভা এওয়ার্ড দিয়ে আসা হয়েছে কালে কালে, কখনো কখনো বিতর্কিত ব্যাক্তিকে মনোনীত করা হয়েছে বৈশ্বিক রাজনীতির প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে। এর কতটুকু ব্যাক্তির কাজের মূল্যায়ন এবং কতটুকু সে পুরস্কারের উপর ভর করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা তা প্রশ্নবিদ্ধ এবং বরাবরই ভাবনার অবকাশ রেখে দেয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পুরস্কার হিসেবে আমরা নোবেল প্রাইজকেই জানি, আসুন প্রথমে জেনে নেই নোবেলপ্রাইজ নিয়ে কিছু বিতর্ক এবং রাজনীতির কথা।
কিছু কিছু মানুষ থাকেন পৃথিবীতে কোন পুরস্কার দিয়ে যাদের সম্মানিত করা যায়না বরং পুরস্কারই তাদের হাতে উঠতে পেরে সম্মানিত হয়। শান্তির ক্ষেত্রে মহাত্না গান্ধী তেমনই একজন যাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার কেন কোন পুরস্কারই তার নীতি ও কর্মের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে সমর্থ নয়, নোবেল প্রাইজের সবচেয়ে বড় বিতর্কও তাকে ঘিরেই, পরপর ১২বার মনোনীত হওয়ার পরেও তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়নি। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার কন্ঠ এবং কট্টর জাতীয়তাবাদী গান্ধীকে কেন পুরস্কার দেয়া হয়নি তা সহজেই অনুমেয় যেখানে তার মতাদর্শের অনুসারী অনেকেই এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে গান্ধিজীর বিরোধ থাকায়, তাদের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় নোবেল প্রাইজের গান্ধিজীর হাতে ওঠার সৌভাগ্য হয়নি,নোবেল প্রাইজের ক্ষেত্রে একটি অলিখিত নিয়ম আছে- কট্টর জাতীয়তাবাদীদের হাতে কখনোইএই পুরস্কার দেয়া হয়না। নোবেল প্রাইজের উপর রাজনৈতিক প্রভাব থাকার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে এই একটি ঘটনাই জোরালো সাক্ষী হয়ে আছে, নোবেল পুরস্কারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার উদাহরণও এটিই...
অনেকেই বলাবলি করছেন বাঙালি জাতির নাকি অভ্যাস খারাপ, তারা নাকি নিজের লোকেদের ভাল কখনো সহ্য করতে পারেনা তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ ভাল করলে তার পিছে লেগে যায় আর সেজন্যেই নাকি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসকে যথাযথ সম্মান দিয়ে বাংলাদেশ গ্রহণ করতে পারেনি। নিজ দেশে নোবেলপ্রাপ্তদের বিরোধিতার ঘটনা কেবল বাংলাদেশেই ঘটেনি- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ঘটেছে, এবং এর সংগত কারনও ছিল কারণ অনেক দেশের মানুষই টের পেয়েছিলো এসব পুরস্কার প্রদান ছিল উদ্দেশ্য প্রণোদিত সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত। আসুন দেখে নিই এমন কিছু নমুনা।
তিব্বতের দালাইলামাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয় ১৯৮৯ সালে। পরবর্তীকালে বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হয় আমেরিকান সিআইএ’র সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা যা বর্তমানে সর্বজনজ্ঞাত, নব্বুইয়ের দশকে দালাইলামা এবং তার প্রতিষ্ঠান স্বীকার করেন সিআইএ’র কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অর্থ সাহায্য এবং সামরিক সাহায্য নেয়ার কথা। তিব্বতের সাথে চীনের পুরনো জাতিগত বিরোধ চলছিলো, চীনের সাথে ছিল আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার এবং এশিয়ায় আমেরিকান প্রভাব বিকশিত করার দ্বন্দ্ব, সে সময়ে দালাইলামার নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি চীন সরকারকে অনেকটাই পেছনে ঠেলে দেয় এবং অনেকেই মনে করেন সে সময়ে ইচ্ছে করেই কোল্ড ওয়ার ট্যাকটিক হিসেবে দালাইলামা কে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল, এতে লাভবান হয়েছিল আমেরিকা। চীনের মানুষ সে ঘটনা ভালোভাবে নেয়নি। এ থেকেও নোবেলপুরস্কারকে সাম্রাজ্যবাদীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ঘটনার আঁচ পাওয়া যায়,উদাহরন আছে আরও...
সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে আমেরিকার স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কিছু সোভিয়েত ইউনিয়নের মূল সুরবিরোধী বিতর্কিত লোককে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় যার জন্য কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছিল রাশিয়া এবং এর ফলশ্রুতিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গন ত্বরান্বিত হয়েছিলো। এর মাঝে আছেন মিখাইল গর্বাচভ যিনি তার গ্লাসনট ও পেরেস্ত্রয়িকা নামক লিবারেল তত্ত্বের জন্য আজো সমাজতন্ত্রীদের চক্ষুশূল। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরো নোবেল পেয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের আন্দ্রে শাকারভ এবং ওয়ালেসা যারা কট্টর সমাজতন্ত্রের বিরোধী ছিলেন এবং এর লাভটুকুও দিনশেষে আমেরিকার পকেটে যায়। উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যেকার স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়ার কেউ নোবেল শান্তি পুরস্কার পান নি তাই হঠাৎ করে এতো রাশিয়ানের নোবেল প্রাপ্তি এবং তাদের সবার কাকতালীয় ভাবে কট্টর সমাজতন্ত্র বিরোধী হওয়ার ব্যাপারটাও ভাবায় বৈকি। ব্যাপারগুলো সহজভাবে নেয়নি সেদেশের মানুষও।
২০০৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ইরানের সংস্কারপন্থী এডভোকেট এবং মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদী যার সাথে ইরান সরকারের নীতিগত বিরোধ ছিল, যিনি জেল খেটেছেন বেশ কয়েকবার। ২০০৩ সালে ইরানের উপর যখন পারমানবিক বোমা নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয় তখনই শান্তিতে নোবেল পান শিরিন এবাদি যা সে সময়ে পুরো ইরানজুড়ে বিতর্কের ঝড় তোলে এবং ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। সরকার বিরোধী শিরিন এবাদীর পুরস্কার প্রাপ্তি স্পষ্টতই সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে, লাভের গুড় খানিকটা হলেও যায় আমেরিকার পকেটে। উপরোক্ত এতো উদাহরনে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যুগে যুগে পুরস্কার প্রদানের সংস্কৃতিটা সবসময়ে স্বচ্ছ ছিল না এবং বিভিন্ন দেশেই পুরস্কারপ্রাপ্তরা সমালোচিত হয়েছেন তাদের স্বজাতির দ্বারা যা কেবল বাংলাদেশেই একমাত্র ঘটনা নয়- তাদের স্বজাতি তাদের বিরোধিতা করেছিল জাতির স্বার্থেই কারণ স্বজাতির লোকেরা জানতো বিভেদের অনলে ঘি ঢেলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কেবল নিজেদের স্বার্থই উদ্ধার করবে। এছাড়াও অসংখ্য বিতর্ক ঘিরে আছে নোবেল শান্তি পুরস্কারকে, হেনরি কিসিঞ্জারের মতো যুদ্ধবাজ অনেক নেতাও পেয়েছেন শান্তি কায়েমের(!) জন্য পুরস্কার।
পুরস্কার এবং ডক্টর ইউনুসঃ
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ডিজার্ভ করেন কি না সেটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক ইতোমধ্যে হয়েছে, আমি আর সেদিকে গেলাম না, তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি শান্তির চেয়ে তুলনামূলক ভাবে অর্থনীতিতেই তার ক্ষুদ্রঋণ তত্ত্বের প্রভাব বেশী, তাকে নোবেল দেয়া একান্তই প্রয়োজনীয় হলে অর্থনীতিতে দিলেই সেটা বেশী প্রাসঙ্গিক হতো। অবশ্য এতো মানুষের মৃত্যুর দায় কাঁধে নিয়ে হেনরি কিসিঞ্জার যদি শান্তিতেনোবেল পেতে পারে তবে হাজার হাজার মানুষের হাহাকার মেশানো মধ্যরাতের ঋণ পরিশোধ করার দুশ্চিন্তা, যে কয়জন লোক ঋণের দায় মেটাতে না পেরে আত্নহত্যা করেছে তাদের ফোঁস করে বের হওয়া শেষ দীর্ঘশ্বাস, গ্রামীনব্যাংকের কোন এক শাখা ব্যবস্থাপকের লাথি খেয়ে মরে যাওয়া লোকটির শেষ অপমানবোধ সত্ত্বেও ইউনুস সাহেবের শান্তিতে নোবেল জয় বিচিত্র কিছুনা। নোবেল জয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং আমেরিকার সাথে সখ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা এবং ইউনুস সাহেবের সেটা ভালোমতই আছে তাই এ পুরস্কার তিনি দাবী করতেই পারেন। কেউ কেউ দাবী করেন এই ভদ্রলোকের জন্য মানুষ বাংলাদেশকে চিনেছে এবং তিনি দেশের মুখোজ্জ্বল করেছেন তাই তার নিন্দা করা যাবেনা- এক্ষেত্রে আমার সামান্য দ্বিমত আছে- কেউ নকল করে পাশ করলে সে যতবড় পাশই দিক তাতে কোন লাভ নেই...আমার কাছে তার দুই পয়সার দাম নাই... আমি কাজে বিশ্বাস করি- সার্টিফিকেটে কিংবা পুরস্কারে না...!
কেউ কেউ বলেন ইউনুস নোবেল পেয়েছেন কিন্তু শেখ হাসিনা পাননি এজন্যেই নাকি আওয়ামীলীগাররা তার নিন্দা করে, আমি সে ব্যাপারটা নিশ্চিত নই তাই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা, যদি সেটা হয়ে থাকে তবে তার আন্তরিক নিন্দা জানাই, তবে আমি যতদূর জানি ইউনুসের নোবেলপ্রাপ্তির পর প্রথম সমালোচনা শুরু করেছিল বামপন্থীরা, সে অপবাদ কেন আওয়ামীলীগ কিংবা শেখ হাসিনার দিকে ঘুরলো সেটা আমি ধরতে পারছি না। তাছাড়া তিনি শাহবাগ সম্পর্কে কোন পজিটিভ মন্তব্য করেন নি বলেই যে তাকে গালাগালি করতে হবে সেটাও সমর্থন করিনা। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক শক্তি নন, তিনি সরকারের তেমন কোন দৃষ্টিগ্রাহ্য সমালোচনাও করেন নি, তার দালাইলামার মত কোন বিপ্লবীসংগঠনও নেই তাই তার ক্ষেত্রে পুরস্কারের রাজনীতি হয়ে থাকলে সেটা অন্যান্য রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রাপ্ত নোবেল লরেটদের চেয়ে ভিন্নই হবে- সে ব্যাপারে আলোচনা থাকছে এই নোটের পরবর্তী অংশে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের আমেরিকান কংগ্রেশনাল এওয়ার্ড পাওয়ার ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে বলে আমার মনে হয়, অনেক বড় এওয়ার্ডের পেছনেই ইতিহাস থাকে, সাম্রাজ্যবাদী নীলনকশা থাকে, এক্ষেত্রে কি হয়েছে কে জানে। যে এওয়ার্ড আমেরিকার সংস্কৃতি এবং ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য দেয়া হয়ে থাকে সে এওয়ার্ড কেন হঠাৎ করে ইউনুসকে দেয়া হলো সে হিসাব মিলছে না, অনেকদিন আগে নোবেল পাওয়ার পর জাতি তার বিশাল অবদানের কথা ভুলে যেতে বসেছিলো- সেই পুরনো স্মৃতি ভাল করেই মনে করিয়ে দিল এই এওয়ার্ড, কে জানে হয়তো তাকে নিয়ে সাম্প্রতিক অস্থিরতার মাঝে আমেরিকার বড় কোন প্ল্যান আছে। এ ধারণা যে একেবারে অমূলক কিংবা ভিত্তিহীন তা বলার কোন সুযোগ নেই- ওয়ান এলেভেনের সময় ডক্টর ইউনুস রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন সাম্প্রতিক অস্থিরতায় যে আবার আমেরিকার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে সে সুযোগ নিতে চাইবেন না সে সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না।
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এই পুরস্কার জয়ে কিংবা ইউনুসের সাফল্যে বিএনপি পন্থীদের খুশী হওয়ার কোন কারণ নেই, শত্রুর শত্রু বন্ধু হয় এই হিসাবে অনেকেই আপ্লুত হচ্ছেন হয়তো, তবে তা আগামীতে কাল হতে পারে, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস বিএনপি পন্থী না কিংবা ভবিষ্যতেও তিনি বিএনপি করবেন সে সম্ভাবনাও কম। তার তৃতীয় কোন শক্তি তৈরী করার সম্ভাবনাই বেশী এবং তা হলে যেমন তিনি যেমন আওয়ামীলীগের জন্য ক্ষতিকর হবেন তেমন বিএনপির জন্যও ক্ষতিকর হবেন, সাথে সাথে জাতির জন্যও ক্ষতিকর হবেন কারণ সাম্রাজ্যবাদীরা আপনার দুঃখে কখনো দুঃখিত হবে না সবার আগে তাদের চিন্তায় থাকবে নিজেদের স্বার্থের কথা-তারা যদি তৃতীয় কোন শক্তির উত্থান ঘটায় তবে তা নিজেদের স্বার্থেই করবে। এই দ্বিদলীয় বৃত্ত ভাঙ্গুক, নতুন কোন তৃতীয় শক্তি আসুক সেটা আমজনতার সবার মত আমিও চাই, তবে তা যদি অগণতান্ত্রিক হয় কিংবা আমেরিকার মত সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট হয় তবে তাতে আমাদের ঘোরতর আপত্তি আছে। কারণ সাম্রাজ্যবাদীদের মদদপুষ্ট তৃতীয় কোন শক্তি আসলে সে শক্তির হাতে আমি আপনি আমরা হবো কেবল ক্রীড়নক মাত্র... তাই চলুন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের পুরস্কার প্রাপ্তিতে কেবল আনন্দে গা ভাসানো বাদ দিয়ে ক্ষনিকের জন্যে হলেও ভাবি এর পেছনে অন্যকোন উদ্দেশ্য আছে কিনা, অন্তত একটু সাবধান থাকি, সাবধানের কোন মাইর নেই...
মূল পোস্ট এবং কমেন্ট এখানেঃ Click This Link