দেশের সকল রাজনৈতিক সমস্যা আলোচনের মাধ্যমে সমাধানের দাবিতে আগামী ২৭শে মার্চ সকাল ৭ ঘটিকায় ৭ জন "আমজনতা"র ৭১ ঘন্টা অনশন শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদের সম্মুখে। আমাদের একমাত্র দাবি সংঘাত নয় বরং দুই নেত্রীর সংলাপ, অন্তত একবার মুখ দেখাদেখি হোক...!
জনগণের সেবার জন্য নেতা নির্বাচন করা হয় এই আশা নিয়ে যে তারা আমাদের সুখ দুঃখের খবর নিবেন, বিপদে আপদে পাশে থাকবেন। প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান, দেশের প্রতিটি সম্পদ মূল্যবান, আপনার কাছে যা সামান্য একটি প্রাণ কিংবা সামান্য কিছু টাকার সম্পদ সে সম্পদই কারো কারো কাছে তার পৃথিবী।
উন্নত বিশ্বেও রাজনীতি আছে, সরকারী দল- বিরোধীদল আছে, তাদের কেউ আমাদের মতো সংঘাতমূলক রাজনীতি করে জনজীবন অচল করে রাখে না, তাদের দেশের মানুষকে কষ্টে রাখে না, তাদের উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতির ক্রমাগত চর্চায় সংলাপ এবং আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভূত সব সংকট সমাধান করে নেয়, বিজিত প্রার্থী হাসিমুখে দেশের চাবি বুঝিয়ে দেয় বিজয়ীর হাতে।
আমাদের দেশের নোংরা ধ্বংসাত্নক রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনেক পুরনো, যে গেছে লঙ্কায় সে ই হয়েছে রাবণ, সরকারী দলের কোন কার্যক্রম পছন্দ না হলে বিরোধীদল সেই রাগ ঝেড়েছে রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপর, পুড়িয়েছে গাড়ি, অচল করেছে জনজীবন, যার কোনকিছুই কোন সভ্য দেশের কর্মকান্ডের সাথে যায়না। যেকোন রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য রয়েছে লুই আই কানের অসাধারণ সৃষ্টি জাতীয় সংসদ ভবন, সেখানকার এসির শীতল বাতাস ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসে দলগুলো নিজেরাও কষ্ট করে আর সাধারণ মানুষকেও ভোগান্তিতে ফেলে।
রাজনৈতিক দলগুলো উন্নত দিনের স্বপ্ন দেখায়, দেশকে গড়বে বলে বড় বড় কথা বলে, অথচ ধ্বংসাত্নক কর্মকান্ড করে দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে দ্বিধা করেনা। যে দেশের সরকার দলীয় নেত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর মুখ দেখাদেখি বন্ধ সে দেশ কিভাবে উন্নত হয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলবে আমাদের বুঝে আসে না। এই ফেসবুক ব্লগের যুগে যেখানে অন্যান্য দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমরাও পিছিয়ে থাকতে চাইনা, আমরা চাই দুই নেত্রী একত্রে বসে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে দেশের সকল সঙ্কট নিরসন করুন, এবং এই নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিনাশ হোক।
এই ইভেন্টের সাথে আপনি কিভাবে সম্পৃক্ত হতে পারেনঃ আমাদের সকলেরই প্রাণের দাবি ধ্বংসাত্নক রাজনীতি পরিহার করা, এর প্রতিবাদে আপনারা সবাই সোচ্চার হতে পারেন অনলাইনে অফলাইনে, ব্যানার- পোস্টার সহকারে কিংবা সামান্য একটি সাদা রুমাল হাতে আমাদের সাথে একাত্নতা জানিয়ে যেতে পারেন সেখানে, কয়েক ঘন্টার প্রতীকি অনশনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে পারেন আমাদের সাথে। সব মিলিয়ে যদি আমজনতার গণরোষের খবর পৌঁছে দেয়া যায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তবে তাদের টনক নড়লেও নড়তে পারে...!
এই অনশনের ফেসবুক ইভেন্টের লিঙ্কঃ দুই নেত্রীর সংলাপের দাবিতে ৭১ ঘন্টা অনশন