আমার জানামতে শাহবাগ এলাকায় সব সুশীলদেরই আনাগোনা, চারুকলার অপজিটে কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সব সুশীলেরাই চা-সিগারেট খান। আজকে খুব দুঃখ ভরে চা-বিক্রেতা সাদ্দাম দেখালো তার বাকীর খাতা, প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার চা-সিগারেট বিক্রি করেও তাকে রাতের বেলায় ধার করে বাসায় দেখাতে হয়।
কারো নামে ১৫০০, কারো নামে ২০০০ বাকী, কারোটা আবার না পেয়ে পেয়ে লেখাই বাদ দিয়ে দিয়েছে, বাকী চাইলে তারা বয়াম ভাঙ্গেন, থাপ্পড় দেন, দোকান উঠিয়ে দেয়ার ভয় দেখান, কেউ কেউ তিনটা সিগারেট খেয়ে একটার দাম লেখান, মাসের শেষে বিশাল অঙ্ক উঠলে তাতেও আবার প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে যান।
তার অবস্থা দেখে সত্যিই খারাপ লাগলো, এইসব কি, তাকে কি এখন বাড়ির জায়গা জমি বেচে দোকান চালাতে হবে? একটা সিগারেটের প্যাকেট বিক্রি করলে কয় টাকা লাভ থাকে যে দুই তিনটা সিগারেট তারা মামার বাড়ির আবদার মনে করে টাকা না দিয়ে নিয়ে যান! এইটা কোন ধরনের মাস্তানী অসহায় গরীবদের সাথে? গায়ে খুব জোর হয়ে থাকলে জায়গামতো মাস্তানী দেখানো উচিত, এইসব গরীবদের সাথে নয়। এরা মুখে কিছু হয়তো বলতে পারেনা আপনাদের কাছে কিন্তু না খেয়ে তাদেরকে আপনাদের এই অত্যাচারের শোধ দিতে হয়।
তার দোকানে যাদের বাকী তারা মোটামুটি পরিচিত মুখ, ভাবছি আর কয়েকদিনের মাঝে সব টাকা পরিশোধ না করলে তাদের সবার নাম আর টাকার অঙ্ক উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট করে দেব আর সব পেজ থেকে শেয়ার মারাবো। আমার প্রোফাইলের যারা যারা ছবির হাটে আড্ডা দেন তারা দয়া করে তাদের ভাইব্রাদারকে জানিয়ে দেবেন বাকী থাকলে তারা যেন পরিশোধ করে দেন, নইলে কিন্তু মান ইজ্জ্বত নিয়ে টানাটানি পড়বে...!!!
আগামী শুক্রবারের পরের শুক্রবার পর্যন্ত বিল পরিশোধের টাইম দেয়া হলো, এর মধ্যে আপনারা নিজেরা এবং বন্ধুবান্ধবকে বাকীর খাতা ক্লীয়ার করতে বলুন আর নইলে নিজ নিজ ইজ্জ্বত নিজ দায়িত্বে রাখু্ন...!