ফেসবুকে এসে আমার সেই ধারনা আমূল পালটে গেলো, আমি হতবাক হয়ে দেখলাম নিম্ন মানসিকতা সম্পন্ন কিছু তথাকথিত জ্ঞানী লোক নাস্তিকতার মুখোশ পড়ে দিব্যি মানবতাকে দলন, পেষণ, ধর্ষণ করে চলেছে। ধর্মের বিরোধিতার নামে যা তা বলে তারা যা করছে তাকে সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া আর কোন নাম দেয়া যায় না। আমার প্রতিবাদী সত্ত্বা জেগে উঠলো, এভাবে তো মানবতাকে ধর্ষিত হতে দেয়া যায় না, এই জিনিস সহ্য করে চুপ করে থাকাটাই হবে মানবতার সবচেয়ে বড় অপমান, আমি মাঠে নামলাম।
মাঠে নেমেছি বেশীদিন হয়নি, এ পর্যন্ত তাদের যতটুকু দেখেছি তা নিয়েই আজকের এই নোট। যা বলতে চাই তার সারমর্ম হচ্ছে এদের মাঝে সৎসাহসের বড়ই অভাব। এরা টিকে আছে কেবলমাত্র কমেন্ট ডিলিট আর ব্লক অপশনটা থাকায়, আমি নিশ্চিত ফেসবুকে তাদের সবচেয়ে প্রিয় অপশন এই দুইটাই, এই দুই অপশন না থাকলে এতোদিনে এদের স্থান হতো আস্তাকুঁড়ে।
সাম্প্রতিক ব্লক হওয়ার ঘটনাটা বলি, শোনলে মজা পাবেন, আল্লামা শয়তান নামক এক উচ্চকন্ঠী নাস্তিক ফেসবুকার আমাকে আর ফাত্তাহকে নিয়ে মস্করা করেছিলেন পাঁঠা বলে, আমি পরে হাতে কলমে যুক্তি দিয়ে প্রমান করে দিলাম যে পাঁঠার সাথে আসলে তারই সাদৃশ্য বেশী, পরে আমি এ ব্যাপারে তার কাছে তার মতামত চাইতে গিয়েই ব্লকড হলাম। কথা বিশ্বাস হলো না আমার? তাহলে স্ক্রীনশটটা দেখুন…
আর তাকে পাঁঠা প্রমান করার উপপাদ্যটি আছে নিচের লিঙ্কেঃ (দেখলে মজা পাবেন নিশ্চিত
Click This Link
আমার প্রশ্ন হচ্ছে তারা যে এভাবে আস্তিকদের নানা কথা বলে আঘাত করেন, এর প্রত্যুত্তরে সামান্য পাঁঠা বলে প্রমানিত হওয়ায় তারা এতো লজ্জ্বা পান কেন, এমন লজ্জ্বাবতী লতার মতো লজ্জ্বা নিয়ে তারা ফেসবুকে আসেন কেনো, তাদের সৎ সাহসের এতো অভাব কেনো…??? তাছাড়া পাঁঠার সাথেইতো তুলনা করেছি আর তো কিছু না, পাঁঠার চেয়েও তো খারাপ কতো প্রাণী আছে তাদের সাথেতো তুলনা করতে পারতাম, পাঁঠাকে অপমান করে পাঁঠার সাথে তুলনা করেছি আল্লামা শয়তানের, সেটা যে তার প্রতি সহমর্মিতা থেকেই সেটাতো তিনি একবার খেয়াল করলেন না। যাই হোক এই লেভেলের সাহস নিয়ে কোন নীতি বা আদর্শ প্রচার করা যায়না সেটা সব ছোট বড় নাস্তিকেরই জেনে রাখা উচিত।
আসিফ মহিউদ্দীনের কথাতো আগে থেকেই বলে আসছি এবং বলছি, তার লেভেলের কাপুরুষ আমি আশেপাশে আর দেখিনা খুব একটা, তার একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট আছে- সেটা হচ্ছে তার গায়ে একবার জেলখানার হাওয়া লেগেছিল, এর পর থেকে সে ফেসবুকের জাতির পিতা। সেই সময়ে আমরাই আন্দোলন করে তাকে ছুটিয়ে আনলেও এখন অনেকেরই আফসোস, ‘এই শালারে জেল থাইকা ছাড়লো কেডা’ (এইটা কিন্তু আমার বক্তব্য না, আমার নোটে একজনের কমেন্ট)! যাই হোক একটা কথা প্রচলিত আছে কিশোর অপরাধীদের ব্যাপারে, কোন ছেলে একবার জেলখানায় কিংবা সংশোধনাগারে গেলে নাকি সেই ছেলের জীবন পুরা বরবাদ, সেই ছেলের আর ভালো হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। আসিফেরও হয়েছে সেই অবস্থা, দিন দিন সে চিকিতসার উর্দ্ধে চলে যাচ্ছে। জেলখানায় বড় বড় সন্ত্রাসীরা নাকি গোলগাল ছেলে পাইলে তাকে অনেকভাবে যৌন নির্যাতন করে, জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে আসিফ মহিউদ্দীনের সমকামের প্রচারনা আরো দূর্দান্তভাবে বেড়ে গেছে, আপনারা কি কেউ কিছু ধরতে পারছেন! দিনদিন আসিফের নির্লজ্জ্বতার মাত্রা সীমা ছাড়াইতেছে, সাথে বাড়তেছে তার কাপুরুষত্ত্বের মাত্রা। তো আমি আবার প্রমান ছাড়া কাউকে দোষারোপ করিনা, আমাকে ব্লক করার আগে সে যে নির্লজ্জ্ব কাপুরুষত্ত্বের নিদর্শন দেখিয়েছে তার প্রমানসহ লেখার লিঙ্ক দিচ্ছি নিচে, ঘুরে আসুন, মজা সুনিশ্চিতঃ
Click This Link
প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর, অর্থাৎ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই হচ্ছে সর্বোত্তম ব্যবস্থা, আমরা ছোটবেলায় পড়েছিলাম সেটা। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার সর্বোত্তম নিদর্শন দেখালেন বিশিষ্ট নাস্তিক ‘আরিফুর রহমান’। তার সাথে এখনো ঝগড়াঝাটি শুরু করি নাই, তবে তিনি ওয়াচে ছিলেন। তিনি আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে আমাকে ব্লক করে দিলেন। ও মা, এইটা কিছু হইলো বলেন ভাইয়েরা। তিনি আমাকে নানা দোষ দিতে পারেন, আল্লামা শয়তানকে বাঁশ দেয়ার পোস্টে তাকে ট্যাগিয়েছিলাম, এর জন্যে বিরক্ত হয়ে হতে পারে, আবার আল্লামার পর হিট লিস্টে তার নামখানাই চলে আসে কিনা এই ভয়েও হতে পারে, কিন্তু তিনি যা বলেই আমাকে দোষারোপ করেন না কেন, আমি বলবো আমার কোন অপরাধ দেখে থাকলে তার উচিত ছিল আমাকে ওয়ার্ণিং দেয়া। তিনি বিনা নোটিশে আমাকে ব্লক দিলেন এই ব্যাপারটাকে তার সুপুরোষিত আচরন বলে মানতে পারছিনা।
নাস্তিকদের এইসব আচরনের প্রেক্ষিতে কেবল ফাত্তাহ’র একটি কমেন্টই কোট করতে চাই, যেটা সে আসিফের ব্যাপারে বলেছিলো, আমার মনে হচ্ছে সেই কথাটা অন্যান্য উগ্র নাস্তিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, “আসিফ হচ্ছে schizophrenic রোগী । ও কেবল সমমনাদের সাথে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। শুভ কামাল, আর আমাকে ব্লক করেছে ও কিন্তু ফারাবিকে ব্লক করে নাই। আসলে ফারাবিকে নিয়ে তারা মাঝে মাঝে মজা করে (যদিও ফারাবি অনেকসময় দুর্দান্ত পোস্ট দেয়)। যারা উন্নত যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে তাদের আcheap block করে। আর যারা যুক্তিতে দুর্বল তাদের রেখে দেয় মজা নেয়ার জন্য। এটা অনেকটা নপুংসকের শিশু ধর্ষণের মত। কোন স্বাধীন নারীকে তৃপ্তি দেয়ার সামর্থ্য যার নাই যে শিশুদের প্রতি জোর করে নিজের ইচ্ছা চরিতার্থ করবে”
হ্যা, আমি বলতে চাই নাস্তিকদের এইসব বাকমাস্তানি শুধু দূর্বলদের সাথেই, তারা তাদের সামান্য বিরোধী যুক্তি দেখলেই ব্লক করে দেয়। তারা যদি বলে আদালত কর্তৃক সাম্প্রদায়িক ওয়েবসাইট গুলো ব্লক করে দেয়া উচিত নয়, তবে তারা নিজেরা আমাদের মতো ফেসবুকারদের ব্লক করে আমাদের বাকস্বাধীনতা হরণ করে কোন যুক্তিতে? আমরাতো আর ওইসব ওয়েবসাইট কিংবা পেজের মতো খারাপ কথা বলিনা, দুই জনের হাতে ব্লক খাওয়ার পূর্বমুহূর্তের স্ন্যাপশটতো দিয়েই দিলাম, কেউ এখানে অভদ্রতার অভিযোগ তুলতে পারবে? আপনি ছাড়াতো কথাই বলি নাই! আরেকজনতো বাতাস খেয়েই ব্লক করে দিলো। উপরোক্ত এতোগুলো কথার প্রেক্ষিতে শুধু এটাই বলতে চাই, উগ্র নাস্তিকদের কলিজা ছোট, বুকের পাটায় জোর কম, তারা সত্যকে মোকাবেলা করতে সাহসই পায়না, তাদের প্রধান হাতিয়ার ডিলিট আর ব্লক অপশন।
যাইহোক এবার একটা গুরুত্ত্বপূর্ণ কথায় আসি, এভাবে ক্রমাগত ব্লক খেতে খেতে আমাদের সীমা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, আমাদের আড়ালে গিয়ে নাস্তিকেরা দূর্বল আস্তিকদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে, এটাতো চলতে দেয়া যায় না। তাই আমরা এবার চিন্তা করছি একটা কমন প্ল্যাটফর্মে যাবো, যেখানে আমাদের যুক্তিগুলো সব আস্তিকদের কাছে পৌছাবে। যেখান থেকে আমরা কোন পেজে আস্তিকদের উপর অত্যাচার হচ্ছে সেটা জানতে পারবো এবং সাথে সাথে সবাই মিলে সেখানে ছুটে যাবো। জ্বী না, অন্যকিছু ভাববেন না, আমাদের হাতিয়ার হবে কেবলমাত্র কী-বোর্ড, কোন ব্লক অপশন কিংবা ডিলিট বাটন নয়।
সেই প্ল্যাটফর্মটা হবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আস্তিকদের জন্যে, এখানে সংশয়বাদীরাও থাকতে পারেন, মডারেট নাস্তিকেরাও থাকতে পারেন, এই গ্রুপের মূল উদ্দেশ্য হবে যারা নাস্তিকতার নামে মানবতার অপমান করে চলেছে, সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তাদের বিরোধিতা করা। আমরা তাদের মতো সস্তা কার্টুন আঁকবো না, আমরা কথা বলবো যুক্তিতে। এই গ্রুপে আসতে হলে আপনার অন্যান্য রাজনৈতীক দৃষ্টিভংগি বাদ দিয়ে আসতে হবে, আপনার অন্য ধ্যান ধারনা থাকতেই পারে ব্যক্তিগত জীবনে কিন্তু সেটা থাকবে এই গ্রুপের বাইরে। কেউ ছাগলামি করলে সাথে সাথে বের করে দেয়া হবে। আগেই বলেছি ধর্মের বিরোধিতা করাই কেবল স্মার্টনেস নয়, অন্যায়ের বিরোধিতা করাই হচ্ছে স্মার্টনেসের পরিচায়ক। তাই আশা করবো সুস্থবোধ সম্পন্ন সকলকেই আমাদের সাথে পাবো।
আমার মনে হয়, “নাস্তিকদের যদি উচিত জবাব দিতে চান তবে এ পেজটি লাইক করুন” পেজটি খারাপ হয়না প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। আপনাদের কি মতামত এ ব্যাপারে জানান, সবাই যা বলবে সেটাই হবে। ধন্যবাদ!!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫২