ইদানিং তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই বিয়ের ওপর আগ্রহ কম গেছে। অথচ গবেষণায় দেখা গেছে, বিয়ে মানুষের জীবনে নিয়ে আসে পরিবর্তন, নিয়ে আসে সাফল্য। কারণ বিয়ের পর মানুষের জীবনে সন্তুষ্টি অনেক খানি বেড়ে যায়। মানুষকে করে তোলে দায়িত্বশীল।
সব বিয়ে অবশ্য সফলতা নিয়ে আসে না। তাই শুধু বিয়ে করলেই যে সাফল্য আসবে, এমনটি ভাবা বোকামীই হবে। বিয়ের পর সফলতা পেতে হলে বেশ কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিয়ে করলেও তা যে সব সময় সফল হবে- জীবন সুখী হবে, এমন কোনো কথা নেই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এ জন্য প্রথম প্রয়োজনীয় বিষয়টি হলো দুজনের ‘রসায়ন’ মিলে যাওয়া। তবে এটাই শেষ কথা নয়।
সামাজিক বিষয়গুলোও দুজন ব্যক্তির এক ছাদের নিচে বসবাসের জন্য প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। এ বিষয়টিকে গবেষকরা বলছেন ‘সামাজিক রসায়ন’। অর্থাৎ আপনি যখন কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত হবেন, তখন অন্য মানুষরা আপনার বিষয়ে কী অনুভব করছেন, তাও জানতে হবে।
‘আমার অনুভূতি কেমন’ এ বিষয়টি নিয়েই গবেষণা করেন কানাডিয়ান মনোবিদ এরিখ বার্ন। তিনি ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে বার্ন ‘ট্রানজেকশনাল অ্যানালাইসিস’ নামে একটি মডেল উন্নয়ন করেন। এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ের কথা তিনি উল্লেখ করেন। এগুলো বিয়ের সাফল্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাছে।
১. পিতামাতা- আপনাকে তারা কী শিক্ষা দিয়েছেন
২. সন্তান- আপনার অনুভূতি কেমন
৩. প্রাপ্তবয়স্ক- আপনি কী শিখলেন।
যখন দুজন মানুষ একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন, তখন তাদের উভয়ের মানসিকতায় মিলের জন্য এ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরে উভয়ের মিল কতখানি তা জানা যায়। প্রশ্নগুলো হলো-
১. পিতামাতা- আপনাদের কী বিশ্ব সম্পর্কে একই মূল্যবোধ রয়েছে?
২. সন্তান- আপনারা কি একত্রে মজা করেন? আপনারা কি স্বতঃস্ফূর্ত? আপনারা কি একত্রে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন?
৩. প্রাপ্তবয়স্ক- একজন কি অন্যজনকে উজ্জ্বলতর বলে মনে করেন? আপনারা কি একত্রে সমস্যা সমাধানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে নিহিত রয়েছে বিবাহিত জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি। দম্পতিদের এ বিষয়গুলো যদি মিল থাকে তাহলে তা সম্পর্ককে সাফল্যমণ্ডিত করে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
বিয়ে যখন সাফল্যের সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৯