নির্ঘুম অনন্ত অপেক্ষায়
কেটেছে সমস্ত রাত্রিদিন,
তুমি আসবে
তোমাকে শোনাবো কবিতা;
কবিতালেখার সে কি আয়োজন-
কলম চাই, চাই কালি;
ছন্দের জন্য ঝর্না চাই, কষ্টের জন্য শিরি-ফরহাদ,
তারপর তো লেখা হবে কবিতা-
তোমার কবিতা।
কবিতার পঙতিতে ইরানী গোলাপের পাপড়ি চাই
ঠিক তোমার ঠোঁটের মতোন,
সফেদ নদীর স্রোত চাই;
হিমলয়ের মতো তোমার নাভীমূলে যে নদীর উৎস।
শ্রাবণী বৃষ্টির ছন্দে আমার কবিতার প্রতিটি শব্দ
ভিজিয়ে দেবে তোমার ঊষর উতপ্ত মরুভূমি,
আমার কবিতা যে তুমি।
তুমি আসবে কবিতা হয়ে
আমার খাতার সাদা ক্যানভাসে
শব্দের খেলায় তোমাকে দেখবো,
তোমাকে আঁকবো,
তোমার ভূ-খন্ডের প্রতিটি সীমানায় আমার
কলমের আঁচড় পড়বে-
আর তুমি ধীরে ধীরে
নাইট কুইনের মতো ফুটতে ফুটতে,
সৌরভ ছড়াতে ছড়াতে,
জীবন্ত এক কবিতা হয়ে....
সমস্ত শরীরের পপড়ি খুলে খুলে বিকশিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪