somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভিনন্দন বিএসএফ'কে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিএসএফএর কার্যকর পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারলাম না। 'মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী ২০০২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০ বছরে সীমান্তে মোট ৮৭৩ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ২০১১ সালে ৩৪ জন, ২০১০ সালে ৭৪ জন, ২০০৯ সালে ৯৬ জন, ২০০৮ সালে ৬২ জন, ২০০৭ সালে ১২০ জন, ২০০৬ সালে ১৪৬ জন, ২০০৫ সালে ১০৪ জন, ২০০৪ সালে ৭৬ জন, ২০০৩ সালে ৪৩ জন, ২০০২ সালে ১০৫ জন, ২০০১ সালে ৯৪ জন এবং ২০০০ সালে ৩৯ জন বাংলাদেশী বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে।' [সূত্র বিবিমেহের জান]

আমাদের সোনার সন্তান বিজিবি যেটি করতে পারে না সেটি প্রতিনিয়তই করে দেখাচ্ছে বিএসএফ। একজন সীমান্তরক্ষী হিসেবে যে দায়িত্ব তাদের পালন করা উচিত তারা প্রতিনিয়ত সেটিই করে চলেছে অত্যন্ত সুনামের সহিত। আমাদের সোনার সন্তান যারা আছেন বিজিবি'তে তাদের মাধ্যমেই জানা যায় সীমান্তে পোষ্টিং নেয়ার জন্য রীতিমত লবিং চলে এবং চলে আর্থিক লেনদেনও। আর জীবনে একবার যদি পোষ্টিং হয় তা হলে সারা জীবনে আর চাকরী না করলেও নাকি চলে বলে শুনতে পাওয়া যায়। তবে শুনতে যেটিই পাওয়া যাক তাদের বেতন ও সুবিধার সাথে যে চলাফেরা ও আর্থিক ব্যয়ের কোন মিল পাওয়া যায় না সেটি শুধু বিজিবি নয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল স্তরের সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেলায় প্রযোয্য। সাধারণ একজন অফিস সহকারী চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যায় যখন, সরকার তখন তার আয়ের হিসেব খতিয়ে যখন দেখে না তখন আয় করতে বাধাই কোথায়?

একজন সামান্য কাস্টমস সিপাহি যখন কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়, চলাফেরা করে নিজস্ব গাড়ীতে, ছেলে মেয়ে পড়ালেখা করান বিদেশে তখন সবাই তাকে বাহাবা দেয় এই বলে যে সামান্য কর্মচারী হয়ে তার এত সম্পদ গড়ার ক্ষমতা জন্য। যখন উত্তরার মত অভিজাত এলাকায় সামান্য ইনন্সপেক্টর একাধিক বাড়ীর মালিক থাকে তখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় আমাদের শাসকেরা। এসব লোক আবার প্রশাসনকে নাকি দেখায় বাড়ী তাদের শালা/শ্বশুরু করে দিয়েছে বাস্তবিক খোজ নিলে দেখা যাবে শ্বশুরের ঘরে চাল উড়ে গেছে কিন্তু জামাইয়ের পাকা দালান তাও আবার শ্বশুরের দানের।

যা হউক ফিরে যাই বর্ডারে, যেখানে বিএসএফ প্রতিনিয়তই আমাদের লাশ উপহার দিচ্ছে এবং রাষ্ট্র এ নিয়ে চিন্তিতও নন। কিন্তু এই কাজগুলিই করার কথা ছিল আমাদের বিজিবির। প্রতিনিয়ত যারা মারা যাচ্ছে তারা চোরাকারবারী না হলেও হিন্দু শাস্ত্রের ধোয় তুলসির পাতা না। আমাদের প্রশ্ন আসে তাই বলে খুন? জীবন দিতে হবে? প্রতিনিয়ত যারা সামাজকে ধ্বংশ করছে চোরাকারবারীর মাধ্যমে, মাদক প্রাচার করে অধপতন ঘটাচ্ছে সমাজের তাদের শাস্তি কি সেটি আমার জানতে চাই না আবেগের বশবর্তী হয়ে।

কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। বিএসএফ যে লাশগুলো উপহার দিচেছ তারা যেমন হিন্দু শাস্ত্রের ধোয়া তুলসি পাতা নয় তেমনি খুন হওয়ার মত অপরাধিও নয়। অপরদিকে যারা খুন হওয়ার মত অপরাধি তারা সর্বদায় থেকে যাচ্ছে নিরাপদে। যারা নিয়মিত বখরা দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে তাদের কপালে মৃত্যুর পরিবর্তে সর্বদায় জোটে সাদর সম্ভাষণ অন্যদিকে যারা পাকামো করছে, ফাকি দিচ্ছে বিএসএফকে তখনই তার মাসুল গুনতে হচ্ছে জীবন দিয়ে। তারপরও যে সকল চোরাকাবারী মারা যাচ্ছে তাদের জন্য মায়া কান্না না দেখিয়ে বরং বিএসএফকে ধন্যবাদি দিতে হয় এই জন্য যে বিজিবি যেটি করতে পারছে না বিএসএফ সেটি করে দেখাচ্ছে। আমাদের সোনার বিজিবি খনই এই কাজটি করবে না, যদি করত তা হলে লোকগুলি সেখানে যেতেই পারত না মৃত্যু তো দুরে থাক।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×