আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক সহ বিভিন্ন পত্রিকা দেখা যায় যে গুলি হাতে নিলেই বোঝা যায় যে কি ধরনের খবর পাওয়া যাবে ঐ পত্রিকাগুলিতে। যাক পত্রিকার কথা আসার আগে একজন রচনা লেখকের বিষয়টি দেখা যাক। গল্পটি যদিও মোটামুটি সবাই জানি তারপরও লেখা-
স্কুলে একজন ছাত্র ছিল যে কিনা কুমির নিয়ে রচনা লিখতে ভালবাসত। যে কোন রচনা লিখতে দিলেই সে কোন না কোন কৌশলে কুমিরের রচনাই লেখে ঘুরে ফিরে। তার এহেন অবস্থা দেখে শিক্ষক মহোদয় তো মহা বিপদে পরলেন। কিভাবে কুমির থেকে সড়ানো যায় সেই চিন্তায় তিনি চিন্তিত হলেন। চিন্তার ফল স্বরূপ নৌকা, জাহাজ, সমুদ্র, নদী বাদ দিয়ে তাকে গরুর রচনা লিখতে দিলেন। ছাত্র যথারীতি লিখলেন-
গরু গৃহ পালিত প্রাণী। ইহার ৪টি পা আছে। গরু ঘাস ঘায়। ঘাস খাওয়ানোর জন্য গরুকে মাঠে চড়ানো হয়। কেও কেও গরুগুলি নদীর ধারেও চড়াতে নিয়ে যায়। নদীতে কুমির থাকে। কুমির নদীতে সাঁতার কাটে। কুমিরের ৪টি পা আছে, ২টি চোখ আছে, একটা বড় লেজ আছে, কাটা কাটা কাটা কাটা কাটা।
এহেন রচনা দেখে শিক্ষক মহাশয় ভাবলেন এভাবে হবে না তাকে যানবাহন নিয়ে লিখতে দিতে হবে। এবার তাকে দেয়া হল রেলগাড়ী নিয়ে লিখতে। এবারও লিখল-
রেলগাড়ীর অনেক লম্বা লম্বা বগী থাকে, সমানে ইয়া বড় একখান ধোয়া উঠার বগি থাকে। তাকে সবাই ইঞ্জিন বলে। রেলগাড়ীতে এক সঙ্গে অনেক লোক উঠতে পারে। রেল লাইন ২টা অনেক অনেক দুর যার শেষ দেখা যায় না এরকম দুটি লোহার উপর দিয়ে চলে। নদীর উপর দিয়ে চলতে গেলে ব্রীজ লাগে। নদীতে কুমির থাকে। কুমির নদীতে সাঁতার কাটে। কুমিরের ৪টি পা আছে, ২টি চোখ আছে, একটা বড় লেজ আছে, কাটা কাটা কাটা কাটা কাটা।
এবার শিক্ষক ব্যর্থ হওয়ায় ভাবল আকাশ পথে তাকে কিছু লিখতে দেয়া যাক। এবার শিক্ষক তাকে দিলেন উড়-জাহাজের রচনা লিখতে। ছাত্র যথারীতি লিখল-
উড়-জাহার একটি বিশাল জিনিস, জানা যায় সেটি ইস্পাত দিয়ে তৈরী হয়। এবং আকাড়ে উড়তে দেখা যায় পাখির মত, যার মধ্যে মানুষ চড়ে উড়তে পারে। উড়-জাহাজ উড়তে উড়তে কখনও মাঠ কখনও নদীর উপর দিয়েও চলে। নদীতে কুমির থাকে। কুমির নদীতে সাঁতার কাটে। কুমিরের ৪টি পা আছে, ২টি চোখ আছে, একটা বড় লেজ আছে, কাটা কাটা কাটা কাটা কাটা।
ছাত্রের এহেন রচনা দেখে শিক্ষক মহোদয়ের হৃদযন্ত্রের ক্রীয় বন্ধ হয়ে ওপারে চলে গেলেন।
আমাদের দেশর পত্রিকার গুলির অবস্থাটাও অনেকটা আজ সেই কাটা কাটা কাটার মতই। আওয়ামী পন্থী পত্রিকাগুলি যাই লেখুক সেখানে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা থাকবেই অন্যদিকে বিএনপি পন্থী পত্রিকাগুলিতে যাই লেখুক চেষ্টা করে বিএনপির কিছুটা গুনগান গাইতে।