ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে গুজব, হাসপাতালে ভিড়
চট্টগ্রাম নগরী এবং এর আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খেয়ে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার গুজড় ছড়িয়ে পড়েছে।
গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ(চমেক) হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন অভিভাবকরা।
তবে এ বিষয়টি নিতান্তই গুজব বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা.আবু তৈয়ব। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন,‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর বাইরের ১৪ উপজেলায় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খেয়ে কোন শিশু অসুস্থ হয়েছে এমন খবর আমাদের কাছে নেই। এরপরও আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।‘
নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলায় গুজব ছড়িয়ে পড়ায় শিশুদের নিয়ে হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিভাবকরা ভিড় করছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। তবে যেসব শিশুদের নিয়ে এসেছে তাদের মধ্যে কাউকেই অসুস্থ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
গুজব ছড়িয়ে পড়ায় অনেক অভিভাবক ভয়ে তাদের শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডা.আবু তৈয়ব বলেন, ‘ক্যাম্পেইনে যেসব ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে সেগুলো সিঙ্গাপুরের একটি ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করে আনা হয়েছে। ল্যাবে পরীক্ষার সার্টিফিকেট আমাদের হাতে রয়েছে।‘
বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য একটি মহল এ গুজব ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচ শতাধিক শিশুকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। বাচ্চাদের নিয়ে আসা অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন দেখা দেছে। তবে ডাক্তাররা বলছেন
এদিকে জেলার ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, পটিয়া উপজেলায়ও এ গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এসব উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বাচ্চাদের নিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এসব শিশুদের মধ্যে অসুস্থ শিশু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা।
এদিকে গুজবের কারণে অনেক এলাকায় বাচ্চাদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াইনি অনেক অভিভাবক।
সিভিল সার্জন ডা.আবু তৈয়ব বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেন, বিষয়টি শোনার পর ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমি খবর নিয়েছি। তারা আমাকে জানিয়েছে অনেকেই বাচ্চা নিয়ে এসেছেন। তবে এদের মধ্যে কোন বাচ্চাকে অসুস্থ পাওয়া যায়নি বলে তারা জানিয়েছেন
ফব ঠেকে নেয়া