সবুজ নরম ঘাসে ভরা এই নদীর পাড়
টুপ করে কোথাও এইমাত্র ভেঙ্গে পড়ল
এক টুকরো মাটি, আর সাথে সাথে
নলখাগড়ায় খেলতে থাকা পানকৌড়ি দিল ডুব।
এখানে ঠান্ডা পানির স্রোতে ডুবিয়ে রেখেছি পা
এই বিকেলের নরম আলো,
এই ঘণকালো গাছের ফাঁক দিয়ে আসা সূর্যচ্ছটা
আমি এখানকার, আমি এই ক্ষণের।
এই নদীর কাছেই আমার বাড়ি
ঐ যে বড় সবুজ রেইনট্রি গাছগুলির নিচে আমার ঘর।
আমার দিকে এমনিতেই তাকিয়ে হাসছেন, ওনি আমার মা।
কচুরিপানায় চড়ে শেষ বিকেলে
ভেসে বাড়ি ফিরছে এক অলস শালিক।
ঐপাড়ে কোন এক পাড়ার ছেলেদের
খেলা শেষের সুদূর বিজয়ের উল্লাস
ছড়িয়ে পড়েছে আকাশ জুড়ে।
শ্রান্ত এক সাম্পান মাঝি আর আকাশের কয়েক ঝাঁক পাখি
রওনা দিচ্ছে ডোবা সূর্যের দিকে।
এরিই মাঝে সন্ধ্যা নেমে এল।
দূরে নদীর বাঁকে ঝিলমিল করছে পানির ঢেউ
আবছা কালচে গাছগুলির ফাঁক দিয়ে জেগে উঠেছে পূর্ণিমা
আর আমি, ঝাপিয়ে পড়েছি এই পবিত্র নদীবক্ষে।
বহুবার ডুবে এ নদীর নিচের মাটি ছুঁতে চেয়েছি
গভীরতা মাপতে পারিনি, যেন, মায়ের স্নেহ।
মা জানেন, ভিজে ঘরে ফিরবে ছেলে
এখনো হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন, হাতে কাপড় নিয়ে।
আমি ঘরে ফিরছি, কিন্তু দেখ, দেখ?
কেমন গলে গলে ঠান্ডা রুপা ঝরছে শরীর চুইয়ে!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩১