হেমন্তের শেষবেলা পশ্চিমের নগণ্য শহরে;
শীতের আমেজ রেখে চলে গেল অনাত্মীয় দিন।
বিশীর্ণ পাহাড়ি নদী, লাল বালি, স্তিমিত সূর্যের
করুণ বিদায়স্পর্শ ম্লান হল ঝাউয়ের শাখায়।
শিরশির হাওয়া দিল। সাঁওতাল একটি মিথুন
ঠাণ্ডা জলে পা ভিজিয়ে সোনালি বালিতে ছাপ এঁকে
দূরের গ্রামের দিকে চলে গেল আলপথ বেয়ে।
হালকা কুয়াশা এসে ঢেকে দিল ঘন শালবন ;
ঈথরের ঘন স্তরে মৃদু আন্দোলিত
দূরগামী মানুষের অর্ধস্ফুট স্বর গেল শোনা,
মন্থর ঘণ্টার ধ্বনি গৃহমুখী মহিষপালের।
শব্দহীন, মুহ্যমান দীর্ঘ য়ুক্যালিপ্টাসের সারি
পৃথিবীর কবরের পাশে।
প্রহরখানেক পরে মহুয়াবীথির পরপারে
কুয়াশায় পথ কেটে চাঁদ এল বিষণ্ণ বিধুর।
আর জানো, সুচরিতা, হঠাৎ কি করে সে-সময়
তোমার আবছা মুখ ফিরে এল আঘাতের মতো।
কুয়াশার ভিড় ঠেলে তবু সেই পরিচিত মুখ
সুচরিতা, ক্ষমা কর, মনে আনা গেল না কিছুতে।
অবুঝ দুঃখ আছে, স্মৃতি নেই এতটুকু আর।
এখন অনেক রাত ; হিংস্র শ্বাপদের ডাকে
সচকিত দূরের পাহাড়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১০