* কোরবানির পশু কিনতে যাওয়ার সময় পশু বিষয়ে অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিতে পারলে ভালো, তিনি পশু চিনে কিনতে পারেন।
* হাট থেকে পশু বাড়িতে আনার জন্য একজন শক্তসমর্থ লোককে সঙ্গে নিন, যিনি পশু বাড়িতে আনতে সাহায্য করতে পারবেন।
* হাটে যাওয়ার সময় টাকা-পয়সা সাবধানে রাখবেন।
* পশু কিনতে যাওয়ার সময় ভালো পোশাক না পরাই ভালো। দাগ বা ময়লা লাগার আশঙ্কাই বেশি।
* হাতে সময় নিয়ে পশুর হাটে যাওয়া উচিত। এতে ধীরেসুস্থে, দেখেশুনে পশু কিনতে পারবেন।
* খাজনার (হাসিল) হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য হাটের বাইরে থেকে পশু কিনবেন না। এতে লাভবান হওয়ার চেয়ে চোরাই পশু কেনার আশঙ্কা থাকে বেশি।
* হাটের খাজনা ঠিকমতো পরিশোধ করুন।
* পশুর বয়স সম্পর্কে জেনে নিন। কেননা গরু দুই বছর এবং ছাগলের ন্যূনতম বয়স ছয় মাস না হলে কোরবানি আদায় হবে না।
* বাহ্যিকভাবে দেখতে সুস্থ-সবল, নীরোগ পশু কিনুন। রোগবালাই আছে কি না দেখে নিন।
* চামড়ায় কাটা ক্ষত দেখে নিতে হবে। দেখতে হবে কান কাটা, শিং ভাঙা, লেজ কাটা, খুরের মধ্যে ক্ষত বা জিহ্বায় ঘা আছে কি না।
* পশুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় এবং নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে তাহলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। অসুস্থ পশু খাবার খেতে চায় না।
* গাভি বা বকনা গরু না কেনাই ভালো। নিতান্তই কিনতে হলে পশুচিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে পশুটি গর্ভবতী কি না। গর্ভবতী পশু কোরবানি হয় না।
* গরুর কুঁজ মোটা টানটান হলে গরু সতেজ, সুস্থ হয়।
* পশু কিনেই হাট থেকে পশুর জন্য খাবার কিনে ফেলুন।
* হাট থেকে পশু আনার সময় পাটের দড়ি দিয়ে পশুকে ভালোভাবে বেঁধে আনুন। না হলে পশু গাড়ির শব্দে ভয় পেয়ে দৌড় দিতে পারে।
* কোরবানির আগেই কসাই ঠিক করে রাখুন, না হলে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।
* মাংস কেটে রাখার জন্য পরিষ্কার চাটাই সংগ্রহে রাখুন।
* কোরবানিতে ব্যবহারের জন্য ছুরি, দা, বঁটিতে ধার দিয়ে রাখুন।
* কোরবানির মাংস সমভাবে বণ্টনের জন্য আগে থেকে দাঁড়িপাল্লা জোগাড় করে রাখুন।
* মাটিতে পড়ে থাকা পশুর রক্তে ছিটানোর জন্য ব্লিচিং কিনে রাখুন।
* জবাই করার আগে পশুকে ভালোভাবে গোসল করাতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। এতে চামড়া ছাড়ানো সহজ হয়।
* পশু মাটিতে শোয়ানোর সময় লক্ষ করতে হবে দেহে যেন কোনো প্রকার চোট না লাগে। এতে চামড়া থেঁতলে অথবা ছিড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
* চামড়া ছাড়ানোর জন্য মাথা বাঁকানো অর্থাৎ ইংরেজি ‘ইউ’ অক্ষর আকারের ছুরি ব্যবহার করতে হবে।
* কোরবানির পশু বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় জবাই করুন।
* জবাই করার পর রক্ত, মলমূত্র, হাড়, বর্জ্য ইত্যাদি যেখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখবেন না। এতে পরিবেশ দূষিত হবে।
* পশুর রক্ত ও বর্জ্য মাটির গর্তে পুঁতে ফেলুন।
* রক্ত ছড়িয়ে থাকা স্থানে পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন।
আরও দেখুন এখানে
বিজ্ঞাপনঃ বাংলায় সম্পুর্ন প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম - ঘুরে আসতে পারেন এবং অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারেন একদম বিনামূল্যে
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮