হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার গল্পটা আমরা ছোটবেলাতেই পড়েছি। সেই গল্পে তাঁর পরিবারের কথা ছিল না। নিজের মধ্যে সেই অন্যরকম মানুষটাকে ধারণ করার পর ব্যাপারটা খেয়াল হল। গল্পটা আরও বাড়িয়ে দিলে কেমন হয় সেটা ভাবলাম। বাঁশিওয়ালারও যে স্ত্রী-সন্তান থাকতে পারে, সেটা চিন্তাতে এলো। সবকিছু ঠিক এভাবে সাজালামঃ
"শহরের ইঁদুরগুলোকে ধ্বংস করার পরও মেয়রের কাছ থেকে পাওনা টাকা না পেয়ে খুব মন খারাপ করেন তিনি। ঠিক করেন প্রতিশোধ নেবেন। মন ভোলানো বাঁশির সুরে শহরের সব ফুটফুটে শিশুকে নিয়ে তিনি নিরুদ্দেশের পথে যাত্রা করেন। পেছনে ফেলে যান তাঁর অনাগত সন্তান ও স্ত্রীকে।"
অভিমানী সেই হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালাকে উৎসর্গ করে লেখা আজকের এই কবিতা।
)
সেদিন একটি ছেলে,
চক্ষু দুটি মেলে,
জিজ্ঞাসিল মা’কে,
বাবা কোথায় থাকে?
মায়ের চোখে জল,
করে যে ছলছল,
কী হবে আর শুনে?
তোমার বাবা থাকেন হ্যামেলিনে।
মানচিত্র এনে,
চক্ষু দুটি টেনে,
ছেলে শুধায়, কোথায় হ্যামেলিন?
মা দৃষ্টিহীন।
বলছো না মা কেনো?
ভাত খাব না জেনো।
ঐ সুদূরে, ঐ আকাশে,
ঐ তারাটার একটু পাশে,
ঐ যে হ্যামেলিন,
খেয়াল করে দেখোই না!
মিষ্টি সুর কি শুনছো না?
বাবা তোমার বাঁশি বাজায়, আজও ক্লান্তিহীন!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:০১