তেতুল নিয়ে গান-কবিতা-লেখা, ইউটিউব এ রেসেপি -ছবি- সব আজকে দেখে নিলাম--
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, অনলাইন পোর্টাল, ব্লগ, সংবাদ, নিউজ, আড্ডা- কোন জায়গায় তেতুল নেই?
চুপ করে দেখে আর থাকতে পারলাম কই? তাই তেতুলের গুনাগুন আমার পড়া থেকে তুলে ধরলাম মাত্র ।
আরো বেশী মনে করার কারণ হলো ২৭ লক্ষ জে এস সি পরিক্ষার্থীর মধ্যে আমার কণ্যাও রয়েছে, এই তেতুলের জন্য আজকের পরিক্ষা স্থগিত হয়ে ৯ নভেম্বর করা হয়েছে মানে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার একটানা তিনদিন দম বন্ধ করে পরিক্ষা দিতে হবে আরকি যার জন্য আমারও যেন দম বন্ধ হয়ে আসার মতই হচ্ছে ।
শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব -- কঠিন অসম্ভবকে সহজ সম্ভব করা-- শত্রুকে মিত্র করা, প্রিয় করা, ভালবাসা দিয়ে জয় করা।
জয়তু শেখ হাসিনা --
আর কিছু মন্তব্য করতে পারছিনা-গানও দিলাম -
তেতুল এর বোটানিকাল নাম, তামারিন্দুস ইন্ডিকা (Tamarindus indica)। দক্ষিণ এশিয়ার সবচাইতে মূল্যবান খাবারের মধ্যে তেতুল অন্যতম। তেতুলের সুরেলা নামটি "তামর-ই-হিন্দ" ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে যার অর্থ "ভারতের খেজুর"। এটি সারাবিশ্বের কাছে রস আস্বাদনের একটি ফল হিসেবে পরিচিত। আফ্রিকার স্থানীয়রাক বলেন, এই বহিরাগত ফল অতি লম্বা একধরণের গাছে জন্মায় যা এশিয়া, মেক্সিকো, ভারত এবং বাংলাদেশের শুষ্ক অঞ্চলে জন্মায়।
কিন্তু আমাদের দেশে এ ফল নতুন কিছু নয়, এটা আমাদের দেশের বসন্তকালের টকজাতীয় ফল হলেও সারা বছর পাওয়া যায়। এবং তেতুল দেখলে ছোটো বড় সবার জিভেই জল আসে। তবে তেঁতুল নিয়ে আমাদের দেশে বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে। কিন্তু তেতুলে রয়েছে অনেক স্বস্থ্য উপকারিতা। চলুন যেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
সবচেয়ে প্রাচীন খাবার ও ঔষধি হিসাবে তেঁতুল ব্যবহার এর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অনেকে হজমের প্রতিশোধোক এবং রেচক ঔষধ হিসেবেও এটি ব্যাবহার করে থাকে। এছাড়াও তেতুল জ্বর, গলা ব্যথা, বাত, প্রদাহ, ইতাদির জন্য ব্যাবহার করা হয়।
এছাড়াও তেতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলষ্টেরল কমায়। তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ধরণের ভূমিকা রাখে। এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেতুল।
এতে টারটারিক এ্যাসিড থাকায় খাবার হজমে সহায়তা করে। শরবত করেও খাওয়া যেতে পারে তেতুল। পেটের বায়ূ, হাত-পা জ্বালায় এ শরবত কার্যকর পথ্য। তেতুল গাছের বাকলেও উপকার আছে। শুকনো বাকলের প্রলেপ ক্ষতাস্থানে লাগালে ক্ষত সারে। বুক ধড়ফর করা, মাথা ঘোরানো ও রক্তের প্রকোপে তেতুল উপকারী। কাচা তেতুল গরম করে আঘাত পাওয়া স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে।
পুরনা তেতুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়। পুরনো ও পাকা তেতুল খেলে কাশি সারে। পাকা তেতুলের খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি। তেতুলে খাদ্যশক্তির পরিমান নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি আয়ূর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যথিক ওষুধ, তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় তেতুল। তেতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়। মুখে ঘা বা ক্ষত হলে পাকা তেতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।
শুকনো বা সেদ্ধ তেঁতুল পাতা এবং ফুল মচকান, ফোঁড়া, অর্শ্বরোগ, এবং চোখা ওঠা ইত্যাদি রোগের জন্য উপকারী।
তেঁতুল নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে, অনেকে আবার মনে করেন তেতুল খেলে শরীরের রক্ত জল হয়ে যায় বুদ্ধি কমে যায় ইত্যাদি। কিন্তু তা আসলে ঠিক না। তেতুলে রয়েছে প্রচুরপরিমানে ভেষজ গুণাবলী ও পুশটিগুন। তাই আপনিও যে কোনো সময় তেতুল খেতে পারেন আপনার ইচ্ছে মতো।-সূত্র: ফূড ফ্যাক্টস।
সম্পাদনা: লীনা ও তাহমিনা শাম্মী।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪