somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জঠর ছোট গল্প

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

( এক )
জীবন মধ্যাহ্ণে, আমি যখন ঘরে জ্বলছি, জঠরে জ্বলছি। শরীরে পুড়ছি, মননে পুড়ছি। ঠিক সেই সময় তুমি এলে। তোমার ছায়ায় আমি শীতল হলাম। সদা উত্তপ্ত আমার শরীর, আমার পরিজন স্নিগ্ধ হোল। কি অফুরন্ত সুধার ভান্ডার তোমার? শুধু পেয়ে গেলাম। তোমাকে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের কোথায়? দীন-হীন পরিজন পরিবৃত আমি, তাই পারিনি প্রিয়জনকে কাছে পেয়েও আপন করতে। সামান্য নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের বিনিময়ে সবই মানিয়েছিলে। কি করে পেরেছিলে? এও কি সম্ভব? ঘরের বাইরের সমস্ত দায়-দায়িত্ব নিজের করে, আমায় ভারমুক্ত করলে। শ্রান্ত আমি , ক্লান্ত ছিলাম উদাস হোলাম।

-----হৃদয়ের অনেকটা যায়গা শূণ্য করে, হালদারদা বাড়ী ফিরে এলেন। দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ করে।

( দুই )
আজ বেশ বুঝতে পারি, এতদিন পাশেও একজন ছিল। যার অস্তিত্ব ছিল এতই নীরব ও সহানুভূতিশীল যে তার উপস্থিতি টের না পেলেও অনুপস্থিতিটা বড় নিষ্ঠুরভাবেই টের পাই। এতই কাছের যে, কখন চোখ চেয়ে তাকাবার ফুরসুৎ টুকুও হয়নি। এতখানি অমনোযোগ হয়ত সে সইতে পারেনি। তাই জীবন দিয়ে সবার সেবা করে, সবার আগেই বুকভরা অভিমান নিয়ে চলে গেল।

হালদারদা অবাক হয়ে ভাবেন,------- আচ্ছা আজ কোথা থেকে তার মনে এত ভাবাবেগ এসে ভীড় করে? এই দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে, কোন গোপন কথা, কিছু হাসি-আহ্লাদ, একটু রাগ-অভিমান, এমনকি সামান্য একটু কথার খুনসুটি ---------- কিছুই কি তাদের জীবনে ঘটেনি? -----------
যে হৃদয় কোন সুখ-স্মৃতিই বয়ে আনে না, তবে সে আজ এত কাঁদে কেন? সব এত ফাঁকা লাগে কেন?

----- আজ সঙ্গীহীন সখা আমি। ছায়াহীন কায়া আমি। --------

পূর্ববঙ্গ থেকে মুসলমানদের তাড়া খেয়ে চাকরির খোঁজে একা বেরিয়ে পড়া দিশেহারা সেই যুবক, আজ প্রৌঢ়। সম্পূর্ণ একা। নেই কোন বন্ধন ---- নেই কোন বন্ধু। নেই কোন আশা ------ নেই কোন প্রত্যাশা। আছে একরাশ দীর্ঘশ্বাস। যা ক্ষণে ক্ষনে প্রতিটি বুকের পাঁজরকে একটু একটু ক্ষয় করে আর দিন গোনে।

দীর্ঘ রোগ ভোগের পর মানুষ যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে, কোন সেবা যত্নই যখন আর কাজ করে না। সেও আমার সংসারে বিরাম-বিহীন পরিশ্রম করে, অবশেষে বিশ্রামটুকুও আর সইতে পারল না। কিছুদিনের মধ্যেই প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শে সেই অবস্থাতেই হাসপাতালে ভর্তি করান হয়। সমস্ত পরীক্ষার পরে জানা যায় পেটে একটা বড় রকমের অপারেশন করতে হবে। কিন্তু রোগীর অবস্থা বুঝে, ডাক্তার বাবুরাও মনে হয় একটু চিন্তিত।

-----এখনও সব যেন পরিষ্কার চোখে ভাসছে। ওকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অপারেশন থিয়েটারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি ওর পায়ের দিকটিতেই দাঁড়িয়ে আছি। টলটল করা দু চোখ বেয়ে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়তেই, জামার হাতা দিয়ে ঢেকে ফেলে। হয়ত মাথার পাশে থাকলে কিছু বলত। ------ কিজানি, কি বলত? অপারেশন হোল কিন্তু শেষ রক্ষা হোল না। যে যাওয়ার, সে চলে গেল। এ সংসার যে তাকে কিভাবে তিল তিল নিঙড়ে নিয়েছে, সেতো আমি দেখেছি।

এতজনের মাঝে, দু-দন্ডও কখন কাছে পাইনি। না পেয়ে, না পেয়ে, একদিন কিভাবে সেই আকাঙ্খাটাও মরে গেছিল। সংসার ফেলে, কোনদিন, কোথাও যেতে পারেনি। মুখবুজে শুধু কর্তব্যই করে গেছে। তবে মানুষ অবিচার করলেও, ঈশ্বর তার ওপর অবিচার করেননি। তিনি তাকে গ্রহন করেছে।

( তিন )
------ নাঃ, আজ যেন কিছুতেই নিজেকে আর স্থির রাখতে পারছি না। মনটা বড় ছটফট করছে। ------- কেন? ----- কেন? এই তিথি বারবার ঘুরেঘুরে আসে আমায় দেখতে? কি? আমি কত একা, তাই? তাতে কি আছে? আমরা সকলেইতো একা । একাইতো এই পৃথিবীতে এসেছি। তুমি যখন ছিলে , তখনওতো আমি একাই ছিলাম শেফালি? তুমিও একাই ছিলে। বরং এইতো ভাল। ------ আজ তুমিও একা, আমিও একা।------ কোন ভনিতা নেই, কোন গোপনতা নেই। শুধু নিরুদ্দেশের পথে এগিয়ে চলা ।

----- নাঃ, আর পারছিনা, যাই তনুর সাথে একটু গল্প করে আসি। এর আগেও অনেকবার যাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে, কিন্তু কেন জানিনা, ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াতে আমার সাহস হয়না। কেমন সঙ্কোচ হয়, ভয় হয়। ও যে আমাদের সব জানে। শেফালীকে যে ও ভীষণ ভালবাসত। শেফালীরও তনু ছাড়া আর কেউ ছিলনা। একটু সময় পেলেই তনুর পাশটিতে গিয়ে বসত।

জানি , তনু আমায় দেখে মোটেই খুশি হবে না, বিরক্তই হবে। হোক্। তবুও যাই। আমি যে কত বড় অপরাধী একবার দেখে আসি ওর চোখে। আমার বিচার আর কে-ই- বা করবে? আমার বিচারকতো আমি নিজেই।
ভাবতে ভাবতে কখন যে তনুর দরজায় এসে কড়া নেড়েছি, খেয়ালই করিনি। চোখ তুলে দেখি, সামনেই দাঁড়িয়ে তনু।------------
-"বাব্বা, কতদিন পর এলেন হালদারদা। মাঝে মাঝে একটু এলেওতো পারেন। আপনার শরীরটা কিন্তু খুব খারাপ হয়ে গেছে। -"
-" তোমাদের কাছেতো সব সময়ই আসতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু তনু, আমার যে ভীষণ লজ্জা করে, তোমাদের মুখ দেখাতে।-"
--------- সাথে সাথে তনু যেন কেমন চঞ্চল হয়ে ওঠে। কি করবে, কি বলবে, ঠিক করতে পারেনা। মুখের হাসি মিলিয়ে দিয়েও, কিন্তু কিন্তু করতে করতে বলে,----
-"এই মূহূর্তে সত্যি কথাটা বলা যদিও আমার উচিৎ হবেনা জানি, তবুও দাদা, একটা কথা কিন্তু আজ আর না বলে পারছিনা। -------- বৌদিকেতো, আপনারা একদিনে শেষ করেননি হালদার-দা?-"

বলেই পেছন ফিরে নিজেকে একটু সামলে নেয়---- মুখে হাসি ধরে, চেষ্টা করে নিজেকে সহজ করতে, ------ না না আমার কথায় কিছু মনে করবেন না। আসলে বৌদির কথা উঠলেই আমার যে কি হয়, কিছুতেই আর নিজেকে স্থির রাখতে পারিনা। অসম্ভব উত্তেজিত হয়ে পড়ি। তার সেই মায়া মাখা, স্নেহ ভরা চোখ দুটো আজও আমি দেখতে পাই। আমায় যে কেন এত ভালবাসত জানিনা। না, না আর কিছু বলব না। বসুন বসুন একটু চা করে আনি। তারপর বসে অনেক গল্প করব।
-"কিন্তু তনু, এতদিন পর আমি যে তোমার কাছে ছুটে এসেছি, শুধু তোমার মুখে একটু ওর কথা শুনব বলেই। ও-তো আমার পাশের ছিল , তাই পাশ কাটিয়ে চলে গেছে। তুমিতো ওর কাছের ছিলে, -------- তনু , তোমরা আমায় শাস্তি দাও, শাস্তি দাও বলেই মুষ্ঠিবদ্ধ হাতখানা কপালে ঠেকিয়ে নীচু হয়ে থাকে।------------"
-" এত উত্তেজিত হওয়া কি আপনাকে মানায় হালদার-দা? তাছাড়া আজ এসবের আর প্রয়োজনই বা কতটুকু, বলুন?-"
-"তোমার কাছে না থাকতে পারে, কিন্তু আমার কাছে আছে।-"------- " তনু তোমার কাছে আমার একটিই ভিক্ষা, আজ তুমি প্রাণভরে আমাকে ওর কথা শোনাও। আজ আমি শুধু শুনব। তুমি বল, বল। আমায় তুমি কথা দিয়ে যত পার আঘাত কর, অপমান কর কিন্তু আমায় ফিরিয়ে দিও না, তনু। আমায় ফিরিয়ে দিও না। মৃত্যুর পরেও, তাকে অন্তত একবার আমায় চিনতে দাও।----------
-"কিন্তু কি লাভ? আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে এরকম কত তনুর বৌদিই তো ছড়িয়ে আছে। কত জনের কথা শুনবেন আপনি? এটাইতো আমাদের নিয়তি। একদিন মৃত্যুর স্মরণেই হয়, যার প্রতি প্রকৃত প্রেম নিবেদন। -------
-"বল, বল আরও কঠিন ভাবে বল। আমাকে বলার অধিকারতো একমাত্র তোমারই আছে। তুমি, আমার ছোট বোনের মত। ক্ষমা না কর, অন্তত একটু করুণা কর, তনু----------" সময় বয়ে যায়। দুজনেই নীরব নীরবতারও বোধহয় একটা ভাষা থাকে। সামনে থেকে উঠে গিয়ে জানালা ধরে বাগান দেখে। তারপর যেন নিজেকেই শোনায়।--
( চার )
----------- এখানে এসে থেকেই পাশের কোয়ার্টারে আপনাদের পেয়েছি । আর পেয়েছিলাম বৌদিকে। দিনে দিনে আমরা যে আত্মীয়তারও উর্দ্ধে কত কাছের মানুষ হয়ে গেলাম তা বুঝতেই পারিনি। দুটো পরিবার এক হয়ে মিশে গেল। নতুন সংসার, নতুন জীবন যে কি দ্রুত কেটে গেল। ছেলে-মেয়ের মা হলাম। বৌদির হাতেই তারা মানুষও হয়ে গেল। প্রথম প্রথম কাজ-কর্ম বিশেষ কিছুই জানতাম না। বৌদিই একরকম হাতে ধরে সব শেখাল। তারপর আমায় পুরো সংসারী করে চলে গেল। কখনও মুখ ফুটে নিজের এতটুকু কথাও বলতেন না। আমি মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করলেই বলতেন।---- "আচ্ছা, আমার কথা শুনে তোর কিহবে বল দিকি?

তা এমনই, এক মন মাতানো দিনে, নিজেদের মধ্যে খুব হাসাহাসি করছি, অমনি বৌদিকে চেপে ধরি, -"{ ও বৌদি, বলনা, বলনা তোমাদের কিভাবে পরিচয় হয়েছিল?-" একটু যেন থেমে রইলেন। আবার ফিরিয়ে নিলেন নিজেকে।

-----"আমার জীবন-স্মৃতি শুনে যদিও তোর কোন লাভ হবেনা, জানি, তবুও তোকে বলছি। একটা কথা ভেবে, কারণ, এ তোকে বাঁচতে শেখাবে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, সকলেরই কর্তব্য নিজেকে রক্ষা করতে শেখা। -------- "

বৌদিকে দেখে মনে হোল, ঝাপসা, অস্পষ্ট দৃষ্টিতে বহু দূরের কিছু দেখছেন। তারপর জীবনের সন্ধানে নিজেকে ভাসিয়ে দিলেন।

----- ১৯৫০ সাল। দাদা, বৌদির আশ্রয়ে পাঁচ ভাই-বোন, কাঁচরাপাড়ায় এক উদ্বাস্তু শিবিরে, কোনরকম কৃচ্ছসাধন করে দিন কাটাতে শুরু করি। যে যার ক্ষমতা অনুযায়ী টুকটাক কাজ করে, খাওয়ারের যোগাড় করতে চেষ্টা করি। তাতেও প্রতিদিন দুবেলা কারুরই পেট ভরেনা। -------- সেখানে পাশেই ছিলেন তোর হালদারদারা । ওনারা আমাদেরও আগে এসেছিলেন। উনি ছিলেন বড় ছেলে। সাত ভাই-বোন। মা, বাবা, ঠাকুরদা, ঠাকুরমা, দিদিমা সকলকে নিয়ে এক বিশাল সংসার। আমাদের চাইতেও অনেক কষ্ট করে চলতে হোত ওনাদের। নির্দ্দিষ্ট রোজগার বলতে কিছুই ছিল না।চাকরির খোঁজে এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে জামসেদপুরে পরম হিতাকাঙ্খী এক বন্ধুর সন্ধান পান। তার কল্যানে কোনক্রমে ধানবাদে একটা কাজও জুটে যায়। মাস গেলে মাত্র ১২০ টাকা মাইনে। যাইহোক সামান্য আয়ে কোনরকমে দিনও কেটে যায়। অভাব থাকলেও, ভয়তো থাকেনা। তাছাড়া দেশের বাড়ীতেতো সকলেই জমিদার। সুতরাং সে আরাম আর কোথায় পাবে? একটু স্থিতি হতেই, আস্তে আস্তে সকলকে এনে ওঠান এই ধানবাদে। ------------ পেট একটু ঠান্ডা হতেই, সকলের পিঠের আরামেরও চিন্তা হয়। ওর ঠাকুরমার সখ হয়, নাতবৌ দেখার। আসলে বৌ এর থেকেও ওদের সংসারে তখন দুটো কাজের হাতের বড়ই অভাব ছিল ।

এদিকে বহুদিন পাশাপাশি থাকায়, আমার কর্মক্ষমতা তাদের বেশ ভালই জানাছিল। সুতরাং ওর বাবার জহুরীর দৃষ্টিতে, পাত্রী হিসেবে আমায় উপযুক্ত ভাবতে বেশী সময় লাগেনি। সেদিক দিয়ে ভাবতে গেলে আমার শ্বশুরের দৃষ্টির উদারতা মানতেই হয়। দাদার সংসারেও একটা পেটের খরচা কমল। ফলে হাজার কথা হওয়ার আগেই, নমোনমো করে আমাদের বিয়ে হয়ে গেল। সেই চলে এলাম ধানবাদে। আর কখনও, কোথাও যাইনি। ভাই-বোনদের সাথেও আর দেখা হয়নি। কে যে কোথায় আছে জানিওনা।

( পাঁচ )
------ জানিস, যেদিন আমি এ বাড়ীতে প্রথম এলাম, সেদিন ছিল আমাদের কালরাত্রি। মানে সেরাতে স্বামী-স্ত্রী কেউ কারুর মুখ দেখে না। পাশেই একটা ঘরে ঢালাও বিছানা পাতা হোল। তিন ননদ, শাশুড়ী, দিদি-শাশুড়ী সকলে মিলে এক বিছানায় শুয়ে পড়লাম। মাঝ রাত্তিরে আমার শাশুড়ী আমায় ফিসফিসিয়ে কি বলল শুনবি? তবে শোন। নতুন বৌ এর সাথে শাশুড়ীর প্রথম আলাপের সূচনা। ------------ -" বৌমা, একটা কথা বলি শোন, আমার ছেলে-মেয়েরা সব এখনও ছোট। দেখো যেন তাড়াতাড়ী বাচ্চা-টাচ্চা না হয়। আর, একার রোজগারে পেট বাড়ালে চালাবেই বা কি করে? -------"

---- তনু, ঈশ্বর, যে সেদিনই আমার ললাট-লিখন সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলেন তা-তো বুঝতে পারিনি? নতুন বৌ, এসব মন্তব্য শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেছি। কি অসম্ভব স্বার্থপরতা, কতখানি নীচ প্রবৃত্তি অন্তরে থাকলে তবেই মানুষ মানুষকে এ ধরণের কথা বলতে পারে----------------------- তবে শাশুড়ীর নির্দ্দেশ ভগবানও অমান্য করেননি। বিয়ের পর থেকে মনোযোগ দিয়ে শাশুড়ীর সন্তানদেরই মানুষ করেছি। যথাসাধ্য সকলের সেবা করেছি। স্বামীর কল-কারখানায় অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ। আট ঘন্টা রক্ত জল করে, বাড়ীতে যখন ফিরত, তখন তার আর কথা বলার শক্তি টুকুও থাকত না। কাজে যাওয়া ছাড়া বাড়ীতে যতক্ষন থাকত বেঘোরে পড়েই থাকত। এরমধ্যে আবার বাড়তি রোজগারের জন্য, ওভার-টাইম ডিউটি করে করে মানুষটা অসময়েই বুড়িয়ে গেল। পরিশ্রমের তুলনায় খাদ্যের অভাবে শরীর ভেঙ্গে পড়ল। সব দিক সামাল দিয়ে আর পেরে উঠতেন না। আমার ক্ষমতা অনুযায়ী আমি চেষ্টা করেছি মাত্র, কিন্তু সেই বা আর কতটুকু? ------

এর পরের সবই তো তোর জানা - দেখা। একে একে শ্বশুর , শাশুড়ী ইহলোক ত্যাগ করলেন। দেওর, ননদরা সব নিজের পায়ে দাঁড়াল। বিয়ে দিলাম। সবার ঘর হোল। একদিন যে যার সুবিধে মত চলেও গেল

আজ ঝিমোন বেলায়, সংসার সীমান্তে দুই বিধ্বস্ত প্রহরী আমরা। --------- নাঃ, আর কারুককে দেখার নেই।
---------- আমাদেরও কেউ দেখার নেই। -------- আজ ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র আমার এই সংসার। ততোধিক ক্ষুদ্র বোধহয় আমার এই জঠর ? ? ?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×