১। সকালে মাইক্রোপ্রসেসর ক্লাস। আটটা পঞ্চাশে। রাতে ঘুমাইছি সাড়ে চারটার দিকে, আটটা পঞ্চাশে ক্লাসে যাওয়া অসম্ভব। কিন্তু সকাল সকাল আমার রুমমেট ডাকাডাকি শুরু করলো। অই উঠ, ক্লাসে যাবিনা। রুমমেট শালা বদমাইস একটা ,গা ঝাকি দেউয়া শুরু করল । আমি বললাম, যা তুই আস্তাসি। তারাতারি দাত ব্রাশ কইরা ক্লাসে গেলাম। গিয়াই অবাক। স্যার ক্লাসে আইসা মাইক্রোপ্রসেসর ইন্টারনাল আর্কিটেকচার এর বদলে জেটা জোন্স এর মারাত্মক ছবি প্রজেক্টরে শো করল।

শো করলো এর ছবি,এই ছবি অবশ্য নয়।
শো করার কথা এই ছবি

এবার বলেন কোথায় মহারানি আর কোথায়.>>এই ডায়াগ্রাম।
আমার মাথা তখন পুরাই গেছে। জেটা জোন্স! অহ প্রতিটা ক্লাস এমন হয়না কেন?
কি একটা ক্লাস করলাম। মনে মনে ঠিক কইরা ফালাইলাম আর ক্লাস মিস না । জেটা জোন্স মিস হয়া গেলে জীবনে আর থাকেকি!!?


হঠাত মনে হল আমার পশ্চাতদেশে ব্যথা পাচ্ছি। কানে এল রুমমেটের কথা, শালা এখনো ঘুমাইতাছে। ক্লাসে যাস নাই কেন। পরবা তুমি ৬০% এর কেচায়।


আমি পুরাই......। ক্লাসে যাইনাই...... এতক্ষন তাইলে হইলো কি। বুঝতে পারচি জেটা জোন্স এর আর্কিটেকচার ক্লাসে পড়ানো হয় না ।


২।
ECE ক্লাস করতেই হবে। আমি উপস্থিত । ক্লাসে ঢুইকা স্যার বলল ,লাস্ট ক্লাসে কি পড়ানো হয়েছিল?
আমি নিয়মিত ছাত্রের মত উত্তর দিলাম,প্যারাবোলিক রিফ্লেকশন এন্টেনা।
স্যার আবার বল্ল,,লাস্ট ক্লাসে কি পড়ানো হয়েছিল?
আমি মনে মনে বললাম,শালায় ঠসা নাকি। কইলাম শুনেনাই।


স্যার আমার দিকে চাইয়া বলেন, তোমারটা শুনছি ,তুমি বস, এটা ৫০ বছর আগের কথা।
তখন আমার হুস হল, আমার লাস্ট আর স্যারের লাস্ট তো এক নয়।


৩।
এইটা আমার ঘটনা না । বড় ভাইয়ের , উনার থিসিস এর উপর সেমিনার আছে। তা ভাইয়ের প্রেজেন্টেশনের পর প্রশ্নোত্তর পর্ব।
তখন স্যার বললেন, তোমার টপিক ভাল,আমার যথেষ্ট আগ্রহ আছে এই টপিকের উপর, কিন্তু আমি যেহেতু তোমাকে জিরোই দেব তাই তোমার প্রেজেন্টেশনের উপর কোন প্রশ্ন করার অধিকার আমার নাই।


সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৫৬