আমাদের অফিসে কোনো টাইম-টেবিল নাই , কেউ আসে সকাল ছয়টায় কেউ আসে দুপুর ১২ টায়। অফিসে ৯ ঘন্টা থাকাটাই মূখ্য বিষয়। আমাদের এক কলিগ আজ আসছে ভোর ৪ টায়। ঘুম আসছিলো না তাই সাইক্লিং করতে করতে অফিসে চলে আসছে। অফিস ওর বাসা থেকে প্রায় ৫ কিলো দূরে। সে একজন তরুণী।
আমার বিষয় অফিস নিয়ে নয়, বিষয় নারীদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা নিয়ে। ওর রাত ৩ টায় উঠে সাইক্লিং করতে একটুও নিরাপত্তার অভাব মনে হয়নি। এমন না যে, ও এখানকার স্থানীয়। একটা শহর কতটা নিরাপদ হলে মেয়েরা একা একা মাঝরাতেও স্বাধীন মতো ঘুড়তে পারে যেখানে আমাদের দেশে মেয়েরা সন্ধ্যার পর বাইরে থাকলে বাবা মায়ের দুঃশ্চিন্তার শেষ থাকে না।
নারীর নিরাপত্তাহীনতা যেন সবজায়গায়। কিছুদিন আগে একজন দুরারোগ্য বাচ্চার সাহায্যের জন্য বিভিন্ন প্রবাসী গ্রূপে পোস্ট শেয়ার করা হয় । পোস্টে বাচ্চাটার মায়ের বিকাশ নম্বর দেয়া ছিল। ইমো থেকে ফোন করে তাকে বিভিন্ন অরুচিকর প্রস্তাব দেয়া হয়। যার বেশির ভাগ কলই ছিল মিডিল-ইস্ট প্রবাসী বাঙালীদের। একজন অসুস্থ বাচ্চার অসহায় মাকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে কল্পনাও করেনি। একজন পুরুষ, একজন মিডিল-ইস্ট প্রবাসী হিসাবে চরম ভাবে লজ্জিত, ব্যাথিত !!
স্বপ্ন দেখি, ধীরে ধীরে একসময় আমাদের মানসিকতায় অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। সেদিন আমাদের দেশে নারীরাও স্বাধীন ভাবে ইচ্ছা মতো ঘুড়তে পারবে। জয় হবে মানবতার। নিশ্চিত হবে নারীর নিরাপত্তা। একজন নারী , সে তো আমার মা, আমার বোন, মেয়ে কিংবা সহধর্মিনী !!
মাস্কাটের পথে পথে ......(ছবি ব্লগ)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮