অবোধ চোখ দর্শনের কিছুই দেখেনা
নির্বোধ হৃদয় উত্তাপের কিছুই বোঝেনা
দেহতত্বের সুরে আগুনপোড়া বাজনা বাজে
অগ্নিসুতো খুলে পড়ে
ঈশ্বর বিপন্ন হয়
নিপাট ভাঁজে ভাঁজে
কলা পার্বনে জাগতিক চিহ্ন আঁকে
আদিম, উদ্দাম, মূদ্রামাতাল ছন্দে।
পৃথিবীর রূপ হেঁটে যায় দ্রাঘিমায় দীর্ঘ
মায়াবী শরীরে হৃদয় ভেজে, নিঃশ্বাস ঘন হয়
লীলা-শৃংগারে নতুন দৃশ্য জমাট বাঁধে
শৃংঙ্খল ধ্বসে পড়ে
আলোপ্রাণ উত্তাল হয়
শান্তিধারা ঝরে পড়ে
সুন্দরের ভিতর সুন্দর আশ্রম করে
প্রাচীন, প্রাগৈতিহাসিক, বিস্মিত দৃষ্টিপাতে।
জীবন ছুটে চলে ক্ষুধাভরা কামজ শরীরে
জলধোয়া যুবতীদের নিবিড় আত্মবোধে
চুমু আর আলিঙ্গনে সামাজিক হতে হতে
প্রিয়জনে পিপাসা নিবৃত্ত করে
নগ্ন কিংবা, মগ্ন কিংবা ক্ষুধার্ত ইন্দ্রিয়গ্রাসে,
দৈবিক, বৈদিক, অবিশ্রান্ত অগ্নিধারায়।
অলিখিত বা সম্ভাবনাময়ী প্রেমসব অবিরল
জলছবি আঁকাআঁকি, দেহতলে জমা হয় মেঘ,
নিসর্গজুড়ে চোখের জল,
চোখের জলে মেঘ ভেঙে বৃষ্টিবেলা
ধুয়ে যায় ভাললাগা, মুছে যায় পাপ
বিবর্তনের স্রোতধারায় জন্ম দীর্ঘ হয়
মানবিক শরীরে আবাদভূমি উর্বর হতে থাকে
জন্মান্তরের পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রতিশ্রুতিতে
প্রেম, সুখ, কাম কিংবা জীবাত্মার পূর্ণগ্রহণে।