আমাদের দেশে আইনের যে প্রচলিত ধাপ সমুহ, সেসব দিয়ে কি এসব রাঘব বোয়ালদের শাস্তি আদৌ সম্ভব? দিন সময় যত গড়াবে মানুষ ততই জুলাই ২৪ কে ভুলতে থাকবে। তাই দ্রুত তম সময়ের মধ্যে এই হেভিওয়েট অপরাধীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চত করতে না পারলে আদতে দেশের সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পাবে না। দূর্নীতি বাজদের বেলায়ও তাই। সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না করতে পারলে এরা দেখবেন ঠিকই টাকা পয়সা ঢেলে এমন ভাবে সব ম্যানেজ করে ফেলবে, যে কেউ বুঝতেই পারবে না যে কি দিয়ে কি হলো। এই যে তাসকিন, বেনজীর মতিউর এদের কি আদৌ কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে দেখছেন? বিন্দাস আছে।
সুতরাং স্মৃতিতে জুলাই, ২৪ অম্লান থাকতে থাকতেই এদের বিচার ও সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। এই যে প্রথম স্বৈরাচার লেজেহোমো এরশাদ, কিছু দিন জেল জরিমানা খাটলো ঠিকই, কি সুন্দর মরার আগ পর্যন্ত রাজনীতি করে গেলো মুক্ত বাতাসে .... নূর হোসেন, ডাঃ মিলন সহ আরো কত শত শত মানুষের রক্ত লেগে ছিলো তার হাতে ... ফলাফল কি? এ বিগ জিরো ... তাকে যদি মানুষ ফাঁসি তে ঝুলতে দেখতো, তবেই মানুষ শিক্ষা নিতো। ছাত্র জনতার এই অভ্যূত্থান এর মাধ্যমে এমন কঠিন বিচার ও শাস্তিই নিশ্চিত হওয়া দরকার, নয়তো আমরা দূর্নীতি প্রিয় মানুষ আবার সেই দূর্ণীতিকেই স্বাগত জানাবো।
ডিলে ডিফিটস ইকুইটি - বিলম্ব ন্যায়পরতাকে ব্যহত করে- আইনের এই ল্যাটিন টার্ম সকল আইনজীবীই জানেন, সর্বপরি কথাটা এমনি এমনিই আসেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা না গেলে এই আন্তর্জাতিক চোরেরা দেখবেন ঠিকই তাদের পক্ষে লোক জড়ো করে ফেলবে এবং নিজেদেরকে মুক্ত বাতাসে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
আমাদের দেশের দূর্নীতিবাজরা সব সময়ই ভালো থাকে। মাঝে মধ্যে বিপদে পড়লেও খুব সহজেই তারা অর্থ খরচ করে উতরে যায়। তারা সহযোগিতা পায় তাদের উত্তরসূরী ও পূর্বসূরীদের নিকট থেকে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষো ভাবে। এই পরিবর্তন ডঃ ইউনুস আনতে পারবেন কি না , এই বিষয়ে এখনই জোর দিয়ে কিছু বলা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪