অনেক তো হলো! এবার সময় এসেছে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলোতে সঠিক গণতন্ত্রের চর্চা করার। নতুন নেতৃত্বের সূচনা করার। যে নেতৃত্ব হবে সামনে এগিয়ে যাবার ... এমন নেতা আমাদের প্রয়োজন যার গায়ে কোন কালি নেই। যার হাতে রক্তের দাগ নেই। আমরা ১৭ কোটি জনগন .... দুটি পরিবারের হাতে বন্দী ... কেনো? বিশ্বের সব দেশে সময়ের সাথে নেতার পরিবর্তন হয়, নেতৃত্বের পরিবর্তন হয় ...শুধু হয় না আমাদের দেশে ... ! একদল এসে ঐ দলের দোষ গাইবে আর আখের গোছাবে, পরবর্তীতে অন্য দল আসবে, উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাঁড়ে চাপাবে, আখের গোছাবে ....! মধ্য থেকে আপামর জনসাধারণ ভুগে মরবে .... সঠিক নেতৃত্বের অভাবে একটি দেশ যে কতটা অ সিস্টেমেটিক হতে পারে, সেটা আমাদের দেশকে দেখলে বোঝা যায়।
যে কোন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা বজায়ে রাখতে সময় মতো নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। আজকে অমুক জেনারেল তো দুই বছর পরে অন্য কেউ। আজকে অমুক আইজিপি তো সময় শেষে অন্য কেউ। এভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রেই নেতৃত্বের পালা বদলের মাধ্যমে সেই সংগঠনটিকে বেগবান ও যুগোপযুগী করা হয়।
অনেক দেশের সংবিধান মতে একজন নেতা, সে মানুষ, সে যতই যোগ্য হোক, সে কিন্তু দুবারের বেশী প্রধানমন্ত্রী হতে পারে না। কেনো? কারণ ক্ষমতা যেনো তাকে অন্ধ না করে দেয়, তাকে জবাবদীহিতার বাইরের কেউ ভাবতে না শেখায় তাই। এর ফলে রাজনৈতিক দলের আভ্যন্তরীণ গনতান্ত্রিক চর্চার বিকাশ ঘটে, এটা মানুষকে সৎ ও যোগ্য হতে সহায়তা করে।
একজন নেতা আজীবন যোগ্য থাকতে পারে না, এটাই বাস্তবতা। যদি তাই হতো তবে বুশ বা ক্লিনটন এখনো তাদের প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকতেন। যোগ্য নেতা সেই যে, তার সেকেন্ড ম্যান অর্থাৎ তার পরবর্তী নেতা তৈরী করার যোগ্যতা রাখে । যে কোন দল পরিচালনা করতে, সেই দলে যোগ্য নেতা নির্বাজন করতে হয়, সেখানে দেশ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে আমাদের নেতা নির্বাচনের জায়গটি চরম ভাবে সংকীর্ণ!
আমরা অভাগা জাতি ....
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯