স্পেস সাঁটল হচ্ছে এমন একটা মহাকাশযান যা মহাকাশচারীদের মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দিতে বার বার ব্যাবহার করা হয়। স্পেস শাটল আর রকেটের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। যেমন রকেট একবার ব্যাবহার করা গেলেও স্পেস শাটল নবায়নযোগ্য । এই নবায়ন যোগ্য শাটল বা রকেট যাই কিছু মহাকাশের দিকে রওনা দিক না কেন দেখবেন বায়ুমন্ডল ত্যাগ করার সাথে সাথে এর জ্বালানিও শেষ হয়ে যায় এবং প্রধান জ্বালানি ট্যাংক বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দেওয়া হয়।
সাধারণত স্পেস শাটলের নিচে একটি সলিড বুস্টার ও জ্বালানি ট্যাঙ্ক থাকে । সলিড বুস্টার সাধারণত পৃথিবী ছাড়ার আগে ৪৫ কিমি থেকে ৬৭ কিমি পর্যন্ত শাটলকে টেনে তুলে। এর পরে সাধারণত জ্বালানি ট্যাংক এবং বুস্টার দুটিকেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দেওয়া হয়।
কারণ রকেট উপরের দিকে উঠার জন্য প্রধান বাধা হলো অভিকর্ষজ বল । তাই জ্বালানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে যদি জ্বালানি ট্যাঙ্ক ও বুস্টার ফেলে দেওয়া না হয় তবে জ্বালানি ট্যাংকের ভরে শাটল আর উপরের দিকে উঠতে পারবে না। তাছাড়া যেখানে ভরই মুখ্য বিষয় সেখানে অতিরিক্ত জ্বালানিবিহীন ট্যাংক বহন করার কোন যৌক্তিকতা নেই।
এবার যে জ্বালানি ট্যাঙ্ক ফেলে দেওয়া হয় তার ভাগ্যেই বা কি ঘটে। কারই বা মাথায় গিয়ে পড়ে সেটি?
যখন জ্বালানি ট্যাঙ্কের সাথে রকেট বুস্টার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে স্পেস শাটলের শরীর থেকে তখন বুস্টারের শরীরেড় প্যারাসুট ফুলে ফেঁপে উঠে এবং ধীরে ধীরে উড্ডয়ন স্থান থেকে ২০০ কিমি দুরে সাগরে পড়ে। বুস্টারটি নৌবাহিনীর জাহাজ দিয়ে উদ্ধার করে আনা হয় এবং বার্নিশ করে পুনরায় ব্যাবহার উপযোগী করা হয়। কিন্তু কি ঘটে বেচারা অয়েল ট্যাংকারের ক্ষেত্রে ? না এক্ষেত্রে আপনাকে হতাশ করতে হলো । অয়েল ট্যাংকারটি পুনরায় ব্যাবহার উপযোগী নয়। তাই এর সাথে কোন প্যারাসুট দেয়া হয় না। যার কারণে বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষে আগুণ ধরে যায় এবং টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে পড়ে।
এই লেখাটি আগে আমার ছোট্ট বিজ্ঞান ব্লগে প্রকাশিত।
https://www.sciencethirst.com
সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৫