খুবই কিউট একটা প্রাণী। দেখলে ইচ্ছে করে তুলতুলে শরীরটা একটু ছুয়েঁ দিই। কিন্তু এর একটী অভ্যেসের কথা বললেই আপনার গায়ে কাঁটা দেওয়া শুরু করবে। আপনি কি জানেন তারা সকাল বিকাল অন্তত দুবার নিজেদের বিষ্ঠা খায়। সত্যি তো কেন?প্রকৃতি কখনো বিজ্ঞানবিরুদ্ধ কিছু করে না। খরগোশের এ ধরনের আচরণের পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে!! কি সেই কারণ? আমরা মানুষেরা জাতি হিসেবে কখনোই স্বাস্থ্য সচেতন ছিলাম না। কিন্তু খরগোশেরা খুবই সচেতন। আমরা বাথরুমে ঢুকলে কখনো নিজের মলের ব্যাপারে চিন্তিত হই না । কিন্তু খরগোশেরা চিন্তিত। তারা নিজেদের মল মুখে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখে যে খাদ্য আসলেই সম্পূর্ণ হজম হয়েছে কিনা।
যদি হজম না হয় সম্পূর্ণ ভোজন প্রক্রিয়া পূনরাবৃতি করে। এই হলো খরগোশের বিষ্টা ভোজনকারণ। ও হ্যা মানুষের মল মুত্র পরীক্ষা করার জন্য আলাদা ল্যাবরেটরি আছে তাই আপনার খরগোশ হওয়ার দরকার নাই। tongue emoticon
কমেন্টে অশ্রু আরিগর ভাই আরোকিছু ইনফরমেশন তুলে ধরেছেন আমি পরিবর্তনা নাকরে হুবহু তুলে দিলাম সবার জানার স্বার্থে
অশ্রুকারিগর বলেছেন:
একটু ইনফরমেশন দেই ভেটেরিনারিয়ানের পক্ষ থেকে। খরগোশ সব সময় এই কাজ করেনা। তাদের খাবারে ফাইবার বেশি থাকে, অনেক সময় এবসর্ব হয় না। এগুলো সিকামে(ইন্টেসটাইনের একটা পার্ট) এসে দানা দানা হয়ে যায় একটা ব্যাকটেরিয়ার কারনে। এইটা মল হয়ে বেরিয়ে আসে। এই স্পেসিফিক মলগুলো তারা আবার খায় নিউট্রিশন পাওয়ার জন্য। কারন ব্যাকটেরিয়ার কারনে এগুলো এখন এবজর্বেভল হয়ে গেছে।
আরেকটা জিনিস জানেন কিনা , খরগোশ কখনো বমি করতে পারেনা ?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫০