somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শব্দ দিয়ে লেখা

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবিতাপাঠ দুটি জিনিস দিয়ে বিচার করা হতো চিরকালই
কাব্যকলা মানে লেখার মান এবং পাঠশৈলী
কিন্তু ইদানীং, তৃতীয় একটি মাপকাঠি তৈরি হয়েছে
এক তৃতীয়াংশ লেখা, এক তৃতীয়াংশ আবৃত্তি বা কথকতা
এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার উষ্ণতা

কিন্তু সমস্যা হল এই যে, কবিতার
এক তৃতীয়াংশ যাদুময়তা,
এক তৃতীয়াংশ সততা
আর এক তৃতীয়াংশ হলো 'মারা খা'
এবং এর মধ্যেও রয়েছে মজার,
পছন্দনীয়, হালকা হাসির বিষয়
যদি ভাল হতে হয়, তবে জোরালো অভ্যন্তর লাগে, এটাই আমি
আবার যেমন অন্যরাও আছে, এ নিয়ে কিইবা আর করা যায়?

অন্যদের গুমুত মিষ্টি, মধুর এবং মজার হওয়া অসম্ভব নয়
কারণ অন্যরাই হয়তো মিষ্টি, মধুর, এবং প্রেমময়
তবে কবিতা লিখতে হলে পাছামারা কবিতা লিখতে হয়
অন্যথায়
এটা শুধু বাজে বালছাল কথাই হয়ে যায়

পাঠক বা দর্শকদের সম্মান করা ঠিকাছে
কিন্তু সন্তুষ্ট করার দরকার নেই
তাই বিচারকরা নম্বর দেয়ার সময় নিজেরা কী ভাবছেন সেটাই করুক প্রদর্শনী
দর্শকরা কি ভাবছে সেটা নয়
তা আমরা ইতিমধ্যেই জানি

এবং আমাদের সবাইকেই এই মঞ্চে পালাক্রমে হবে দাঁড়াতে
একটা শিক্ষাব্যবস্থা গড়েই ওড়ে পার্থক্যমূলক মতামতে

প্রাচীনকালের সমস্ত গ্রীক মহান নাটকগুলো
প্রতিযোগিতার জন্যই লেখা হয়েছিল
একদম আমাদের মত
মানুষ এত কিছুই শিখতে পারে তাই হয়তো
একটি কবিতাপাঠের একমাত্র উপায়ই হল এটাকে অভিনয় না করা
যখন ভেতরে ব্যথা, তখন কান্নার চেষ্টা করা হয় না
বরং কান্না না করার চেষ্টাই আটকায় অশ্রুধারা

যদি কবিতা লেখার কারণটা হয় 'হবে লিখতেই'
তখন সবই লেখা
আর কিছুই না
সেখানে প্রদর্শনীর কিছু নেই

"কবিকে ভালোবাসা দাও" লন্ডন, নিউ ইয়র্কে বলে ওরা
কিন্তু আমি ভালবাসা চাই না
আমার সবচেয়ে খারাপ, দুর্বলতম মুহূর্তগুলো ছাড়া
আমি মরুভূমিতে যেতে চাই
যেখানে ভালবাসা বা ঘৃণা বা করতালি বা হাসি, কিছুই নাই
শুধুই শব্দ
এবং শব্দরা যা করার তা-ই করে
আর এটি শোনার পরে,
সম্ভবত শ্রোতা চিৎকার বা হুঙ্কার করতে চায় না
হয়তো লাফঝাঁপও দিতে চায় না
বোধহয় তখন শুধুই থাকে নিজের দমটা ফিরে পাওয়ার বাসনা...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র ও নির্বাচিত শব্দের নয়া ব্যাখ্যা দিলেন ফরিদা-মজহার দম্পতি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৭


বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুটা ছিল জনতার কণ্ঠে, এখন সেটা রূপ নিচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট গলার একচেটিয়া লোকের তর্জন-গর্জনে । শুরুর দিকে বলা হয়েছিল, এটা অস্থায়ী সরকার—জনগণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকা আমাদের দেশে সরকার পরিবর্তনে সক্ষম হয় কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৮



আমাদের দেশের সরকার সমূহ যখন সরকার পরিবর্তনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় তখন বিশ্ব মোড়ল হিসাবে আমেরিকা আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তন তাদের দায়িত্ব মনে করে। তারা এটা করে আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিছক যড়যন্ত্র নয়(কপি পেস্ট)

লিখেছেন পদাতিক চৌধুরি, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২৮

*গা শিউরে ওঠার মত ঘটনা... বাংলাকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে? পড়ুন বিজেপির নিজেদের মধ্যেকার এক ব্যক্তির ফাঁস হওয়া মেসেজ..*

-------------------------------

আমায় আমার নাম, পরিচয় প্রকাশ করতে অনুরোধ করবেন না। চাকরি সহ জীবনটাও... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩



গতকাল ছিলো বাংলা নববর্ষ।
সকালে এক জরুরী কাজে আমি উত্তরা গিয়েছিলাম। আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু দেরী করে ফেললাম। আজ বাসার সবাই মাওয়া যাবে। সেখানেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই সময়ের কিঞ্চিৎ ভাবনা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

বাক স্বাধীনতা কিংবা যা মনে আসছে তাই লিখে বা বলে ফেলছেন, খুব একটা ব্যাক স্পেস চাপতে হচ্ছে না এখন, তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোন দল নির্বাচিত হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×