শুরুই যখন করলেন, ভাবছি যুদ্ধের আগুনে দেব ফুঁক।
যেকোন পক্ষেই যেতে পারতাম, কিন্তু অবশ্যই এখন
নারীবাদকে হস্তমৈথুন শিখিয়ে কাটাবো বাকিটা জীবন।
করে মুখ হা, সিনা টান টান আপনার সবগুলো বন্দুক
গিলে, উগরে দেব গুলির ঠোসা খাবারের পাতে, খান।
পয়দা করবো আধিজাতিক বাহিনী, উদ্ভট সেনাসন্তান
প্রতি উপজাতির জননী-গর্ভে আর লিঙ্গ হবে বহুমাত্রিক।
আমার এই বাচ্চাদের দল আপনাকে মারবে ঠিক ঠিক।
আর বানোয়াট উপাধিও পারবে না ঠেকাতে উৎখাত।
কারণ আসল কথা হলো, এখনো থামেনি অনাগত কাল
কিছু দেরি হলেও জনতা জেনেছে আপনার ধর্মীয় আতাত.
আমরা তবুও উজবুক, থাকবো সবখানে লোমশ আবাল,
যেমন গতকালও আমরা ছিলাম 'যেকোনো' বিয়ের সপক্ষে,
কারো যায় আসে না কিছুই ছেড়ে না দেখেও না দ্যাখে,
আগামীর ধর্মহীন সৌরশক্তি কেড়ে নেবে শ্রমিকের বাহু;
আর সব যন্ত্রমানব অনেকটাই উভলিঙ্গ-সমকামী মহীরুহ।
অতএব সাবধান! পাহাড়-বন আমরা শুধু নামহীন চিনি।
সাধারণ জনগণ ভোটই দেয় শুধু, তবে গণতন্ত্র আসেনি
কাজে দেশজোড়া অফিসে রঙচঙে দেয়ালে আপনার ছবি,
চুনসুরকির দালানও অধর্মী লিঙ্গছাড়া, আর আপনি অভাবী।
পৃথিবীও খুঁজে পেল আমাদের সরলরেখায় তার কার্যকারণ
আমাদের ন্যায় তারও বুকে আপনার অসঙলগ্ন পদচারণ।
আজ্ঞে! ওখানে থাকবে চিহ্ন, ঢোলে আঁকা রংধনুর আঁচড়
আর মানুষের মতের বিতর্ক শেষে মনে হবে মারবো থাপ্পড়;
কিন্তু আমি মারবো না কখনোই, ওরা আমার ঘরপরিবার।
যুক্তিতে ধরে নেই, আপনিও দেশভালোর প্রতি-রাজাকার;
রক্তলাল সম্পর্কের এই টানাটানি যদি নাও থাকে জানেন
মাটি-প্রেমিকের সমীকরণ থেকে ভোলা উচিত লেনদেন।
স্বীকার করছি এখন, জানিনা এই আমি জীবিত না মৃত
দমবন্ধ উত্তেজনা, বসে আছি সেই মোক্ষম সময়ের তরে
নিজেদের শ্বাস ও হৃদকথার শব্দসমূহ আজকাল অশ্রুত
আর বন্ধুদের বাঁচাব বলে নিয়েছি বায়ু বক্ষপিঞ্জর ভরে।
শেষে আমারাই নিজেদের আত্মহত্যার বিপক্ষে দাঁড়াই
বাংলাদেশের কণ্ঠে আমরা যেন ক্রোধগান উচ্ছস্বরে গাই ।
আরো যতো আমাদের দগ্ধের আগুন, লোকজ-ভীতি
এড়িয়ে যাবে নাগরিক শাঁখাসিঁদুরে সামাজিক অভিশাপ
বাসিন্দা আমরাই, এতে যেন আমাদেরই সবটুকু পাপ।
জানি, যা করছি তাতে অনাগত প্রজন্মের পথের প্রগতি
ভেবে সাগরের তীরঘেঁষা বাতিঘর, তেমন আমরাও জ্বলি।
এ আমার মুক্তিযুদ্ধ, পরম্পরার চিহ্নে কোনো বিশেষ অঙ্গুলি।
অবশ্যই আমি ভীতু ছারপোকা, অবশ্যই আমি নিমরাগী
আর নিশ্চিত এ বালছাল কথায় আপনি হবেননা অভাগী।
কিন্তু বঙ্গতন্ত্র, তুমি হাতাহাতি নিয়ে এসেছ এই আশুরায়
কাটাকাটির খেলা, সেখানে তোমার একটু পিঠ চুলকায়।
মনগুলো মরবে না, জানি আপনার কোমরেও চুলকানি
জানাজা হবেনা কোন সম্ভাবনার, চুলোয় যাক রাজারাণী।
এতো কিছুর শেষেও আপনি ভাববেন এরা কোন শালা?
আমরা আগাগোড়া তা-ই, যা বানিয়েছে সোনার বাংলা
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:০৪