১.
মিথের পাখনা হয়ে উড়ে গেছে সম্ভাব্য গল্পের ভার এই তবু এক পর্যায়ে দাড়ির দৈর্ঘ্যে নিজেকেই খোঁচা আর সন্ধ্যার বিরহ স্নায়ু বরাবর ধুয়ে বৃষ্টিতে যাওয়া নক্ষত্রের গায়ে বর্ণণার তীর্থস্থান। কথার নকলে প্রত্নতত্ত্ব পরিণত পাথরের ডিম ঠান্ডা নিষেকের আগেপরে মগজ পুড়ছে তাই চুলের সম্পর্কে পাখিদের মাধুর্য দশায় সাধারণ জিভ তথা অভক্তি লালায় পানঘর, স্বর্ণবিন্দু
২.
অভিজ্ঞতা চলে আসে লোকালয়ে, স্নানের রহস্যে প্রতিবন্ধক অথচ যেসব শব্দের হয়ে ওকালতী তাজ্জবের ভুতুড়ে রাত আর খবরের কাগজ পৃষ্ঠতার শোরগোলে হৃদয়বৃত্তিক চুমাচাটি আর সর্বদার চিবুক সমস্যা ভাষার নাচনা থেকে নীরবেই মহাকাল শ্রমিকের দৃশ্যত সম্ভব
৩.
আবর্তের বাইরে এখনো বলি তাই লবণাক্ত বর্ণ আর অরণ্যের ধ্বনিকেন্দ্রে গ্রহণযন্ত্রও বহুমুখী যাকে ঠিক অবিনাশ আর টলমলে প্রান্তিকতা আনাড়ী হাতের নীলাকাশে আগলে রাখছে সে সুর এখনো দিকবাদী
৪.
চোরাচোখে যেকোনা গ্রামের চিরকুটে আরো ভেসে ওঠে গোসলের শিঁরদাড়া শোভার অনেক খন্ডত্বকে ক্ষণিক কুয়াশা প্রেরকের কাঁধভর্তি চুল বাতাসের লেখা থেকে অনেক শিক্ষক মুখের দু'পাশে ভ্রমণের ডাকঘর লোমের সূচাগ্র কূপ, ঘামের লক্ষণ হাসি
৫.
জানালায় রোদের বিচ্যুতি একজোড়া দৈনিক শয্যার সমকক্ষ ঘুমন্ত শহরে চোখের ঝিলিকে কতদিন একবারো মুখস্থের দ্বারে নজর পড়েনি প্রকাশ্যের চকচকে মুখোশের শব্দার্থে রাত্রের মানবিক উড়াল ঢালছে শব্দময়ী কারখানার পুরনো ঘন্টা
৬.
পাঠযোগ্য দৃশ্যায়নে আসন্ন প্রতীক আর ঘরবাড়ি থেকে ছায়াময় নিভৃতির টুকরোগুলোতে অনেকে নিজের মত করে বিবৃতি সাজায় যা কেবল অগভীর অনুষঙ্গ রাখে না হয়তো ভাবে মাথার ওপরে সামর্থ পতাকা অবসরে থাকতেই প্রকাশ ভেঁপুতে পাহাড়ের বুক অই যেই উন্নয়ন কল্পনায় ডুবে যাবে এখনকার সুযোগ
৭.
যানে উঠে আঙুল চলছে মনের তীব্রতা নিয়ে ওপারের ছোড়াগুলো প্রেরণবিভ্রান্তি থেকে শিরোনামটুকু জানে শুধু উলঙ্গ ছবির সামনেই প্রেক্ষাপট আর পরিবেশযুদ্ধে বিনির্মাণ খেলাটা তাহলে নিরন্তর গঠনের সুড়সুড়ি
৮.
একঘেয়ে পথের উড়ন্ত প্রান্তে আমি জাদুঘর আর গোড়াপত্তনের প্রিয়তম উল্কা প্রথম বণিক এরাই তো ছিল লজ্জাবতী মুখে আরো ইশারার হরফে কারণ এতদিন বিষয়ের অভিজ্ঞতা স্বনির্ভর অতীতকৈবল্য যেনবা বাতাস
৯.
হে প্রেমিকা এইবাহু ঐ বাহুডোরের ঘষাঘষি থেকে অধুনা শব্দের দুর্ভাবনা কেটে যাচ্ছে ভেলকির সাথে ইচ্ছে করেই কি তাহলে মোর সম্পর্কে অনীহা আয়নার সুগঠনসহ পরস্পর লেখা হবে অপ্রতুল প্রেমপত্র আর ব্যকরণে
১০.
জাগতিক ক্রিয়াপদে উড্ডীন সেখানে রূপান্তর অপেক্ষায় আছে বলে বিহবল বিনিময় প্রথা কিন্তু লোভাতুর দূরত্বে বর্ণিত বোগলের গন্ধে ভাললাগা পণ্যসামগ্রীর দস্তুর পর্যায়ে হাতব্যাগের ভেতরে যেই পয়সার মারামারি
১১.
পাঠক্রমে যতটা প্রথমে স্থান নিলে পরাকাষ্ঠা এসব আলগা ভূপৃষ্ঠের মনোযোগে ছিন্ন কথার সামনে মুখাবয়বের আয়োজন চুমুর অধিক কখনোতে থাকে ফের কম্পনের মৌনবাহু চিহ্ন জাগরণে কান পেতে চলে যায় ঝরাপাতা এবার নিবিড়
১২.
পথ আর তার শরীরের প্রতিরক্ষাটুকু শস্যক্ষেত থেকে নাগরিক মহান পার্থক্যে দেখা যায় ঠিক শহর, ভ্রমণ আর চোখের বিষণ্ণ পর্যটন ব্যাখ্যা বর্ণিত কাস্তের একপ্রান্ত ধরে হেটে এলে শুধু নির্জন শব্দের এই দৃশ্যবাদী ভাষ্য থেকে শিরোনামের প্রদাহ খুলে আনা যাবে
১৩.
যাবতীয় মশলার ছাপে আঙুল আলস্য শেষে ঘুমিয়ে পড়ছে ইচ্ছার ডালায় হলকাবিহীন ছাই এঁকে মানমন্দিরে আলোর পথরোধ উত্যক্ত চোখের জানাজানি সত্ত্বেও গৃহাগ্নিকোণ পাতার সদৃশ গুড়ো উড়োচিঠি চলে গেছে উল্কি আর হলকার আপাত সম্পর্কে এই টানাপোড়েনের চুল্লিস্থানে
১৪.
যত্নের বিচ্যুতিমুখে মুফতের চিকিৎসাবিদ্যা আর দৃষ্টি সম্ভবের জামার প্রাচীরে শহরের উচ্ছলতা ফুলের বাগানে নাকচের হর্ষতৃষ্ণা যেই সেবিকার আনাড়ী হাতের সেবনবিধিতে কথার ওষুধ যেই চুড়ি খুলে গেলেই চিন্তার অভাবিত অস্ত্রোপচার, যথা নবতর প্রেমের তরিকা
১৫.
এই দৃষ্টিপিপাসার বারান্দায় দৃশ্য আর নির্জন শব্দের অভ্যন্তরে সন্ধ্যার আঁচড় হৃৎপিন্ড ঘুলঘুলি থেকে উড়ে যাওয়া ঝাঁকের পাখিদের ক্ষুধার সুগন্ধ ঘরে আকাশের মুখ্য আয়োজন আর স্মৃতিকোষ প্রাপ্যতার খনি হয়ে দেয়ালের এপার ওপার যত্ন করে মুঠিবন্ধে বিমুগ্ধ পাহাড় আর উড়াল কৌশল আর গিরিপথে পরিবেশবাদী তাবৎ বক্তব্য
১৬.
দেখা হয় হাত সঙ্গোপনে রেখে বলা কথার যেকোন বিপরীত শব্দে এসে গেছে আজিব যোগিতা দৌড়ে আসবে আজব সনাতন আরো মৌচাকের ঢিল প্রত্যক্ষ চুম্বনে পাশ ফিরে বেজে ওঠে নখের পিয়ানো সামগ্রিক ছিন্ন বোতামের রূপক চেহারা থেকে তাই দেখা যায় প্রশস্ত ভাষার ভিন্ন অঙ্গ মুখোশের সূক্ষ্ম সুতো কিযে প্রতিবন্ধী হয়ে ওঠা পলায়ন
১৭.
বাঁকাছুরি কোষমুখী মোড় থেকে ঘুরে এলে দেহের মহল্লা জেগে ওঠে তাতে দিনরাত্রি হিসাবের অঙ্কময় চিবুক নিহত আঙুলের জনপদ হাতে আয়নাসমান শিরার দালান সড়কের সামনেই হেটে গেছে অবাধ্য কাঁধের বোঝা পিঠাপিঠি ঘরে ঘুমের অতলে স্নায়ুতন্ত্র শৃঙ্খল লিপির জগতে অঙ্গাঙ্গি গৃহান্তরী এই বাকতন্দ্রা মিছিলের সকলেই অযৌথ প্রয়াসে একই গন্তব্যে যাবে সময়ের ব্যবধানে একাকিত্ব আর আহত চোখের কিনারে গুছিয়ে নেয়া ঠোটের জানালা, পৃষ্ঠটানের মনস্তাত্বিক অলিগলি
১৮.
পিচ্ছিল দেখেই পরিষ্কার অনেকেই গেছে নরম তুষার আর সাদাবালি তুলনার মানদণ্ডে জাতবেজাতের হালুয়া ময়রা আর ঝিমানি বিতান পূর্বাপর চিঠির সাম্রাজ্যে জ্বলে নেভে শীতার্ত কম্পন ইতিহাস আর রাজনীতি অজুহাত সম্বলিত পদভার চিন্তাযুক্ত পাঠশালা থেকে ঝাপটা লক্ষণ আর নিঃশ্বাস রচনা উস্কে দিও এই সম্পৃক্ত কবিতা আর বিবিধ প্রকাশ
১৯.
দেহ ছমছম করে চিঠিতে ধমকী চকমকি হৈচৈ এই উত্তরাধুনিক সামাজিক বনচুল্লি রাজার পোশাক থেকে খুলে এসে নাচের ঘুঙুরে বোমাবাজি মাখনের পুরনো জোকার এক ধরনের ভাঁজকৃত নথি চর্বিযুক্ত সারসংক্ষেপে নানা গর্ববোধ নানান আনন্দোল্লাস ইত্যাদি অথবা উল্লেখিত স্থানের প্রাপক প্রেরকের নৈতিক আড়াল সহোদর
২০.
আবারও অন্ধগানে চোখ থেকে ক্ষরণের কেঁচো আর সমৃদ্ধি দিগন্তে একার ফসল লোভাতুর পাখির চাহনিসহ বলা যায় মনোজঙ্গলের সঠিক কিনারে স্থায়ী যাবতীয় সন্দেহসমেত তাদের সীমানা অনুরূপ প্রেমের গভীরতায় আয়কর আর উৎসব মিলেমিশে আছে পরিক্রমা কুয়া চক্রাকারে এমন শুরুতে সম্ভাবনা ছিল মালিকানা
২১.
যুক্তিতর্কে পুনরায় জমে গেলে প্রজাতন্ত্র যথাস্থান সরীসৃপে সমর্থন চাহিদার অন্যনামে ডেকে ওঠে সর্বনাম গ্রামের প্রহরা কড়িকাঠে যতই বিশ্বাসী থাক মনোভাব হই হই আচরণে চেতনাসমগ্র দিনরাত্রি ভুবনের দরজা অস্থির রাখে শুধু দৃষ্টির খোলাসা টের পায় পরিকল্প আবাদযোগ্যতা
২২.
দেহের সুরুয়া উপাদেয় কামরূপ বাদ দিয়ে শরীরের রাজ্যসমূহের ঝোল চলে গেছে ঘটনাপ্রবাহে মহাশূন্য নিয়মিত ব্যবধানে ডিজিটাল অভিমুখ দিচ্ছে এদেরকে অখন্ড সেলাই চামড়ায় সন্ধিহীন স্নৈহিক নিবাস ঝোপের প্রদত্ত নিস্পত্তি, পদবী আবর্তনমূলক
২৩.
কিছুটা কার্পেট সরে গেছে আড়ালের হারানো চেহারা থেকে কিছু তান্ত্রিক ব্যবস্থা ঘরে ধীরগতি বাইরে প্রত্যহ ভ্রমণলিপ্সুতা যাদের পায়ের জ্বর সেরে যায় ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমিয়ে সম্পর্কহীন নৃত্যের বিরামভঙ্গিতে চিন্তার মিনতি ভরে ওঠে বাজারের প্রচলিত কানকথা আর চূর্ণলিপ্ত চাহনিদের অতিরঞ্জনে রঙওঠা দেয়ালের কোণা এহেন হাওয়া অবয়বে সাম্প্রতিক দরজার ফোঁকলা সান্নিধ্য নড়বড়ে দাঁত হয়ে ওঠে, থুক্কু, মানে পড়ে
২৪.
ট্রেনের উপরে নিজেকে নির্ভার করে শরীরের দোদুল্যমানতা দেখে নিক গমন পথের হুইশেল হিরন্ময় শিসবাজ রন্ধ্রের গন্তব্যে তবে জানা যায় সমান্তরাল উপমা অথবা রূপক ভুবনের এতটা দূরত্বে একলা দাড়িয়ে আছে চলন্ত আয়না হয়ে দেখা দেয়া ভিড়ে যদিও চেতনাবন অতি নিকটের জনারণ্য
২৫.
সর্বোপরি জলাধার যেন শুকায় না কারো এ দেহতাত্ত্বিক উপযোগে খন্ডিত হয়েছে নানাবিধ মশকরা খুব বেশি হাসির দমকে সেই বৃষ্টির বাইরে তাকালেই আগমনে মিশে যায় প্রণয়মুখোশ গভীর ঘ্রাণের সজল সিঁড়িতে বসে দৃশ্যের ঘনিষ্ঠ বর্ণণা আবার ত্যাগ করে নদীপথ সবকটা বাহানার হর্ষে