জাদুঘর বলতে আমরা ইতিহাস বিখ্যাত পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের সংগ্রহশালাকে বুঝি। পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতোসব ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। কোনো দেশের জাদুঘরে গেলে সেই জাতির ইতিহাস আমরা খুব ভালো করেই জানতে পারি।
পৃথিবীতে কিছু বিখ্যাত জাদুঘর আছে, এগুলোকে দেখার জন্য মানুষ সবসময় মুখিয়ে থাকে। সেগুলো যেমন বিভিন্ন দেশে, তেমনি সবাই এই জাদুঘর দেখার সুযোগটুকু পায় না। যারা পায় তারা দুচোখ ভরে এদের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে। চলুন তবে আমরা আজ পৃথিবীর বিখ্যাত জাদুঘর গুলোর কথা জানি
a. ল্যুভর মিউজিয়াম।
প্যারিসকে বলা হয় অর্ধেক নগরী তুমি অর্ধেক কল্পনা। এই কল্পনারাজ্যেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্য জাদুঘর ল্যুভর। ল্যুভর ছাড়াও অবশ্য আরো কিছু বিখ্যাত জাদুঘর ফ্রান্সে রয়েছে। সে কথায় পরে আসছি। এখন দেখা যাক ল্যুভর মিউজিয়াম।
পৃথিবীর বিখ্যাত জাদুঘরগুলোর মধ্যে প্রথমে নাম বলতে গেলে বলতেই হয় ল্যুভর এর কথা। এটি এক সময় দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এক সময় ল্যুভর ফ্রান্সের রাজপ্রাসাদ হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এই জাদুঘরটির সামনে কাঁচের তৈরি পিরামিড বসিয়ে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে। তবে এর ইতিহাস কিন্তু এতে একটুও বদলে যায়নি। এই জাদুঘরে প্রাচীন সভ্যতার শুরু থেকে আধুনিক সভ্যতার অনেক কিছুই রাখা আছে।
b. মাদাম তুসো.
বিখ্যাত জাদুঘরগুলোর কথা বলতে গিয়ে মাদাম তুসোর জাদুঘর এর নাম চলে আসবে এমনটাই তো স্বাভাবিক। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত এই জাদুঘরে খ্যাতিমানদের মোমের মূর্তি তৈরি করে রেখে দেয়া হয়। এবং এ কারণেই এই জাদুঘরটি বিখ্যাত। তবে এর শুরুটা কিন্তু ছিল অন্য রকম। ফরাসি বিপ্লবের সময় নিজেই এই সংগ্রহের সূচনা করেন মাদাম তুসো। কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে তার কাটা মাথাটিকে দিয়ে মোমের প্রতিকৃতি তৈরি করতেন তুসো। এরমধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত নমুনাটি হচ্ছে প্রথম ফরাসি রাজার কাটা মাথার প্রতিকৃতি।
c. ব্রিটিশ মিউজিয়াম।
প্রচুর সংগ্রহে সমৃদ্ধ এই জাদুঘরে পৃথিবীর পুরো ইতিহাসটাই যেনো লুকিয়ে আছে। এই বিশাল সংগ্রহের দিক থেকেই এটি পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ জাদুঘর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই জাদুঘরটি ১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পুরো পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে চিত্রকর্মের বিশাল সংগ্রহ নিয়ে এটি বর্তমানের অন্যতম সেরা মিউজিয়াম। এখানে ৭০ লাখ দর্শনীয় বস্তু আছে। তবে এর মধ্যে ৪০ লাখ মানুষকে দেখানো হয়। প্রতিবছর গড়ে ৬০ লাখ দর্শনার্থী এই জাদুঘর দেখতে যায়। মিশরীয় সভ্যতারও বিশাল সংগ্রহ এখানে আছে।