somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“জেল হত্যা দিবস”

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রতি বছর ৩রা নভেম্বর পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের চারজন জাতীয় নেতাঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি স্মরণার্থে এ দিবস পালন করা হয়।

(উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে)

ইতিহাস-
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনাবাহিনীর দ্বারা ধানমন্ডির তার নিজস্ব বাসভবনে সপরিবারে হত্যার পর তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদ নিজেকে রাষ্টপতির পদে আসীন করে সামরিক শাসন জারি করেন। ২২শে আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২ মাস ১৯ দিন পর একই বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাসদস্যরা দেশত্যাগ করার পূর্বে খন্দকার মোস্তাক আহমেদ এর অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী তৎকালীন জাতীয় চার নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

শিকার-
সৈয়দ নজরুল ইসলাম- বাংলাদেশের প্রথম সরকার, মুজিবনগর সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি বাকশালের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
তাজউদ্দীন আহমদ- একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যও ছিলেন।
আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান- একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র,কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।
মুহাম্মদ মনসুর আলী- মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

পরিণতি-
এই হত্যাকাণ্ড ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্য ও সমস্ত জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই ঘটনা খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর পতন ত্বরান্বিত করে। খুনিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এই হত্যাকান্ড ছিল ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী দেশী ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত যড়যন্ত্র ও নীল নকশার বাস্তবায়ন। ১৫ই আগস্ট ও ৩রা নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই গোষ্ঠী সংঘটিত করে। উভয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ ধ্বংস ও দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করে পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা।

বিচারকার্য-
জেলখানায় ঐ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ৪ঠা নভেম্বর তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক কাজী আব্দুল আউয়াল লালবাগ থানায় বাদী হয়ে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন । মামলার এজাহারে বলা হয় যে, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন এর নেতৃত্বে চার পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। হত্যার পর বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ঘটনার পরদিন মামলা করা হলেও এই মামলার তদন্ত থেমেছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু করা হয়। টানা আট বছর বিচার চলার পর ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি এর বিচার কাজ শেষ হয়। ৯ মাস পর ২০০৪ সালের ২০শে অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আদালত তিনজন পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড, ১২ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে খালাস প্রদান করে। ২০০৮ সালের ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয়জন সামরিক কর্মকর্তাকে খালাস দেয়। খালাসীদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দীন আহমেদকে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ খালাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। (তথ্য- Click This Link;)

ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনাঃ
জেল হত্যা দিবস: ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারের ভেতর জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে যেভাবে খুন করা হয়- শিরোনামে BBC News এর একটি প্রতিবেদন- https://www.bbc.com/bengali/news-41856101

কখন এবং কেন জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সিদ্ধান্ত? শিরোনামে BBC News এর অন্য একটি প্রতিবেদন- https://www.bbc.com/bengali/news-37862936

জাতীয় চার নেতার জেল হত্যাকান্ডে জড়িতদের তালিকা দেখুন- শিরোনামে somewhere in... এর জেল হত্যা ঘটনাটি বাংলাদেশের রক্তাক্ত রাজনৈতিক ইতিহাসে ছিল একটি ফাইনেস্ট (খারাপ অর্থে) কিলিং। এখানে এসে একটু পজ না নেয়ার সুযোগ নেই। এই জঘন্যতম (হিনাস) হত্যাকান্ড সম্পর্কে না না অস্পস্টতা থাকলেও ঐ সময়ে এ্যাক্টিভ ইলিমেন্টসগুলোর তালিকা থেকে ডিডাক্টিভ মেথোডে সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে। আমি তালিকাটি দিচ্ছিঃ Click This Link

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বঙ্গভবনে- শিরোনামে somewhere in... এর জেল হত্যা মামলার আপিল শুনানি শুরুর তথ্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন- Click This Link

জেল হত্যা দিবস সর্ম্পকিত সচিত্র বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনের পিডিএফ কপি- Click This Link

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় ৪ নেতাকে; ১) সৈয়দ নজরুল ইসলাম - ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপুস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট), ২) তাজউদ্দিন আহম্মেদ - প্রধানমন্ত্রী, ৩) কামরুজ্জামান - ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রী, ৪) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী - অর্থমন্ত্রী এঁরা কারা?
এই চারজন বীর-নাবিক,বঙ্গ সন্তানই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে পুরো ৯মাস মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে থেকে পুরো যুদ্ধটা চালিয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা যেমন ছিলেন নির্ভীক, তেমন সৎ, ঠিক তেমনই দুরদৃষ্টি সম্পন্ন। নীতির প্রতি আপোষহীতাই তাদের কঠিন পরিনতির দিকে নিয়ে যায়। হত্যাকারীদের দিক থেকে এটি ছিল একটি সফল অভিযান। কারন, এই হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়েই শুরু হয় বাংলাদেশে অন্ধকার যুগ।

তাই, মানব সভ্যতার ইতিহাসে বেদনাময় এক কলঙ্কিত দিন। বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেই ক্ষান্ত ছিল না, গুলিবিদ্ধ নিথর দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ’৭১-এর পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

আমরা রহস্য করতে বা রাখতে পছন্দ করি। রহস্য ভেদ করতে চাই না। কিন্তু এখন বোধহয় সময় এসেছে, কিছু রহস্য ভেদ করে কঠিন সত্যের মুখোমুখী হওয়ার। এ ভিন্ন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকলে বিস্তারিত জানাবেন।

(তথ্য সংগৃহীত/সংশোধিত/পরিমার্জিত) আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রতি বছর ৩রা নভেম্বর পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের চারজন জাতীয় নেতাঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি স্মরণার্থে এ দিবস পালন করা হয়।

(উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে)

ইতিহাস-
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেনাবাহিনীর দ্বারা ধানমন্ডির তার নিজস্ব বাসভবনে সপরিবারে হত্যার পর তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদ নিজেকে রাষ্টপতির পদে আসীন করে সামরিক শাসন জারি করেন। ২২শে আগস্ট মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২ মাস ১৯ দিন পর একই বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাসদস্যরা দেশত্যাগ করার পূর্বে খন্দকার মোস্তাক আহমেদ এর অনুমতি নিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী তৎকালীন জাতীয় চার নেতা - সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

শিকার-
সৈয়দ নজরুল ইসলাম- বাংলাদেশের প্রথম সরকার, মুজিবনগর সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি বাকশালের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
তাজউদ্দীন আহমদ- একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যও ছিলেন।
আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান- একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র,কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।
মুহাম্মদ মনসুর আলী- মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

পরিণতি-
এই হত্যাকাণ্ড ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কময় অধ্যায়। এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্য ও সমস্ত জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই ঘটনা খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর পতন ত্বরান্বিত করে। খুনিরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়। এই হত্যাকান্ড ছিল ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী দেশী ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত যড়যন্ত্র ও নীল নকশার বাস্তবায়ন। ১৫ই আগস্ট ও ৩রা নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই গোষ্ঠী সংঘটিত করে। উভয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনসমূহ ধ্বংস ও দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করে পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা।

বিচারকার্য-
জেলখানায় ঐ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ৪ঠা নভেম্বর তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক কাজী আব্দুল আউয়াল লালবাগ থানায় বাদী হয়ে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মামলা করেন । মামলার এজাহারে বলা হয় যে, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন এর নেতৃত্বে চার পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। হত্যার পর বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ঘটনার পরদিন মামলা করা হলেও এই মামলার তদন্ত থেমেছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু করা হয়। টানা আট বছর বিচার চলার পর ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি এর বিচার কাজ শেষ হয়। ৯ মাস পর ২০০৪ সালের ২০শে অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আদালত তিনজন পলাতক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড, ১২ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচজনকে খালাস প্রদান করে। ২০০৮ সালের ২৮শে আগস্ট বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছয়জন সামরিক কর্মকর্তাকে খালাস দেয়। খালাসীদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দীন আহমেদকে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ খালাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। (তথ্য- Click This Link;)

ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনাঃ
জেল হত্যা দিবস: ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারের ভেতর জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে যেভাবে খুন করা হয়- শিরোনামে BBC News এর একটি প্রতিবেদন- https://www.bbc.com/bengali/news-41856101

কখন এবং কেন জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সিদ্ধান্ত? শিরোনামে BBC News এর অন্য একটি প্রতিবেদন- https://www.bbc.com/bengali/news-37862936

জাতীয় চার নেতার জেল হত্যাকান্ডে জড়িতদের তালিকা দেখুন- শিরোনামে somewhere in... এর জেল হত্যা ঘটনাটি বাংলাদেশের রক্তাক্ত রাজনৈতিক ইতিহাসে ছিল একটি ফাইনেস্ট (খারাপ অর্থে) কিলিং। এখানে এসে একটু পজ না নেয়ার সুযোগ নেই। এই জঘন্যতম (হিনাস) হত্যাকান্ড সম্পর্কে না না অস্পস্টতা থাকলেও ঐ সময়ে এ্যাক্টিভ ইলিমেন্টসগুলোর তালিকা থেকে ডিডাক্টিভ মেথোডে সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে। আমি তালিকাটি দিচ্ছিঃ Click This Link

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বঙ্গভবনে- শিরোনামে somewhere in... এর জেল হত্যা মামলার আপিল শুনানি শুরুর তথ্য সম্বলিত একটি প্রতিবেদন- Click This Link

জেল হত্যা দিবস সর্ম্পকিত সচিত্র বাংলাদেশের একটি প্রতিবেদনের পিডিএফ কপি- Click This Link

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় ৪ নেতাকে; ১) সৈয়দ নজরুল ইসলাম - ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপুস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট), ২) তাজউদ্দিন আহম্মেদ - প্রধানমন্ত্রী, ৩) কামরুজ্জামান - ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রী, ৪) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী - অর্থমন্ত্রী এঁরা কারা?
এই চারজন বীর-নাবিক,বঙ্গ সন্তানই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে পুরো ৯মাস মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে থেকে পুরো যুদ্ধটা চালিয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা যেমন ছিলেন নির্ভীক, তেমন সৎ, ঠিক তেমনই দুরদৃষ্টি সম্পন্ন। নীতির প্রতি আপোষহীতাই তাদের কঠিন পরিনতির দিকে নিয়ে যায়। হত্যাকারীদের দিক থেকে এটি ছিল একটি সফল অভিযান। কারন, এই হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়েই শুরু হয় বাংলাদেশে অন্ধকার যুগ।

তাই, মানব সভ্যতার ইতিহাসে বেদনাময় এক কলঙ্কিত দিন। বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেই ক্ষান্ত ছিল না, গুলিবিদ্ধ নিথর দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ’৭১-এর পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।

আমরা রহস্য করতে বা রাখতে পছন্দ করি। রহস্য ভেদ করতে চাই না। কিন্তু এখন বোধহয় সময় এসেছে, কিছু রহস্য ভেদ করে কঠিন সত্যের মুখোমুখী হওয়ার। এ ভিন্ন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকলে বিস্তারিত জানাবেন।

(তথ্য সংগৃহীত/সংশোধিত/পরিমার্জিত)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভোটের ২/৩ দিন আগে ট্রাম্পকে আবারো গুলি করার সম্ভাবনা।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:২২



ট্রাম্পকে ২য় বার গুলি করার জন্য পজিশন নিয়েছিলো একজন পরিচিত অপরাধী লোক; সে ধরা পড়েছে। তার পুরো প্রচেষ্টা, তাকে ধরার ধরণ ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লোকদের আচরণ দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে একটু মানিয়ে নেয়ার অনুরোধ।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০১


ব্লগার চাঁদগাজীর একটাই সমস্যা তিনি অহেতুক মানুষকে খোঁচান। গার্বেজ বা নতুন প্রজন্ম যেগুলোকে গু পোস্ট বলে সেগুলোকে সরাসরি গু পোস্ট বলা ব্লগে বেমানান। ফেসবুক ইনস্টাতে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। যেমন আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড ইউনুসের রিসেট বাটন নিয়ে ফ্যাসিবাদীদের প্রপাগান্ডা

লিখেছেন জিয়া চৌধুরী, ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:২৩

ড. ইউনূসের "রিসেট বাটন" পুশ করার বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা।

আসুন দেখি রিসেট বাটন পুশ করা বলতে কী বুঝিয়েছেন ড. ইউনূস।

সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইউনূসের সফল দৌত্যে চিন্তায় নয়াদিল্লি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬



বাংলাদেশের মাটিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন রুখতে নতুন অন্তর্বর্তিকালীন সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ক্ষোভ বাড়ছে সাউথ ব্লকে। সে কারণে মুহাম্মদ ইউনূস চাইলেও রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার কী বলবে আম্লিগ? "জয়'র তথ্য বিক্রির ফরমুলা"

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮


সজীব ওয়াজেদ জয় গণভবনে মিটিং ডেকে দাম্ভীকতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাতীয় তথ্য ভান্ডার অর্থাৎ NID তথ্য ভান্ডারের মিরর কপি চেয়েছিলেন। কেন তিনি জাতীয় তথ্য ভান্ডারের মিরর কপি চেয়েছিলেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×