এলোমেলো চুল, শ্রীহিন কাপর, ময়লাজমা জুতো, হাতে একগুচ্ছ ফাইল চোখে মুখে রাজ্যের দুশ্চিন্তা যেন গ্রাস করেছে তাকে। হন্ত দন্ত হয়ে হাজির আমার সামনে, কেমন আছিস জিজ্ঞাসা করতেই মাথাটা নিচু করে বললো আর আছি, চল চা খাই।
দিন পনেরো আগে ও আমাকে মেডিটেশন কোর্সে নিয়ে গিয়েছিলো, টপিকস্ না জেনে গেলে যা হয় তাই হলো, ঘুমের সমস্যা নিয়ে আলোচনা ছিলো,আমি ঘুম কাতুরে মানুষ আলোচনার মাঝেই প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ওখানে অনেক লোকর সমাগম দেখলাম, বন্ধুটার মতো প্রায় সবারই তাহলে ঘুম সমস্যা!
বন্ধুটা আমার সাফল্যের পেছনে ছুটছে বেশ কয়েক বছর যাবত কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না (ওর ভাষ্য মতে)। দেশিয়, মাল্টিন্যাশনাল চাকুরীতে অফিস পলিটিক্সে টিকতে পারেনি। বড় হওয়ার নেশায় ব্যবসার পেছনে খাটছে দিন-রাত। ব্যর্থ হয়ে বার বার শরনাপন্ন হচ্ছে আধ্যাতিক সাফল্যের আশায়। জ্যোতিষ দেখিয়ে হাতে পাথর নেয়া, হুজুরের কাছে তাবিজ, পানি পড়া নেয়া, মেডিটেশন কোর্স, সফল ব্যাক্তিদের জীবনি পড়া আরো কত কি! কিছুতেই কিছু নাকি ওর হচ্ছে না। বেশ মুষঢ়ে পরেছে।
গতকাল বিদায় নেয়ার সময় জানালো সবচেয়ে ভয়ংকর কথা, গত সপ্তাহে নাকি ও দুই-দুই বার ট্রেনের নিচে আত্বহুতি দিতে গিয়েছিলো! শেষ মূহুর্তে সরে এসেছে লাইন থেকে! দোস্ত তৃতিয়বার ঠিকই ঝাপ দেবো। আমি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলাম ওর দিকে, বাকরুদ্ধ হয়েগিয়েছিলাম! কি বলবো ওকে, কি সান্তনা দেবো ? দোস্ত তুই দ্রুত সফল হ, তোর জন্য শুধু এটাই প্রার্থণা