জুম্মা মুবারক...
জুম্মা সম্পর্কিত 2টি হাদীস:
যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুম’আর সালাত
আদায় করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের
বিনিময়ে তার জন্য পুরো এক বছরের
রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়ার
সমান সওয়াব লিখা হয়।
আউস বিন আউস আস সাকাফী (রাঃ)
থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“জুমা’আর দিন যে ব্যাক্তি গোসল করায়
(অর্থাৎ সহবাস করে, ফলে স্ত্রী ফরজ গোসল
করে এবং) নিজেও ফরজ গোসল করে,
পূর্বাহ্ণে মসজিদে আগমন করে এবং নিজেও
প্রথম ভাগে মসজিদে গমন করে,
পায়ে হেঁটে মসজিদে যায় (অর্থাৎ কোন
কিছুতে আরোহণ করে নয়), ইমামের
কাছাকাছি গিয়ে বসে, মনোযোগ
দিয়ে খুৎবা শোনে, কোন কিছু নিয়ে খেল
তামাশা করে না; সে ব্যাক্তির
প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য
রয়েছে বছরব্যাপী রোজা পালন ও সারা বছর
রাত জেগে ইবাদত করার সমতুল্য
সওয়াব।” (মুসনাদে আহমাদঃ ৬৯৫৪,
১৬২১৮)
আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন আমরা যখন
মসজিদে যাই তখন সেখানে তিন ধরনের মানুষ
দেখতে পাই, যা হুজুর (সা এর নিম্নোক্ত
হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়।
(ক) এক ধরনের লোক
আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর
তামাশা করে,
তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই
পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক
আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ
মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান
তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ)
তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়,
চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে,
কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না,
কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর
মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ
করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ
তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬