ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর ঠিকানা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার টেবিলেই বসতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এতথ্য জানা গেছ।
সূত্র জানায়, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। এনিয়ে একাধিক বৈঠকও করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে ১ অক্টোবর ভর্তির প্রক্রিয়া শুরুর তারিখেও পরিবর্তন আসছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে অনার্স (সম্মান) কোর্সে ভর্তির জন্য প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ভালো কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে হয়। ভর্তি নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ তো রয়েছেই। এতো শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে অনেক সময়ও পার হয়ে যায়। তাই ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি উঠিয়ে দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
চলতি বছরের ১৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের ১৭তম বার্ষিক অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়। অধিবেশন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ জানিয়েছিলেন, এ বছর থেকে ভর্তির জন্য আর পরীক্ষা দিতে হবে না। ফলাফলের ভিত্তিতেই পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। সম্প্রতি এইচএসসিতে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে যে ‘লেজে গোবরে’ অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেরকম আশঙ্কাও করেছে অনেকে। তাই এ সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে আসছে কর্তৃপক্ষ। ফলে এবছর আর নতুন নিয়মে ভর্তি পদ্ধতি কার্যকর হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডীন প্রফেসর ড. মোবাশ্বেরা খানম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা না রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছি। কারণ এটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাই এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে আসছি। পরীক্ষার মাধ্যমে এবারও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আমরা বৈঠকে বসবো। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষার নতুন তারিখ জানানো হবে।’
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৫